গল্পটা হতে পারতো প্রেম বিষয়ক
বাক্যের বাগানে রোম্যান্সের সুসজ্জিত স্মেল
অথবা হতে পারতো হুবহু বিরহ আখ্যান
পৃষ্ঠাজুড়ে থই থই একমাথা দীঘি।
হতে পারতো জীবনযুদ্ধে যুবকের কুশীলতা সংক্রান্ত
ক্লাইমেক্সে প্রশংসার তুমুল উন্মাদনা,
ব্যাকরণের ব্যাপক বাঁধাধরায় হতেপারতো
বিখ্যাত খেতাবপ্রাপ্ত ‘দরিদ্রেরজীবনীমূলক’
অথবা রচণাশৈলীর নিপুণ উপস্থাপনেবর্ণিত
বিত্তবানের কিছু মসৃণ মুহূর্তেরঝকঝকে ছক
অথচ এগল্পে এসব কিছুই নেই!
শিহরণ আনা ভুতুড়ে নির্জন জঙ্গলে পথ হারানো,
গোধূলির গোপন গুহায় অন্তরীণ অভুক্ত পর্যটকের
চোখে সে কি তুখোড় কান্নার বন্দীদশা,
হালভাঙা জলযানের সাহসী মাঝি কম্পাসের
কেরামতি ছাড়া কি করে খুঁজে পায় গন্তব্যের নিশানা
সেসবের ঠাঁই হতে পারতো এ গল্পে,
কিছুই হলো না, গল্পটা অন্যরকম
কেবল একটা বোতাম আশ্রয় করে
তরতরিয়ে বেড়ে উঠলো গল্পলতা…
যে ব্যাথার বরফ বোতাম ছুঁয়ে নির্নিমেষে
আমি নিজেই হয়ে গেলাম বরফের মাস
তারপর শ্বাসজুড়ে শুধুই ঘুমের গন্ধ!