আজ ভাবনাগুলো কেমন যেন সুযোগ করে নিল
জানালার পর্দাগুলো মৃদূ বাতাসে দুলছে
মাথার উপর সিলিং ফ্যানটা ইচ্ছে করেই বন্ধ রেখেছি
পুরো গা ঘামছে
মনের ভাবনাগুলো স্পর্ধা পেয়ে বসলো-
প্রেমিক ছিলে তুমি
আজ প্রতিবেশী হলে।
শুধুমাত্র একটা কাগজে তোমার দস্তখত
আর আমার বাধ্য হওয়া।
আমাদের ঘরের সেই ফুলদানিটায় জমে যাওয়া
ধুলো ময়লা পরিষ্কার করতে যেয়ে
হাত থেকে ফোঁসকে পড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার মতো
খতবিক্ষত হয়ে গেল আমার ভালবাসার ঘরটা।
তোমার এক কলিগ মারফত জানতে পারলাম
তুমি বিয়ে করে সবকিছু নতুন করে সাজিয়ে নিয়েছো।
আমার সে পথে হাটার সুযোগ বাঁ ইচ্ছা কোনটাই হয়নি।
আমাদের ধ্রুবকে বড় করতে গিয়ে
কখন যে সময়গুলো কেটে গিয়েছে
আমার ভাবার অবকাশ হয়নি ।
এখন ছেলে বড় হয়েছে ঢাকায় থেকে পড়াশুনা করে
পুরো বাড়িতে আমি বড় একা
অফিসের কাজের ব্যস্ততায় সময়গুলো কোনরকম কেটে যাচ্ছিল ।
কিন্তু আজ সব কিছু আমার সামনে কেমন যেন থমকে দাড়ালো
সবকিছু আমার কাছে কৈফিয়ত চাওয়া শুরু করলো
একটু একটু করে শেষ হয়ে যাওয়া শেষটুকু আমি
কি করে এতোকিছুর জবাব খুজে পাবো।
নিয়ম নীতির এই সামাজিক পৃথিবীতে
নিজেকে আজ নীতি বিরুদ্ধ ঘোষণা করতে ইচ্ছে করছে
আমাকে একটু একটু করে শেষ করার অধিকার
আমি কাওকে দেইনি, তবু সবাই কেমন করে যেন নিয়ে রেখেছে।
আমার ভাল থাকার অধিকার
আমার সুখী থাকার অধিকার
আমার মুখে এক চিলতে হাসির অধিকার
ওরা ওদের মতো করে নিয়ে রেখেছে
ওরা চাইলে আমি হাসি, নীরবে চোখের জল ফেলি
আবার সবার ইচ্ছে মতো আমি নিঃস্ব জীবন কাটি।
আজ অনেক অভিমান ক্ষোভ বেদনায় ভরে গেছি আমি
মৃত্যুকে অনেক ভয় পাই
তবু আজ মনে হয় বেচে থাকার চাইতে মৃত্যু অনেক সহজ।
হে বিশ্ব বিধাতা সকল অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে আমার
তোমার কাছে শুধু এইটুকু চাওয়া
উদার তুমি, তোমার কাছে চেয়ে নিচ্ছি আমার মৃত্যু অধিকার।