প্রথাগত বিজ্ঞানের প্রথম দিশারী থেলিস পর্যন্ত এসে থেমে যেতে হয়েছিল গত পর্বে। আজ থেলিসের পর হতে খৃষ্টীয় ষষ্ট শতকের আগ পর্যন্ত গ্রীক-রোমান-মিশরীয় এবং ভারতীয় বিজ্ঞানীদের কাজ সমূহের উপরে সংক্ষিপ্ত আলোচনার করার চেষ্টা থাকবে। সপ্তম শতকে উল্কার বেগে মুসলমানদের আবির্ভাবের পূর্বমুহূর্তে জগতের বিজ্ঞান ঠিক কোন অবস্থানে দাঁড়ানো ছিল, তা পরিষ্কার করে তুলে ধরাই এর উদ্দেশ্য। তবে, এটাও মনে রাখা উচিৎ যে, এই প্রায় এক সহস্রাব্দব্যাপী সময়কালে একেবারে কম কাজ হয় নি। কিন্তু, পোষ্টকে সরলপথে রাখার স্বার্থে কেবলমাত্র প্রভাবশালী বিজ্ঞানীদের কাজের সারসংক্ষেপ যথাসম্ভব কালানুক্রম মেনেই এখানে আলোচিত হবে।
থেলিসের পর প্রথাগত বিজ্ঞানের জগতে আমরা পাই পীথাগোরাসকে(Pythagoras; ৫৭০-৪৯৫ খৃষ্টপূর্বাব্দ)। এ সেই পীথাগোরাস, সমকোনী ত্রিভূজ নিয়ে যাঁর প্রবর্তিত ভয়াবহ উপপাদ্য(Theorem) আজো ছাত্রদের মনে কাঁপন ধরায়। তাঁকে বলা যায় পৃথিবীর প্রথম গণিতবিদ, দর্শনে তাঁর অবদানের কথা মাথায় রেখে তাঁকে সংখ্যা দার্শনিকও বলা চলে। তিনি বিশ্বাস করতেন পৃথিবীর সকল কিছুর মূল হলো সংখ্যা। দূর্ভাগ্যবশতঃ তাঁর কোন লেখাই পাওয়া যায় না। তবে, পরবর্তীতে প্লেটো এবং প্লেটোর সূত্রে পুরো পাশ্চাত্য দর্শন তাঁর কাছে ঋনী।
এরপরেই আসেন ‘নিজেকে জানো(Know Thyself)’ খ্যাত সক্রেটিস্(Socrates; ৪৬৯-৩৯৯ খৃষ্টপূর্বাব্দ)। আজীবনের এথেন্সবাসী এই দার্শনিক প্রথম মানুষকে প্রশ্ন করে করে জ্ঞানার্জনের পদ্ধতি শেখালেন! তিনি এমন এক দার্শনিক চিন্তাধারা জন্ম দিয়েছেন যা দীর্ঘ ২০০০ বছর ধরে পশ্চিমা সংস্কৃতি, দর্শন ও সভ্যতাকে প্রবাবিত করেছে। সক্রেটিস ছিলেন এক মহান সাধারণ শিক্ষক, যিনি কেবল শিষ্য গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানে বিশ্বাসী ছিলেননা। তার কোন নির্দিষ্ট শিক্ষায়তন ছিলনা। যেখানেই যাকে পেতেন তাকেই মৌলিক প্রশ্নগুলোর উত্তর বোঝানোর চেষ্টা করতেন। তবে, তাঁর কোন লেখাই পাওয়া যায় না। শিষ্য প্লেটোর ডায়ালগ্স(Dialogues), সৈনিক জেনোফেনের(Xenophen) লেখা আর এরিস্টোফেনিসের নাটকসমূহের মাধ্যমেই তাঁর কাজ সম্পর্কে ধারনা লাভ করা যায়। প্রচলিত রাষ্ট্রব্যবস্থা তাঁকে হেমলক বিষপানে মৃত্যুদন্ড দেয়।
জ্ঞানের প্রসারে শিক্ষায়তন(Platonic Academy) খুলে যিনি জগতে অমর, তিনি সক্রেটিসেরই সুযোগ্য ছাত্র প্লেটো(Plato; ৪২৮-৩৪৮ খৃষ্টপূর্বাব্দ)। তিনি একাধারে দার্শনিক, যুক্তিবিদ, কাব্যবিশারদ এবং গণিতবিদ। প্রাকৃতিক দর্শন, বিজ্ঞান এবং পাশ্চাত্য দর্শনের ভিত্তি অনেকটা তাঁর হাতেই গড়া। তাঁর অনেক লেখাই পাওয়া যায়, যার মধ্যে রিপাবলিকের(The Republic) নাম না নিলেই নয়। আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার সূত্রপাত এখান হতেই শুরু হয়েছে।
প্লেটো ও অ্যা্রিস্টটলঃ শিক্ষক-ছাত্র
