বয়স যদিও খুব একটা বেশি না তবুও শৈশবে আগেরকার দিনের ছোঁয়া সামান্যটুকু হলে পেয়েছিলাম। তখনো মুঠোফোন ছিলো না। ছিলো না বললে ভুল হবে.. ছিলো কিন্তু একেবারেই নগন্য।।আমি সেই সময়ের কথা বলছি। ক্লাস ফোরে থাকাকালীন সময়ে আমার এপেন্ডিসাইটিসের সমস্যা হয়েছিলো। অপারেশন করে হসপিটাল থেকে যাওয়ার পর প্রথম যেদিন ক্লাসে গেলাম বন্ধুদের যে ভালোবাসা পেয়েছিলাম আজ ১৪ বছর পরও স্পষ্ট চোখে ভেসে উঠে। কেও আমাকে ফেবুতে ম্যাসেজ দিয়ে বলেনি দোস্ত ভালো হয়ে যা তাড়াতাড়ি কেও কল করেনি। তবুও আজ সেই পুরানো দিনটাই খুঁজে ফিরি। ওইটাই ছিলো আসল ভালোবাসা। এখন কেও।সামান্য জ্বরেও ম্যাসেজ দেয় ফেবুতে ট্যাগ মেরে স্টেটাস দেয় ব্রো গেট ওয়েল সুন.. মিসিং ইউ। এসব আমাকে যতই বলা হয় কেমন জানি অস্বস্তি বোধ করি। কারণ এসব কৃত্রিমতায় ভরা ভালোবাসা।আজ কারো জন্মদিন। সে পাশেই আছে। তবুও তাকে সেখানে উইশ না করে অথবা উইশ করলেও ফেবুতে ছবিসহ একটা পোস্ট দেওয়ায় লাগে। না হলে পেটের ভাত হজম হয় না। অথচ আগে কতই না সুন্দর ছিলো।
সময় চলে যাচ্ছে.. বদলাচ্ছি আমরাও।তবে স্বাভাবিকভাবে না। অস্বাভাবিকভাবেই বদলাচ্ছি। কৃত্রিমতাকে আপন করে নিচ্ছি সব ক্ষেত্রেই। প্রয়োজনেরও মাত্রাতিরিক্ত বেশি ভাবে। যদি সব হয়ে যেতো আবার সেই পুরানো দিন। পুরানো বন্ধনগুলোর মতই সকল বন্ধন হয়ে উঠত নজরকাড়া ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। আসলেই যদি পাওয়া যেতো........
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:১১