somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনি কি কানাডা'র নতুন অভিবাসী হয়ে আসছেন? তাহলে এ লেখাটি আপনারই জন্যে - পর্ব ৯

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কানাডাতে বাংলাদেশি নতুন ইমিগ্র্যান্টদের জন্য তথ্যমূলক ধারাবাহিক এই লেখাটির প্রথম থেকে অষ্টম পর্ব সামহোয়্যার ইন ব্লগে প্রকাশিত হবার পর থেকে পাঠকদের অভাবনীয় সাড়া পেয়েছি। অনেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন নিয়ে ই-মেইল করেছেন এবং করছেন। এই পর্বে নতুন কিছু তথ্য নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি যেগুলো সবার কাজে আসবে বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। সবার প্রতি অনুরোধ রইলো, বিগত পর্বগুলো পর্ব ১ view this link পর্ব ২ view this link পর্ব ৩ view this link পর্ব ৪ view this link পর্ব ৫ view this link পর্ব ৬ view this link পর্ব ৭ view this link পর্ব ৮ view this link একটু মনোযোগ সহকারে পড়লেই আপনাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। তারপরেও যদি আরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় আমাকে মেইল করে দিন আপনার সুনির্দিষ্ট প্রশ্নসহ। আমার মেইল অ্যাড্রেস আগেরটাই আছে: [email protected]

প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, সামহোয়্যারইন ব্লগে পূর্বে প্রকাশিত প্রতিটি পর্বই আমি কম-বেশি আপডেট করেছি। তবে, সম্প্রতি পর্ব ৬ থেকে ৮ পর্বগুলো আপডেট হয়েছে। যথারীতি এই ৯ নম্বর পর্বটিও নিয়মিত আপডেট হতে থাকবে। কাজেই নতুন ইমিগ্র্যান্ট হিসেবে কানাডায় আসার আগে এই সিরিজের প্রতিটি পর্বের সুনির্দিষ্ট রেফারেন্সসহ তথ্যগুলো আশা করি আপনাদের কাজে আসবে। আজকের তথ্যগুলো চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক:

কানাডা'র সিটিজেনশীপের নতুন নিয়ম:
যে বিষয়টা নিয়ে কানাডা'র ইমিগ্র্যান্টদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা-মতবিভেদ ছিল, অবশেষে সেটির অবসান হলো। গত ১১ জুন, ২০১৫ তারিখে কানাডিয়ান সিটিজেনশীপের নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে পুরনো নিয়ম অনুযায়ী কানাডায় থাকার বয়স ৩ বছর হলেই সিটিজেনশীপের জন্যে অ্যাপ্লাই করে দেওয়া যেত। কিন্তু এখন পরিবর্তিত নিয়মে কানাডায় স্বশরীরে ৪ বছর থাকলে তবেই সিটিজেনশীপের জন্যে অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে হলে কানাডার অফিসিশয়াল ওয়েবসাইটে দেখুন: cic.gc.ca view this link

কানাডায় লোন সংক্রান্ত তথ্য:
এর আগের পর্বগুলোতে স্টুডেন্ট ওসাপ লোন নিয়ে আলোচনা করেছি। আজ ইমিগ্র্যান্টদের জন্যে আরেকটি লোন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করতে চাই। এই লোনদাতা প্রতিষ্ঠানের নাম Immigrant Access Fund. এরা সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত লোন দেয়। কিন্তু শর্ত হলো আপনাকে কানাডা'র যে কোন লাইসেন্সিং পরীক্ষা দেবার/ ট্রেনিং নেবার উদ্দেশ্যে এই লোনের জন্যে অ্যাপ্লাই করতে হবে। যেমন, কোন ডাক্তার যদি কানাডিয়ান মেডিকেল লাইসেন্সিং পরীক্ষা দেবার জন্যে এই লোনের অ্যাপ্লাই করেন, তাহলে তা পাবার সম্ভাবনা আছে। বিস্তারিত জানতে iafcanada view this link এর ওয়েবসাইটে দেখুন।

Follow the steps given below in order to complete your application process:
1. Fill out the view this link
2. Gather/Prepare the supporting documents. Please see the checklist on Page # 2 of your application form
3. Scan application to a pdf file
4. Scan all the supporting documents to a pdf file
5. Submit your application along with supporting documents (two pdf files) via email at [email protected]
6. For any question regarding filing out and submitting the application form, please contact [email protected]