এর পরেই আসেন অ্যারিস্টটল(Aristotle;৩৮৪-৩২২ খৃষ্টপূর্বাব্দ)। বিজ্ঞানের জগতে এথেন্সের এই ব্যক্তির চেয়ে সুদুরপ্রসারী প্রভাব আর কেউ রাখতে পেরেছিলেন কীনা সন্দেহ! প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, সংগীত, কাব্য, নীতিশাস্ত্র, যুক্তিবিদ্যা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান সহ সমকালীন জ্ঞানের এমন কোন শাখা ছিল যেখানে তিনি অবাধে বিচরন করেন নি। বর্তমান যুগে অচল হলেও বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর দর্শনের প্রভাব এত বেশি ছিল যে, তা অনেকটা ধর্মীয় বিশ্বাসে রূপ নেয়। পরবর্তী অনেককাল পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা অ্যারিস্টটলের মতের বাইরে কোন মত গ্রহনে প্রস্তুত ছিলেন না। যার ফলে, অ্যারিস্টটলের জন্মের ৭৬ বছর পূর্বে জন্ম নিয়ে ডেমোক্রিটাস(Democritus; ৪৬০-৩৭০ খৃষ্টপুর্বাব্দ) এবং অ্যারিস্টটলের মৃত্যুর ১২ বছর পরে জন্ম নিয়ে অ্যারিস্টার্কাস(Aristarchus; ৩১০-২৩০ খৃষ্টপূর্বাব্দ) তাঁদের মতবাদকে জনপ্রিয় করে তুলতে পারেন নি কেবলমাত্র অ্যারিস্টটলের মতের বিরুদ্ধাচরণ করায়। ডেমোক্রিটাসের পদার্থের অবিভাজ্য এককের ধারনা এবং অ্যারিস্টার্কাসের সৌরকেন্দ্রিক পৃথিবীর ধারনা স্পষ্টতই অ্যারিস্টটলের তুলনায় আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক কাছাকাছি ছিল। কিন্তু, দূর্ভাগ্য তাঁদের; কাজের স্বীকৃতি পেতে দেড় সহস্রাব্দ সময় লেগে গেল!
এরপরেই যাঁর কথা না বললেই নয় তিনি ইউক্লিড(Euclid)। তেরখন্ডে রচিত এলিমেন্টস্(Elements) যাঁকে দিয়েছে ‘জ্যামিতির জনক’(Father of Geometry) অভিধা লাভের সম্মান। দ্বিমাত্রিক জ্যামিতির উপর তাঁর আবিষ্কৃত স্বতঃসিদ্ধসমূহ(Axioms) আজো সমান গুরুত্বের দাবীদার। ইউরেকা! ইউরেকা! খ্যাত আর্কিমিডিস্(Archimedes; ২৮৭-২১২ খৃষ্টপূর্বাব্দ) ছিলেন একাধারে একজন গ্রিক গণিতবিদ, পদার্থবিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, জ্যোতির্বিদ ও দার্শনিক। যদিও তাঁর জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা গেছে, তবুও তাঁকে ক্ল্যাসিক্যাল যুগের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পদার্থবিদ্যায় তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে রয়েছে স্থিতিবিদ্যা আর প্রবাহী স্থিতিবিদ্যার ভিত্তি স্থাপন এবং লিভারের কার্যনীতির বিস্তারিত ব্যাখ্যাপ্রদান। পানি তোলার জন্য আর্কিমিডিসের স্ক্রু পাম্প, যুদ্ধকালীন আক্রমণের জন্য সীজ (siege) ইঞ্জিন ইত্যাদি মৌলিক যন্ত্রপাতির ডিজাইনের জন্যও তিনি বিখ্যাত। আধুনিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় তাঁর নকশাকৃত আক্রমণকারী জাহাজকে পানি থেকে তুলে ফেলার যন্ত্র বা পাশাপাশি রাখা একগুচ্ছ আয়নার সাহায্যে জাহাজে অগ্নিসংযোগের পদ্ধতি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। আর্কিমিডিসকে সাধারণত প্রাচীন যুগের সেরা এবং সর্বাকালের অন্যতম সেরা গণিতজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।তিনি পাই(∏) -এর প্রায় নিখুঁত একটি মান নির্নয় করেন।
লিভার সম্পর্কে আর্কিমিডিসের কথিত উক্তি, "আমাকে একটা দাঁড়ানোর জায়গা দাও, আমি পৃথিবীকে তুলে সরিয়ে দেব"
