একটা জগৎবিখ্যাত কবিতা লিখবো বলে
দু দিন দু রাত ধরে শুধু ভেবেই চলেছি।
তোমাকে নিয়ে কবিতা সাজাবো বলে
এই কয়েকদিন তোমায় লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছি
তুমি রুম থেকে বেরিয়ে বেলকনিতে এসে কিছুক্ষন দাড়িয়ে
আবার রুমে চলে যাচ্ছো
মাঝে মাঝে কি জানি কি গানে গলায় সুর তুলছো
তোমার রুম থেকে আমার রুমের দূরত্ব খুব বেশি না হলেও
তোমার স্পষ্ট গলার সুর শুনার জন্য যথেষ্ট কাছেও নয়।
ফেসবুকে তোমায় ফলো করছি, তোমার সেলফি দেখছি
নানা ধরনের ক্যাপশনে তোমাকে যতটা সুন্দর লাগে
তার থেকেও অনেক ভাল লাগে
যখন তোমাকে সাদামাটা সাজে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি।
আচ্ছা, রোজই তোঁ তুমি ছাদে আসতে
ছোট ছোট চারা গাছে পানি দিতে,
দোলনায় বসে দোল খেতে
মাঝে মাঝে সব ছোট ছোট বাবুদের সাথে
কি সব ছেলেমি খেলায় মেতে উঠতে
আমি দূর থেকে চেয়ে চেয়ে দেখতাম
তুমি হাসলে আমিও হেসে ফেলতাম
আবার চারপাশে তাকিয়ে আরেকটু সতর্ক হয়ে
নিশ্চুপ তোমাকে শুধু দেখেই যেতাম।
বেশ কদিন ধরেই তোমাকে বেলকনিতে আসতে দেখছি না
ছাদের ছোট ছোট চারা গাছগুলোতেও পানি দিচ্ছ না।
আচ্ছা তুমি কোথায় হারিয়ে গেলে বলতো
নাকি সবার সাথে লুকোচুরি খেলছো
এ তোমার কেমন খেয়ালীপনা বলতো
ছোট ছোট চারা গাছের
কচি সবুজ পাতাগুলো যে তোমার আদর যত্নের অভাবে
কেমন মলিন হয়ে যাচ্ছে।
মৃদু বাতাসে ভেসে যাওয়া তাদের হৃদয়ের হাহাকার
একটি চারাগাছ থেকে পূর্নাংগ গাছ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা
তোমার হৃদয় অবধি কি পৌচাচ্ছে না।
তুমি বাতাসের গায়ের গন্ধ শুকে কি বুঝতে পারছো না
তোমার প্রতিক্ষায় কেটে যাওয়া মুহূর্তগুলো
প্রচন্ড রৌদ্রতাপে কেমন করে পুড়ে যাচ্ছে।
মাথা নুইয়ে পড়া কচি সবুজ গাছগুলো
এখনো বেচে আছে তোমার রেখে যাওয়া
ভালবাসার
জমা থেকে একটু একটু করে সারা গায়ে বুলিয়ে
তুমি আসলে আবার চারাগাছগুলো মাথা তুলে দাঁড়াবে
ছোট বাবুরা খেলার সঙ্গী পাবে
পরে থাকা দোলনাটা আবার কাজে লেগে যাবে
বাতাসে ভেসে আসা তোমার গুন গুন করে গাওয়া গান
আমাকে তা তা থৈ থৈ তালে নাচাবে।
তুমি আসলেই
বেলকনিটা আবার তোমার পদচারণায় পূর্ণতা পাবে।