প্রতিদিন পা ছুয়ে সালাম করি
হয়তো কখনো কখনো পা ধরে
কদমবুচির করার সময় অশ্রুও ফেলি
এখনো তোমার দেয়া বেদনাকে
বুকের ভেতরে রেখে চরম আদর করি
সে কষ্টের তীব্রতা যখন বেড়ে যায়
তখন তাকে তীর ভাঙ্গা এক বাসরঘরে নিয়ে আসি
সবচেয়ে বেশী কষ্ট দেয় আমায়
তোমার ঐ দুটি চোখ
বিদগ্ধ ঝলসে পড়া পাজড়গুলো তৃষ্ণার্তো হয়ে উঠে
প্রতিনিয়ত ক্ষরণ করে আমার এই ঝলসানো বুক
তোমার দেয়া সেই সুখের স্মৃতি
ঐ বড় বটগাছটায় আমাকে চোর মনে করে বেধেঁ
মিনিট, সেকেন্ড, ঘন্টা, দিন, রাত, মাস, বছর
সবাই যেন একের পর এক করে ব্যাত্রাঘাত
আবার কেউ মারে থাপ্পর, কেউ মারে চপোটাঘাত
তোমার কি মনে আছে
সেইযে আমার হাতে হাত রেখেছিলে
আমার কিন্তু এখনো তা মনে আছে
এখনো আমার হাত দেখলে চোখের কোণে জল চলে আসে
তোমার কি মনে আছে
এই বুকে মাথা রেখে, কথা দিয়েছিলে
এই, তোমার বুকে এত কম্পন কিসের
কিসের এতো ভাঙ্গন,যেন সাগর তীর ভাঙ্গসে...
সেদিন তোমায় বলতে পারি নি যে
কখনো হারাতে চায় নি তোমার ভালোবাসাকে, তোমাকে
এখনো আমার অশ্রু চিৎকার দেয়, তোমাকে ডাকে
তুমি কোথায়, কোথায়; কোথায় তুমি আমার চিৎকার কি শুনতে পাচ্ছো
শুনতে পাচ্ছো আমার এই আত্মনার্দ, আমার বোবা কান্না
যদি শুনতে পা,ও তবে কি তোমার চোখের কোন জল জমে না
একটু কষ্ট আমার, তোমার বিশাল আকাশে একপশলা বৃষ্টি ঝড়ায় না
তোমার মনে আছে কি
সে রাত, তখন ২.৪৫ মিনিট ছিল
চারিদিকে যখন আধাঁর গিলে ফেলেছে আলোগুলোকে
শাষন করেছে নিশব্দ রাতটা পৃথিবীর সব চিৎকারকে
নীটল পা দুটো আমার দিকে যেন মৃদু আলোয় সেসময় চেয়ে আছে
তোমার চোখ যেন আজ বন্যা বা সাইক্লোন হওয়ার সংকেত দিচ্ছিল
কিন্ত আমার বিবেক কেন সেদিন আমায় তাড়া করছিল
তোমার সেই কোমল হাত হঠাৎ করে আমার হাতে যখন পড়লো
সাড়া শরীর শিহরণে কাপাঁয়ে উঠলো, অজানায় ঠোটঁগুলো কাপঁতে লাগলো
কিন্তু বিবেক কেন সেদিন আমায় এতো তাড়া করছিল
জানি আমার মনের সেই উত্তাপ রক্তকণাগুলি
আজ শীতল ঠান্ডা থেকে কঠিন ঠান্ডা হয়ে গেছে
এখন ভয় হয়, আমার এই অশান্ত মনকে
আবার কেউ যদি এসে
কারগিলের যুদ্ধের চেয়ে ভয়ানক যুদ্ধ বাধিঁয়ে বসে.....
এখন সবচেয়ে বেশী ভয় হয়
কারো সঙ্গে হতে পরিচয়
জানি কখনো তাকে বিলিয়ে দিতে পারবো না আমার এই হৃদয়
কারণ সে আজো বালিশে মাথা গুজে তোমায় ভেবে কান্না সাগরে ভাসমান রয়....
উৎস্বর্গ: অশ্রুভেজা চোখদুটোকে
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ২:২৮