গ্রিক-রোমান ঐতিহ্যে এরপরে যেসব বিজ্ঞানী আসেন তাঁদের মাঝে থিওফ্রাস্টাস্(Theophrastus; ৩৭১-২৮৭ খৃষ্টপূর্বাব্দ), প্লিনী(Pliny the Elder; ২৩-৭৯ খৃষ্টাব্দ), টলেমী(Claudius Ptolemaeus বা Ptolemy; ৯০- ১৬৮খৃষ্টাব্দ) এবং গ্যালেনের(Claudius Galenus; ১২৯- ২১৭খৃষ্টাব্দ) নাম উল্লেখযোগ্য। প্লেটোর একাডেমীর ছাত্র থিওফ্রাস্টাস্ জীববিদ্যা, নীতিশাস্ত্র এবং ভাষাবিদ্যায় বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তিনি উদ্ভিদবিদ্যার জনক (Father of Botany) হিসেবে পরিচিত। রোমান সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা প্লিনী ছিলেন প্রকৃতিবিদ এবং লেখক। রোমান শাসনাধীন মিশরের বাসিন্দা টলেমী ছিলেন ভূগোলবিদ, জ্যোতির্বিদ, ও জ্যোতিষ। এছাড়া আলোকবিজ্ঞানে(Optics) তাঁর কিছু মৌলিক কাজ (আলোর প্রকৃতি, বর্ণ, প্রতিফল ও প্রতিসরণ সংক্রান্ত) রয়েছে। গ্যালেন ছিলেন চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও দার্শনিক। শারীরবিদ্যার(Anatomy) ক্ষেত্রে তিনিই বিজ্ঞানের পথপ্রদর্শক।
গ্রীক-রোমান ঘরানার বিজ্ঞানের আলোচনা শেষ করার আগমুহূর্তে হাইপেশিয়াকে(Hypatia; ৩৭০-৪১৫ খৃষ্টাব্দ) স্মরণ করতেই হয়। ধর্মীয় গোঁড়ামিতে আচ্ছন্ন বিজ্ঞানবিমুখ সমাজের নারী বাসিন্দা হয়েও এই মিশরীয় গণিতবিদ ও দার্শনিক অসামান্য অবদান রেখেছেন। আলেকজান্দ্রিয়া মিউজিয়ামের পরিচালক এবং একজন বড় মাপের গনিতজ্ঞ ও জ্যোতির্বিদ থিওনের অনিন্দ্যসুন্দরী এই কন্যারত্ন ইউক্লিড, টলেমীসহ বিভিন্ন গণিতজ্ঞের কাজের উপরে আলোচনা রেখে অমর হয়ে আছেন।
হাইপেশিয়ার এই ছবিটি আমার খুব প্রিয়
এর বাইরে ভারতবর্ষের বিজ্ঞানীদের অবদান নিয়ে কিঞ্চিত আলোচনা না করা ধ্রৃষ্টতার নামান্তর হবে। দর্শন, জ্যোতির্বিদ্যা এবং গণিতে এ উপমহাদেশের বিজ্ঞানীরা প্রাচীনকালে অভাবনীয় অবদান রেখেছেন। মহাবীর(महावीर; ৫৯৯-৫২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) প্রাচীন ভারতের তপস্বী বর্ধমানের প্রচলিত নাম, যিনি উত্তর পূর্ব ভারতে জৈন ধর্মের মূল ধারণাগুলোর প্রবর্তক। কিন্তু, ‘সিদ্ধান্ত’ গ্রন্থে ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যার ধারনা সংকলন তাঁকে অমরত্ব দিয়েছে। আর্যভট্ট(आर्यभट; ৪৭৬ – ৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) ভারতের প্রাচীন গণিতবিদদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত। প্রাচীন ভারতীয় গণিতের ইতিহাসে আর্যভট্টই মূল ব্যক্তিত্ব যার কিছু অবদানের কথা এখনও জানা যায়। তার বিখ্যাত রচনার মধ্যে রয়েছে ‘আর্যভট্টম’ এবং ‘আর্যভট্ট-সিদ্ধান্ত’। আর্যভট্টমে বেশ কিছু গাণিতিক এবং জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকথা পদবাচ্যের আকারে সন্নিবেশিত হয়েছিলো যা পরবর্তী কয়েক শতাব্দী ব্যাপী প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিলো। তাঁকেই শূণ্যের আবিস্কারকের মর্যাদা দেওয়া হয়। বরাহমিহির(वराहमिहिर;৫০৫-৫৮৭ খৃষ্টাব্দ) প্রাচীন ভারতের একজন বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ এবং কবি। তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞান ছাড়াও গণিতশাস্ত্র, পূর্তবিদ্যা, আবহবিদ্যা, এবং