দুপুর বেলা। ঝা ঝা রোদ পড়েছে। আজ হরতাল। রাস্তা খালি। আমরা রাস্তায় দাড়িয়ে আছি। কিছু করার নেই। ডিউটি। খুব তৃষ্ণা পেয়েছে। এক গ্লাস সরবত পেলে খারাপ হতো না। কিন্তু সব দোকানপাট বন্ধ। জানের ভয় সবার আছে।
“সার ঠান্ডা পানি খাইবেন।” তাকিয়ে দেখলাম এক পিচ্চি মেয়ে। আট কি নয় বছর হবে।
“এক গেলাস কত?”
“সার আপনের তন ট্যেকা দেওন লাগব না।” পাশের মুচিটি বলল।
চেহারা দেখে বুঝলাম এ ওই পিচ্চির আত্মীয় হবে।
“এইডা তর কেডা।”
“মাইয়া সার।”
“ওই বাড়িত যা গা। আইজ আর পানি বেচিস না। অবস্থা ভালা না।” পঞ্চাশ টাকার একটি নোট দিয়ে মেয়েটিকে ঝাড়ি দিলাম।
এমন সময় পিকেটারদের একটি মিছিল রাস্তা দিয়ে আসছিলো। কেউ কেউ দেখলাম আমাদের দিকে ইট-পাথর ছুড়ে মারছিল। আমরা পজিশন নিলাম। উপর থেকে বলা হয়েছে যারা ঝামেলা করবে তাদের সামাল দিতে প্রয়োজনে গুলি করতে হবে। এস আই সার চিৎকার দিলেন “হোল্ড।” আমরা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ালাম। “এইম।” আমরা অস্ত্র তাক করলাম।
হঠাৎ খেয়াল করলাম সেই মুচিওয়ালা আর তার মেয়ে তাড়াহুড়া করে পালাচ্ছে কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের লাইন অভ ফায়ারে রয়েছে। “ফায়ার” বোমা ফুটলো যেন। আমরা গুলি চালিয়ে দিলাম।