


সে সামাজিক দায়বদ্ধতা হইতে এই নাদান জানাইতে চাহিতেছে যে, বাসর রাত্রিতে মার্জার(aka বিড়াল) নিধন' বলিতে মহামতি কবি-সাহিত্যিকগণ শারিরীক সম্বন্ধ স্থাপনকে বুঝাইয়াছে বলিয়া আমার জানা নাই। তাঁহারা ইহা দ্বারা পুরুষ হিসেবে আপনি কতদূর কর্তৃত্বপরায়ন, স্বীয় নববধুর সম্মুখে তাহার চাক্ষুস প্রমান হাজিরের কথা বলিয়াছেন। এ ব্যাপারে সুসাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁহার 'পঞ্চতন্ত্র' বহিতে একখানা সরস কাব্য রচনা করিয়াছেন, যাহাতে তিনি পারস্য দেশীয় দুই সহোদর ভ্রাতার একজনের বাসর রাত্রিতে মার্জার নিধনের ফলে সংসারে কর্তৃত্বস্থাপন আর অন্যজনের উক্ত মার্জার নিধনে সময়ক্ষেপন জনিত কারনে কর্তৃত্ব হারাইবার 'মর্মান্তিক'



ছিদ্রান্বেষী বাঙালি বিনা প্রশ্নে কিছুই বিশ্বাস করিতে চাহে না। তাই, বিস্তারিত জানিতে এই ব্লগের তিনখানা পুরাতন পোষ্টের দোহাই দিলুম।
১. বিয়ের রাতে বিড়াল মারা। (মার্জার নিধন কাব্য)- নাজিম উদ্দীন
২. বিয়ের পয়লা রাতে বিড়াল মারা বা মার্জার নিধন কাব্য:- শেরজা তপন
৩. মার্জার নিধন কাব্য: ‘বাসর রাতে বিড়াল মারা’র পেছনের কথা (প্রবচনটির উৎপত্তি কাহিনী)- পারভেজ রবিন
পরিশেষে, শারিরীক সম্বন্ধ স্থাপন বিষয়ে অতিমাত্রায় আগ্রহ পরিত্যাগের পরামর্শ জানাইয়া নিষ্ক্রান্ত হইলাম।




বলা বাহুল্য যে, অত্র পোষ্টের 'অতিগিয়ানী' লেখক নিজেও এখন পর্যন্ত বাসর ঘরের অভিজ্ঞতার্জনে সমর্থ হন নাই!



সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৪