স্থাপত্যবিদ্যায় পণ্ডিত ছিলেন। ভারতীয় পঞ্জিকার অন্যতম সংস্কারক ছিলেন তিনি। পৃথিবীর আকার এবং আকৃতি সম্বন্ধে তার সঠিক ধারণা ছিল। ব্রহ্মগুপ্ত (ब्रह्मगुप्त; ৫৯৮–৬৬৫ খৃষ্টাব্দ) ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর যার কাজে উল্লেখযোগ্য গাণিতিক অবদান রয়েছে, যেমন চতুর্ভুজের ক্ষেত্রফল এবং কিছু বিশেষ ধরণের ডায়োফ্যান্টাইন সমীকরণের সমাধান। সম্ভবতঃ তাঁর কাজেই প্রথম শূন্য ও ঋনাত্মক সংখ্যার নিয়মিত ব্যবহার ঘটে। ব্রহ্মগুপ্ত হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে উজ্জ্বয়িনীর জ্যোতিষ্ক পরিদর্শনকেন্দ্রের অধ্যক্ষ ছিলেন। গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে তাঁর লেখাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল ‘ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত’। কণাদ পরমাণু ধারনার প্রবর্তক। ভাষ্করাচার্য (भास्कराचार्य;১১১৪-১১৮৫ খৃষ্টাব্দ) প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্যোতির্বিদ। পৃথিবীর ব্যাস প্রায় নির্ভূলভাবে গণনার প্রথম কৃতিত্ব তাঁর। তিনিই প্রথম ২২/৭ কে পাইয়ের মান হিসেবে প্রচার করেন।
প্রাচীন ভারতের মানচিত্র
পাঠকের ধৈর্য্যের চুড়ান্ত পরীক্ষা নিয়ে প্রাচীন বিজ্ঞানের ইতিহাসের প্রায় শেষদিকে আমরা। এমতাবস্থায়, প্রাচীন চীনা বিজ্ঞান নিয়ে বেশী কথা বলার অবকাশ নেই। তবে, একথাও ঠিক প্রথাগত বিজ্ঞানের চাইতে চীনে প্রযুক্তিগত কাজই বেশি হয়েছে। এক্ষেত্রে শুধু ফ্রান্সিস্ বেকনের(Francis Bacon; ১৫২১-১৬২৬) উক্তিটিই যথেষ্ট। “মূদ্রনশিল্প(Printing), গানপাউডার(Gunpowder) আর কম্পাস্(Compass)- (চীনের) এই তিনটি আবিষ্কার পৃথিবীর চেহারা পালটে দিয়েছিল।”
মুসলমানদের আবির্ভাবের পূর্বে এই ছিল মোটামুটি বিজ্ঞানের ইতিহাস। বলা যায়, কিছু কিছু ব্যাপারে বলার মত কাজ হলেও সবকিছু মিলিয়ে বিজ্ঞান তখনো প্রাথমিক অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয় নি। এখানে আরো লক্ষ্যনীয় যে, খৃষ্টীয় দ্বিতীয় দশকের পর থেকে বলার মত তেমন কোন বিজ্ঞানীর কাজ আমরা পাই না। শুধু তাই নয়, এর আগে যে সব কাজ হয়েছিল, সপ্তম শতকে মুসলমানদের হাতে আসার আগুমুহূর্ত পর্যন্ত সেসব সাধারন মানুষের প্রায় অজানাই ছিল। পাশ্চাত্যে প্রাচীন ইহুদীবাদ এবং নব্য খৃষ্টবাদের চলমান গোঁড়া দ্বন্দ্ব, মধ্যপ্রাচ্যে অগ্নিপুজার নামে চলমান কুসংস্কার এবং ভারতে শ্রেনীপ্রথার নিষ্পেশনে বিজ্ঞান হারিয়ে যেতে বসেছিল। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা না করে শুধু এটুকু বলাই ভাল হবে যে, অদূরভবিষ্যতে বিজ্ঞান মানুষের নাগালে আসবে কীনা তা নিয়ে সন্দেহ করার যথেষ্ট অবকাশ ছিল সে সময়। এরকম অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীতে আলোকিত করতে অন্ধকারতম আরবভূমিতে আবির্ভূত হলেন একজন মানুষ, মুহাম্মাদ(স)। না, তিনি প্রচলিত অর্থে বিজ্ঞানী ছিলেন না। তাহলে কী ছিলেন তিনি? সে কথা পরের পর্বে।
চলবে.....
ভূমিকা পর্ব
বিজ্ঞানের দর্শন পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৩