ব্লগার চাচামিঞা হঠাৎ করেই একখান ডাক দিয়ে ফেললেন গুলশান এলাকায় যারা কাজ করেন একখান অফিসিয়াল আড্ডা দেই...... এই টাইপ।
এরপর একটু একটু করে সে ডাক বাড়তে লাগলো......সবাই জানেন আজকে সেটা পরিবর্তিত হয়ে কালপুরুষ দার বাড়ীর ছাদে বসার কথা বিকেল ছটায়।
বাঙ্গালী টাইম মেনে আমি ছটায় বাসা থেকে বের হলাম, পড়লাম বৃষ্টির কবলে, তারপর তড়িঘড়ি এক লক্কর ঝক্কর টেক্সিক্যাব এ উঠে পড়লাম, চারকোনা বাক্সটা খটর খটর করতে করতে পৌছে দিল বনানী। আমার মান সম্মান বাঁচছে কেউ ঐটার চেহারা দেখে নাই

স্টার কাবাবের সামনে যেয়ে কালপুরুষ দাকে ফুনাইলাম, দাদা বাসা কোনদিকে? বিশেষ কষ্ট হল না বাসা চিনতে, বাসার সামনে দেখলাম দুইজন দাঁড়িয়ে, দারোয়ান এর সাথে বাতচিৎ করছে। মনে হল এরা ব্লগার। আমি বললাম কোথায় যাবেন? ভাবখান এমন এইটা আমার বাড়ী



জানপরী, শামসীর, পাথুরে, রাতমজুর এদের সাথে পরিচয় হল। একটু পর এলেন পল্লী বাউল, মানবিক। এরপর পারভেজ ভাই, উনাকেও আগে চিনি। জানপরী বলল যারা পরে আসবে তাদের গাল দিতে হবে কাজেই উদ্যোক্তা চাচামিঞাকে কি কি গাল দেয়া যায় সেটা ঠিক করা হোক।
জানা গেল শামসীর আর পাথুরে একই অফিসে একই ফ্লোরে বসেন, আর তাদের ব্লগীয় পরিচয় ফাঁস হল আজ


আজকের ব্লগারদের মধ্যে বেশীরভাগই অপরিচিত। মূলত আমি একটা পরিচিত গন্ডির ব্লগারদের লেখা পড়ি, কমেন্ট করি (হয়তো সবাই তাই); আজকের ব্লগারদের প্রায় সবারই ব্লগ আগে পড়া হয়নি। কাজেই তারাও কেউই জানতেন না, আমি মেয়ে নাকি ছেলে!

কালপুরুষ দার কল্যানে মোগলাই পরোটা আর চা এসে গেল, দুবার তিনবার করে খাওয়া চলল। ক্যামেরার ফ্লাশ এ বিকেল টা ধরে রাখার চেষ্টা করলেন আমাদের হোস্ট। তবে নায়োকোচিত ব্লগার রা তাদের ছবি ব্লগে প্রকাশ হবে না এ অঙ্গীকারের পরই কেবল ছবি তুলতে সম্মত হন।
সন্ধ্যার সময় এলেন অন্ধ দাঁড়কাক, কিছু পরে পিচ্চি শামীম ( এসেই খাবার নিয়ে বসে গেল)। কালপুরুষ ভাবী এসে যোগ দিলেন আমাদের সাথে। আমাদের আড্ডা যখন তুঙ্গে তখন এলেন কৌশিক। এরই মাঝে চাচামিঞা আড্ডা থেকে বিদায়ের ঘোষনা দিলেন, ফাঁক পেয়ে আমিও বাই বাই দিলাম।
এরপর আড্ডা আরো জম্পেশ হয়েছে ধারনা করতে পারি। কারন এতক্ষন আমি থাকাতে ওদের সেন্সর করে কথাবার্তা বলতে হয়েছে, চলে আসায় নির্বিঘ্নে মন খুলে কথা বলেছে

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:১৯