ছবি সূত্র: গুগল
কুইবেক ইমিগ্রেশন এর ARRIMA পদ্ধতি
সম্প্রতি ক্যুবেক প্রভিন্স তাদের ইমিগ্রেশন সিস্টেমে বেশ পজিটিভ কিছু পরিবর্তন এনেছেন। এর ফলে ক্যুবেকে ইমিগ্রেশন নিয়ে এখন অনেকেই যাবার স্বপ্ন দেখছেন। ক্যুবেক ইমিগ্রেশনের নতুন ARRIMA পদ্ধতি বাংলাদেশীদের জন্যেও আশার আলো।
কুইবেক ইমিগ্রেশন এর এই ARRIMA পদ্ধতির ব্যাপারে যারা অনেক অনেক প্রশ্ন মাথায় নিয়ে ঘুরছেন, তাদের জন্য এই পোস্টটি লিখতে বসা।
এই মাস থেকেই এই পদ্ধতির এপ্লাই শুরু হয়েছে। এর আগের যে First come-first serve পদ্ধতি ছিল, যা আর কুইবেক ইমিগ্রেশনের জন্য ব্যবহৃত হবে না।
ARRIMA পদ্ধতিতে আবেদনকারী ভার্চুয়াল ওয়েটিং রুমে প্রবেশের পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন এবং যখন তার টার্ন আসবে, তখন থেকে তিনি নব্বই মিনিট টাইম পাবেন তার অনলাইন পোর্টাল তৈরি করার জন্যে। নব্বই মিনিট পর উক্ত সেশন এক্সপায়ার হয়ে যাবে। তবে অসম্পূর্ণ এই রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করার জন্যে আবেদনকারী ত্রিশ দিন সময় পাবেন। এবং পূর্ণাঙ্গ এই অনলাইন পোর্টাল ভ্যালিড থাকবে এক বছরের জন্যে।
অনলাইন এই পোর্টাল তৈরি করার জন্যে বিশেষ কোন রিকোয়্যারমেন্টের ঘোষণা এখনও তারা দেননাই। অর্থাৎ, ধরে নেয়া যায় আগের মতোই ক্যুবেক পয়েন্টগ্রীড রিকোয়্যারমেন্ট ফলো করে যে কেউ তার অনলাইন পোর্টাল তৈরি করতে পারবেন। অত:পর সেই সকল অনলাইন পোর্টালের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থীগণ ক্যুবেক সিলেকশন সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য আবেদন করার ইনভিটেশন পাবেন।
তবে কারা কারা এই ইনভাইটেশন পাবেন, সেই রিকোয়্যারমেন্টের ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট নীতিমালার কথা এখনও তারা উল্লেখ করেননি। তবে ধরে নেওয়া যায় যে, এক্সপ্রেস এন্ট্রির CRS পদ্ধতিকে তারা ফলো করতে পারে।
আর একটি কথা না বললেই নয়। যখন একজন আবেদনকারী EOI পুলে নিজের অনলাইন পোর্টাল তৈরি করবেন, তখন তাকে কিছুটা ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারেন কেননা সম্পূর্ণ পোর্টালটাই ফ্রেঞ্চ ভাষায়। তবে গুগল ট্রান্সলেটর থাকাতে এই চ্যালেঞ্জটি খুব একটা বড় সমস্যা নয়। যখন পোর্টাল তৈরি করতে থাকবেন, আপনার কম্পিউটারের অন্য একটি ট্যাবে গুগল ট্রান্সলেটর খুলে রাখবেন এবং কপি পেস্ট এর মাধ্যমে ফ্রেঞ্চ টু ইংলিশ সিলেক্ট করে সহজেই নিজের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। প্যানিক হবার কিছু নেই কেননা আপনার হাতে ত্রিশ দিন সময়তো রইলোই।
তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি এই নতুন পদ্ধতিকে স্বাগত জানাই। কেননা পূর্বে যেহেতু এই পদ্ধতিটি First come first serve ছিল, তাই, এই ইমিগ্রেশন পদ্ধতিতে আবেদনকারীর যোগ্যতা তেমন কোন প্রাধান্য পেতোনা। কিন্তু এখন যেহেতু ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সিলেক্ট করবেন যে কারা কারা ইনভিটেশন পাবেন, তাই আশা করা যায়, যোগ্য প্রার্থীরা এই ইমিগ্রেশন পদ্ধতিতে সফলতা লাভ করবেন। পাশাপাশি ক্যুবেক ইমিগ্রেশন তার ধীর গতির জন্যে যতটা বদনাম কুড়িয়েছিল, সেই দুর্নামও ঘুঁচবে বলে আশা করা যায়।
সূত্র: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৩