কানাডা'র বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্টদের কিছু সুযোগ-সুবিধা:
এর আগের পর্বগুলোতে আলোচনা করেছিলাম যে, টরন্টো'র বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্টদের জন্যে কি কি সুবিধা রয়েছে (যেমন ওসাপ লোন, ৮০% ডেন্টাল কাভারেজ ইত্যাদি)। আজ আরও কয়েকটি সুবিধার কথা বলতে চাই:
১. আপনি যদি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের (যেমন, রায়েরসন ইউনিভার্সিটি) মাস্টার্স/ পি.এইচ. ডি. লেভেল-এর স্টুডেন্ট হন, তাহলে আপনার স্টুডেন্ট আই.ডি দিয়ে আপনি টরন্টো ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি'র সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন। সুযোগ-সুবিধা বলতে টরন্টো ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিতে পড়াশুনা করা, যেকোন বই পড়া এবং নির্ধারিত সময়ের জন্যে বাসায় নিয়ে যাওয়া, ইন্টারনেট ব্যবহার ইত্যাদি।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আপনি মেট্রোপাস, ওয়ান্ডার ল্যাণ্ড অথবা সিনেপ্লেক্স-এ ডিসকাউন্ট পেতে পারেন। এ বিষয়ে স্টুডেন্ট সেন্টার-এ যোগাযোগ করুন।
৩. স্টুডেন্ট সেন্টার থেকে আপনার স্টুডেন্ট আই.ডি কার্ডের সাথে একটি 'ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট আই.ডি. কার্ড বানিয়ে নিন। এতে করে এয়ার ট্রাভেলে আপনি ডিসকাউন্ট পাবেন।
৪. অ্যাপল স্টোর থেকে ম্যাকবুক কিনলে স্টুডেন্ট ডিসকাউন্ট পাবেন।

অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন, টরন্টোতে নতুন আসার পর সংসার গোছানোর জন্যে কোন দোকান থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে কি কি জিনিসপত্র কিনবো - এ সংক্রান্ত প্রশ্ন। বিগত পর্বগুলোতে হয়তো এর কিছু কিছু উত্তর দিয়েছিলাম। আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে আজ একটু গুছিয়ে বলার চেষ্টা করছি:

ঘরের আসবাবপত্র:
আইকিয়া, ব্রিকস, সিয়ার্স - এগুলো দোকানে ঘরের আসবাবপত্র দেখতে পারেন। কেনেডী এবং লরেন্স ইন্টারসেকশনে বেশকিছু ভালো ফার্নিচারের দোকান আছে যেখানে দরদাম করে ট্যাক্স ছাড়া জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। কানাডিয়ান টায়ার-এও খোঁজ নিতে পারেন।

ঘর সাজানোর অন্যান্য জিনিসপত্র:
জিলার্স, টার্গেট দোকানগুলো উঠে গেলেও সবার ভরসা ওয়ালমার্ট। ওয়ালমার্ট সুপারশপ খুঁজে নিয়ে চলে যান জিনিসপত্র কিনতে। মনভরে জিনিসপত্র কিনুন। বাসায় নিয়ে এসে কোনকিছু পছন্দ না হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত দিয়ে আসুন। পুরো টাকা ফেরত দেবে তারা।

ইলেকট্রনিক্স:
সম্প্রতি 'ফিউচার শপ উঠে যাবার পর 'অ্যাপল স্টোর', 'বেস্ট বাই', 'টাইগার ডিরেক্ট', 'স্টেপলস', সোর্স - এইগুলো দোকান থেকে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী দেখতে পারন। ফ্যাক্টরী ডিরেক্ট-এ পাবেন 'ফ্যাক্টরী রিফারবিশড' আইটেমগুলো। অনেকের ফ্যাক্টরী রিফারবিশড ইলেকট্রনিক্স কেনার প্রতি অ্যালার্জী থাকলেও কমদামে রিফারবিশড প্রোডাক্ট কিনতে আমার আপত্তি নেই। আমি অনলাইন শপিং খুব বেশি করি। এক্ষেত্রে আমার পছন্দ হলো অ্যামাজন ডট সিএ view this link অথবা ই-বে ডট সিএ view this link। অ্যামাজন ডট সিএ -এর সুবিধা হলো এখান থেকে কিছু কিনলে ক্ষেত্র বিশেষে শিপিং কস্ট দিতে হয়না। কিন্তু আমেরিকার অ্যামাজন ডট কম অথবা ই-বে ডট কম থেকে কিনলে শিপিং কস্ট, ইউ.এস ডলার কনভার্সন - এগুলো দিয়ে প্রোডাক্টের দাম অনেক বেড়ে যায়। অবশ্য আমি আমার প্রিন্টারটা কিনেছিলাম স্টেপলস-এর Sale থেকে। কারণ স্টেপলস এমন একটি দোকান, যেখানে প্রায় সারা বছরই প্রিন্টারে ব্যাপক সেল থাকে।

