মধু পোকা, ও মধু পোকা, তোমায় একটা কথা বলার ছিলো,
আমার না একটা ভাবনা করিডোর আছে, সেখানে আছে সুখ পাখিদের বাসা,
ওরাও আজ একা, চুপ করে অপেক্ষায় আছে মধু পোকার জন্যে,
এতোটা নির্লিপ্ত হতে নেই পোকা, তোমার সামনের কাঁটা তারের বেড়া নেই, চীনের প্রাচীর নেই, একটা খোলা দরজা আছে, উঁকি দিয়ে দ্যাখো, কেমন সবুজ মাঠ, আলো ছায়ার খেলা, নির্জন নদী, ঝরনা অবাক পাহাড়, আর মেঠো পথ।
চলে এসো মধু পোকা, একটা শঙ্খ চিল তোমার অপেক্ষায় একা
-------------------------------------------------------------------------
আমার নির্লিপ্ত জীবনে যতটা কীবোর্ডের ভালোবাসা আছে ততটা রজনীগন্ধা ফুলের নাই,
আর তাই আমি ঘ্রান পাই বারুদের।
নস্টালজিয়া রাতের বুকে খুজি শুধু ধ্রুবতারা।
বাহুডোরে কেউ বাঁধে প্রেমিকার উষ্ম আলিঙ্গন,
আর আমায় বেধে রাখে অচিন শৃঙ্খল,
আমি কাঁদি না তাই, উপভোগ করে অশ্লীল অবগাহন,
প্রচন্ড ব্যাথাকে ছুয়ে দেয়ার অভিলাষে আক্রান্ত হই স্বেচ্ছায়,
পায়েলের শব্দে কারো বুকে জেগে উঠে প্রেম, আর আমার হয় ধ্যানভঙ্গের জ্বালা।
বিরক্ত হই আমি।
আহা এ যে অযাচিত কাব্য, কাম্য হতেই পারে না।
তবুও সেথায় আজ ফুটে উঠেছে গোলাপের বাগান,
সেথায় আজ অনুভূতির তীব্রতা,
আমার গরম চায়ের ফ্লাক্স, সিগারেটের আগুন, এসব আর ছুয়ে দিয়ে অনুভব করতে হয় না এই বিরক্তিকর জীবনটাকে।
সেথায় আজ স্নিগ্ধ আবেশ,
কে যে, কখন যে, কেন যে, এলে?
জানিনা, পুরোটাই তোমার করে নিলে,
লব্ধ ধারার প্রতিটি সুখ বিন্দুর মধ্যে অন্তর্বর্তী একটা নিউক্লিয়াস হয়ে,
ভাবি অনেক করে, তাও তার কুল যেন পদ্মা মেঘনার মোহোনার মত অধরাই রয়ে যায়,
আমি আজ অধরা যৌবনের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে ঠায়,
এ যেন শেষ হবার নয়, এ যেন অফুরন্ত, আবেশীয় বটে,
কে কাকে? এই প্রশ্নের উত্তর বাকি জীবনের হাতে।
এ বেলা চলো মুগ্ধ রাতে, হাতে হাত রেখে,
করিডোর ধরে হেটে যাই, বহুদুর বহুদুর,
কানাগলি এলে, আকাশ পথে ডানা মেলে,
উড়ে যাবো দু জনায়।
জেনে নাও, আমার দুইটি হাত আর নেই এখন,
সেখানে ডানা গজিয়েছে,
ডানার প্রতিটি কোষে কোষে একটাই পাদটীকা,
আমার মাধবীয়া লতা।