১২ ঘন্টা আগে পোস্ট করা একটি ভিডিও চোখে পড়লো। একজন মডেল এবং এক টিভি চ্যানেলে কাজ করা এক কর্মচারী। মানুষ আগে যেভাবে সুইসাইড করার আগে কিছু লিখে যায় মেয়েটি সেই একইভাবে ভিডিও করে কিছু কথা শেয়ার করে আত্মহত্যা করেছে! প্রেমের সম্পর্কে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় এই আত্মহত্যা। অতঃপর একটি করুণ মৃত্যু। ভিডিওতে উল্লেখ করে যাওয়া মানুষটিকে যার জন্য মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া সেই আসামীকে নিয়ে কি হবে তা মোটামুটি আন্দাজ করা যায়। যেখানে প্রত্যক্ষভাবে খুনে অংশ নেওয়া আসামীর বিচার হয় না সেখানে পরোক্ষভাবে খুনের ভাগীদার হয়ে কেও শাস্তি পাবে ব্যপারটা এইদেশে খুবই দুর্লভ। একটা জীবনকে শেষ করে লাভের কোনকিছুই কি হলো? না। কিছুই হলো না। শুধু একটি সম্ভাবনাময় জীবন অকালে ঝড়ে পড়লো,বাবা মা একজন সন্তান হারালো কেও তার বন্ধু হারালো। ব্যস। কাজ শেষ। কয়েকদিন একটু কান্নাকাটি করবে সবাই। আস্তে আস্তে সবাই ভুলে যাবে সবকিছু। হয়তো এরপর বছরে একটা দিন একটু স্মরন করা হবে। এটুকুই। এর থেকে আর বেশি কিছু আশা করা যায় না। শুধু এটুকু পাওনার জন্য কি আমরা মানুষ হয়ে জন্মেছি। বাবা মা কি এভাবে মরে যাওয়ার জন্যই আমাদের পেছনে তাদের সবটুকু বিলিয়ে দেন?
অবাক লাগে এসব দেখলে। জীবনের দাম আসলেই অনেক কমে গেছে। আমরা এখন পরীক্ষায় ফেল করার পর আত্মহত্যা করি, কারো থেকে বকা খাওয়ার পরেও আত্মহত্যা করি, প্রেমঘটিত ব্যাপার নিয়ে তো অহরহ হচ্ছেই।
আর যাই হোক এটা কোন সমাধান হতে পারে না। সমাধান একটাই। যার জন্য কষ্ট পাচ্ছি তাদের দেখিয়ে দেওয়া আমি পারি। যার জন্য কষ্ট পাচ্ছি তার মুখে পরাজয়ের গ্লানি সচোক্ষে দেখা।
মরে গেলে কি আবার মানুষদের দেখা যায়?
বোধ হয় না।
তাহলে কি লাভ নিজের জীবনটাকে শেষ করে?
কষ্ট থেকে বাঁচা যায়?
খুব সম্ভবত।
কিন্তু এখনের কষ্টটাকে চিন্তা না করে আমরা সেটা চিন্তা করি না যে বেঁচে থাকলে হয়তো কষ্টকে ভুলে যাওয়ার জন্য খুব বেশি সুখ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা কেও চিন্তা করি না যে আমাদের চলে যাওয়াতে আরো অনেকের ক্ষতি হবে। আমার শুধু নিজেদের বর্তমানটাকেই চিন্তা করি। বরই স্বার্থপর আমরা। খুব বেশি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