ফলের রাজা আম। অনেকেরই প্রিয় ফল এই আম। কিন্তু আমরা যারা আম খেতে পছন্দ করি তারা শুধুমাত্র স্বাদের কথা চিন্তা করে আম খেয়ে থাকি। আমরা অনেকেই জানি না আমে এমন ৫ টি স্বাস্থ্যকর গুণ রয়েছে যা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।
১. হজমে সহায়তা করে :
আমের মধ্যে এমন কিছু এনজাইম আছে যা প্রোটিন ভাঙতে সহায়তা করে থাকে। এ কারণে ভারী খাবার খাওয়ার পরে আম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। ফলে থাকা বিভিন্ন ফাইবার কন্টেন্ট যেমন ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোবায়োটিক ডায়েটারি ফাইবার ভারী খাবারকে দ্রুত ভেঙ্গে ফেলতে সহায়তা করে। এর ফলে খুব সহজেই হজমক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
২. ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে :
আমে অল্প পরিমাণে অর্থাৎ ৪১-৬০ সূচক পরিমাণে গ্লাইকেমিক থাকে যা আশ্চর্যজনকভাবে শরীরে থাকা সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। অতিরিক্ত সুগার নিঃসরণ করতে সাহায্য করে। ফলে যখনই পারেন খাবারের পরপর বেশি করে আম খান।
৩. কোলেস্টরেল কমায় :
আমে থাকা ফাইবার, ভিটামিন সি এবং পেকটিন দেহের সেরাম জাতীয় কোলেস্টরল কমিয়ে আনে বিশেষ করে কম ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন কোলেস্টরল যেটি দেহের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিসাধন করে থাকে। সুতরাং কোলেস্টরল কমাতে প্রচুর পরিমাণে আম খান।
৪. চোখের জন্য ভালো :
আম চোখের জন্যও অনেক উপকারী। আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায় যেটি চোখের জন্য অনেক উপকারী। ভিটামিন এ রাতকানা রোগ সারায় এবং শুষ্কতা ভাব কমায়। এক কাপ আমের রস দেহে ভিটামিন এ এর প্রতিদিনের চাহিদার ২৫ শতাংশ পূরণ করে থাকে।
৫. কামোদ্দীপক হিসেবে কাজ করে :
ভিটামিন ই কামোদ্দীপকের কাজ করে। আমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই যা কামোদ্দীপকে সহায়তা করে থাকে। এটি স্ত্রী হরমোনকে উত্তেজিত করে তোলে। নারী পুরুষ উভয়েরই কামোদ্দীপনা জাগ্রত হয় আমে থাকা ভিটামিন ই এর কারণে
ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও ফরমালিন মুক্ত রাজশাহীর হীম সাগর/খিরসাপাত আম।