আপনাকে একবারের জন্য হলেও মালদ্বীপ যেতে হবে, হ্যা কম করে হলেও একবার।
স্বচ্ছ পানি আর সাদা বালির এমন মিশ্রন না দেখে মারা গেলে একটা আপসুস থেকেই যাবে, যদিও মালদ্বীপ অনেক ব্যয়বহুল তারপরও একটিবারের জন্য যেতেই হবে আপনাকে।
এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে সাগরের পাশে আকাবাকা করে "Maldives" লেখাটা আপনাকে মুদ্ধ করবে সাগরের মৃদু গর্জনের সাথে। সব জায়গাতে "Welcome to......" লেখা থাকে কিন্তু মালদ্বীপে একেবারে ভিন্ন দেখলাম শুধুই "Maldives" লেখা টা জ্বলজ্বল কছে স্বচ্ছ পানির কিনার ঘেষে।
মালদ্বীপ ট্রুরটা দুই ধরনের হয়ে থাকে, ১. লাক্সারিয়াস ২. বাজেট ট্রুর
.
আমাকে বল্লে আমি দুইটাই প্রিফার করবো, আপনি সিলেক্ট করবেন কোন প্যাকেজে শান্তি পাবেন। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে যেমন ঘুরে আসতে পারবেন আবার কিপ্টামি করেও ঘুরে আসতে পারবেন। তবে আমি ঘুরতে গেলে পৃথিবীর সবচেয়ে হাতখুলা মানুষ হয়ে যায়। ২/৫ দিনের জন্য বেড়াতে এসে কিপ্টামি করার কোন মানে নাই।
.
তবে হ্যা, যাওয়ার প্লানটা ২/৩ মাস আগে করাই বেষ্ট তাতে বিমানের ভাড়া এবং হোটেল একটু কম দামেই পাবেন এবং জুন থেকে আগষ্টে না যাওয়া ভালো। এই সময় অনেক বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে, টকটকে রৌদের মাঝে নীল আকাশের সাথে স্বচ্ছ পানির মালদ্ধীপ দেখতে না পারলে আপসুস বেশি থেকে যাবে।
.
বিমান থেকে নেমে এক থেকে দুইদিন মালে বা হুলহুমালে শহরে থেক আদি মালদ্বীপকে খুজে নিয়ে পরদিন চলে যেতে পারেন কোন প্রাইভেট আইল্যান্ডে সেখানে অন্য এক জগত, মানুষের তৈরী একটা দ্বীপে আপনি বাসিন্ধা। চারিদিকে শুধুই সুন্দর। খরচ একটু কমাতে চাইলে বিচ ভিলাতে থাকতে পারেন, ওয়াটার ভিলার তুলনায় বিচ ভিলার খরচ অর্ধেকের চেয়েও বেশি কম। প্রাইভেট আইল্যান্ডের যত সুন্দর বেশিরভাগই বিচ ভিলা কেন্দ্রিক। আপনি বিচ ভিলাতে থেকেও ওয়াটার ভিলাগুলি ঘুরে দেখতে পারবেন, ঐখানে বেশিরভাগ লোকই বাংলাদেশি সুতরাং ঘুরে ফিরে এমনকি কোন একটা রুমে প্রবেশও করতে পারবেন অনায়েসে। বিচ ভিলার সবচেয়ে সুন্দর্য প্রাইভেট পুল, যা ওয়াটার ভিলাতে লাখ টাকা গুনেও পাবেন না।
প্রাইভেট আইল্যান্ডগুলি ঘুরে দেখার জন্য কমপক্ষে ২দিন থাকতে হবে, আমি খরচের চিন্তা করে একদিন থেকে আপসুস করে ছিলাম।
.
প্রাইভেট আইল্যান্ডে ২দিন থেকে সুন্দর করে সবকিছু দেখে চলে যেতে পারেন পাবলিক আইল্যান্ডগুলিতে। আমার দেখা সেরা আইল্যান্ড মাফুসি। মুফুসি তার নিজের সৌন্দর্য দিয়ে যে কাউকে মুগ্ধ করে তুলবে। কল্পনারও বাহিরে সুন্দর মাফুসি নামের ছোট্ট দ্বীপটি।
তবে মাহফুসির সবটুকু সৌন্দর্য দেখতে হলে আপনাকে থাকতে হবে "কানি পাল্ম অথবা আরিয়ানা বিচ" হোটেলে, আমার মতে কানি পাল্ম বেষ্ট। রুমে শুয়ে শুয়ে সগর দেখে মুগ্ধ হবেন এই হোটেলের উপরের দিকে সী-ভিউ রুম থেকে।
.
যাদের যানবাহনে বিশেষ করে নৌযানে সমস্যা হয় তারা চেষ্টা করবেন স্প্রিডবোডে চলার জন্য, ভাড়া একটু বেশি হলেও দ্রুত পৌছে যাবেন তাতে করে আপনার খারাপ লাগা সময়টা অনেক কমে আসবে।
এয়ারপোর্ট থেকে বের হলেই এমন একটা আকাবাকা লেখা দেখে বুঝে যাবেন আপনি এখন মালদ্বীপে
হোটেলের বারান্দা থেকে এমন দৃশ্য দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ, আমার বিশ্বাস এই দৃশ্য দেখে আমার মতো সবাই মুগ্ধ হবেন।
সম্ভবত পূর্নিমা ছিলো, মেঘের আড়াল থেকে চাঁদটা একটু পর পর উকি দিয়ে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছে
১০ থেকে ১৫ ডলার দিয়ে ঘুরে আসতে পারেন মালে শহর, দেখতে পারেন সরকারি অফিস পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্ট ভবন আরো অনেক কিছু
সেন্ট্রাল মসজিদ অবশ্যই দেখে আসবেন, অসাধারন সুন্দর কাজ
৩৫০ বছরের পুরাতন মসজিদ, এটাই মনে হয় মালদ্বীপের প্রথম মসজিদ।
সাদা বালি আর স্বচ্ছ নীল পানিতে মানের খুশিতে হেটে চলতে পারেন অনেকটা সময় নিয়ে।
আমরা এখন প্রাইবেট আইল্যান্ডের পথে
স্প্রিটবোড ছুটে চলছে, যতই চলতে ততই মুগ্ধ হচ্ছে দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ দেখে দেখে।
এর পর নাকি আর ছবি দেয়া যাবেনা, অন্য একদিন প্রাইভেট আইল্যান্ডের সৌন্দর্য ছবিতে তুলে ধরার চেষ্টা করবো
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৩