এই সেই গাছ
ফুলে-ফলে ভরেছিল একদিন।
সে সুখের ভারে নুয়ে পড়েছিল সে।
সৌরভে-গৌরবে সে ফল আজ তার
ছড়িয়ে পড়েছে দেশ থেকে দেশে।
শুধু সেই গাছ পড়ে আছে একা
ফুলহীন-ফলহীন-ভালবাসাহীন।
তার খুঁজ কেউ নেয়না এখন।
ছায়া দিয়ে মায়া দিয়ে সেই গাছ
যে ফলকে পুষ্ট করেছিল এতদিন
অনেক বড় হয়েছে আজ সে ফল
শুধু ভুলে গেছে তারে মাকে।
একদিন ফলের ভারে নুয়ে পড়া সেই গাছ
আজ বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে আবার।
এখন সে ছায়া খুঁজে তার ফলের কাছে।
মায়ায় জড়িয়ে থাকতে চায় তাদের সাথে।
কিন্তু এত সময় কোথায় সেই সন্তানের ?
ছায়া দিয়ে মায়া দিয়ে আগলে রাখবে তার বাবা-মাকে ?
কেনই বা টানবে অহেতুক এ জঞ্জাল সংসারে ?
তাই সেই বৃদ্ধ গাছ, সেই বাবা-মা
অপাক্তেয় আজ সংসারে, তার ফলের কাছে।
ঠাঁই হয়েছে তাদের বৃদ্ধাশ্রমে।
যে সংসার ফুলে-ফলে সাজিয়েছিল তারা
সে সংসারের কোন কোণে জায়গা হয়নি তাদের।
তবু সেই মা, সেই বাবা, সেই বটবৃক্ষ
আজও সন্তানের সুখ কামনা করে তার পথ চেয়ে।
বৃদ্ধাশ্রমে বসে পেছনফেরা সময়ের মালা গাঁথে তারা।
সেখানেও বারবার ফিরে ফিরে আসে
তাদের ফলেভরা সংসার-সন্তান।
পত্র-পুষ্পে সুশোভিত ভালবাসার সেই দিন গুজরান।
তবু ভাল আছে তারা !