ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ তারিখ আজ। নীলাঞ্জনার জন্মদিন। দুর্ভাগ্য কিংবা সৌভাগ্যবশত ৪ বছরে নীলাঞ্জনা মাত্র একবারই জন্মদিন পালন করতে পারে।
৩ বছর আগে নীলার সাথে স্বাধীনের পরিচয়। আদর করে নীলাঞ্জনাকে সে নীলা ডাকে। প্রথমে বন্ধুত্ব। ৪ মাস পড়ে সেই বন্ধুত্ব একটু সামনে পা বাড়ায়। নিজেদের অজান্তেই তারা একে অপরের প্রেমে পড়ে যায়। বন্ধুত্ব হওয়ার পর থেকেই স্বাধীন অপেক্ষায় ছিলো আজকের দিনটার। তার জন্য নীলার জন্মদিন অনেক বড় কিছু। সে আজকের এই দিনটাকে তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন বানাতে চায়। আর তাই অনেক পরিকল্পনা করে স্ববাধীন নীলার বাসার নিচে এসে দাড়ায়।
নীলার আসতে বোধহয় একটু দেরি আছে। একটু আগে করেই সে চলে এসেছে। সে অপেক্ষা করছে নীল শাড়ি পড়া তার সবচেয়ে কাছের মানুষটাকে দেখতে। স্বাধীনই আবদার করে বসেছিলো যে নীলাকে নীল শাড়ি পড়েই আসতে হবে। আর সে জানে নীলা তার এই সামান্য আবদার অবশ্যই রাখবে।
নীলার আসতে দেরি হচ্ছে। কিন্তু স্বাধীনের মধ্যে অধৈর্যতার কোন লক্ষণ নেই।।হয়তো মেয়েটা সাজতেই দেরি করে দিচ্ছে। চিন্তা করেই মুচকি হাসল স্বাধীন।
নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর নীলার বাড়ির গেইট খুলল। নীলাই এসেছিল। কিন্তু নীল শাড়ি পড়ে না। আর হ্যা নীলা একা আসে নি। সাথে আরো অনেকেই ছিলো। অচেতন নীলাকে নিয়ে তার বাড়ির লোকেরা হুরোহুড়ি করে বের হয়েছিলো। আর সাথেসাথে হঠাৎ করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাইরেন বাজিয়ে একটা অ্যাম্বুলেন্স এসে নীলাকে তুলে নিয়ে গেল।
স্তম্ভিত হয়ে পড়ে স্বাধীন। অনেকটা ধপাস করেই ফুটপাতে বসে পড়ে সে, যেন আস্ত একটা মানুষের মূর্তি বসে আছে সেখানে। যতদুর পর্যন্ত দেখা যায় অ্যাম্বুলেন্সের দিয়ে তাকিয়ে রইল সে। তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে নীলা..... অ্যাম্বুলেন্স.....জন্মদিন......................।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