খাওয়া-দাওয়া/ কাঁচা বাজার:
টরন্টোর ড্যানফোর্থ এলাকার কাছাকাছি চাইনিজ 'গ্রেট ফুডস' -এর প্রশংসা আগেই করেছিলাম। কম খরচে ফ্রেশ সব্জি এবং হালাল মাংসের জন্যে গ্রেট ফুডস বেশ নাম করেছে। আমি যে এলাকায় থাকি, সেখান থেকে গ্রেটফুডস অনেক দূরে বিধায় 'নো ফ্রিলস' অথবা 'ফ্রেশকো' থেকেই বাজার করি। এছাড়া ড্যানফোর্থ বাংলাদেশি এলাকায় অনেক বাংলাদেশি গ্রোসারী রয়েছে (মারহাবা, সরকার ইত্যাদি)। ডানডাস এবং পার্লামেন্ট ইন্টারসেকশনে রয়েছে মারহাবা, সুরমা। পার্লামেন্ট এবং জেরাডে পাবেন সরকার। মিসিসাগাতে তাজমহল ফুডস বেশ নামকরা। তাজা মাছ কিনতে হলে আমি চলে যাই চায়না মার্কেটে (ডানডাস এবং স্পাডাইনা)। ওখানে অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে ঘুরে বেড়ানো বিভিন্ন জাতের মাছ আপনার পছন্দ মতো চাইনিজরা ধরে কেটে সাইজ করে দিয়ে দেবে। দামটাও কম। 'মেট্রো' অথবা 'সোবিজ' দোকানগুলোতে জিনিসপত্রের দাম বেশি মনে হয় আমার কাছে। ইণ্ডিয়ান এবং পাকিস্থানী খাবারের জন্যে জেরার্ড এবং কক্সওয়েল ইন্টারসেকশনে 'ইন্ডিয়ান বাজারে' চলে আসুন।

বইপত্র:
কম খরচে পুরনো নতুন বই কেনা-বেচার জন্যে টুসবি view this link এবং কিজিজি view this link তুলনাহীন। বুকডিপোজিটরী view this link -এও ঘুরে আসতে পারেন। আরও একটি ভালো ওয়েবসাইট: view this link

পড়াশুনার উপকরণ: স্টেপলস view this link- থেকে ঘুরে আসুন।

ওষুধপত্র: শপার্স ড্রাগ মার্ট view this link আমার ভরসা।

জামাকাপড় এবং জুতা: ডাউনটাউনের ডানডাস সাবওয়ে স্টেশনে নেমে 'ইটন সেন্টার' অথবা ভন সিটিতে 'ভন মল' থেকে ঘুরে আসুন। ডনমিলস সাবওয়ের কাছে ফেয়ারভিউ মল-ও আমার প্রিয়।


টরন্টো ইটন সেন্টার

চায়না টাউন: ডানডাস এবং স্পাডাইনা'র ইন্টারসেকশনে বিশাল চায়না টাউন আসলেই এক বিচিত্র জায়গা। কঠিন পরিশ্রমী চাইনিজ জাতি এখানে দিন-রাত পরিশ্রম করছে আর অর্থ উপার্জন করছে। এই চায়না টাউনে আপনি পাবেননা - এমন কোন জিনিস নেই। এবং সব জিনিসের দাম সস্তা। মার্কহাম এবং স্টীলস এর ইন্টারসেকশনে 'প্যাসিফিক মল' নামের আর একটা বড় চাইনিজ শপিং মল আছে যেটা আমাদের নীলক্ষেত কিংবা বঙ্গবাজারের মতোই। একটা উদাহরণ দেই। আমি বাজারে নতুন বের হওয়া একটা স্যামসাং ট্যাবলেট কেনার পর তার স্ক্রীনসেভার এবং কাভার কেনার জন্যে ফিউচার শপে গিয়েছিলাম। ট্যাক্সসহ ওগুলোর আগুন দাম শুনে আর নেইনি। পরবর্তীতে প্যাসিফিক মল থেকে ট্যাক্স ছাড়াই মাত্র ২০ ডলারে পেলাম স্ক্রীনসেভার এবং কাভার। যেকোন জিনিসের সস্তা ডুপ্লিকেট জিনিস কিনতে হলে প্যাসিফিক মলের জুড়ি নেই।


প্যাসিফিক মল

পুরনো জিনিসপত্র কেনা: স্যালভেশন আর্মি-'র আউটলেটে চলে যেতে পারেন। এখানে নামমাত্র মূল্যে সেকেণ্ডহ্যাণ্ড-থার্ডহ্যাণ্ড মালামাল পাবেন।

কানাডায় Sale দিবসগুলো: দামী জিনিসপত্র কেনার জন্যে নিয়মিত বিভিন্ন দোকানের ওয়েবসাইটগুলো দেখাটা জরুরী। সারা বছরই কোন না কোন Sale লেগেই থাকে। যেমন, সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরুর আগে 'ব্যাক টু স্কুল' একটা বড় Sale যেখানে ইলেকট্রনিক্স, পড়াশুনার জিনিসপত্র ইত্যাদি খুব কমদামে পাওয়া যায়। ডিসেম্বর মাসে ক্রিসমাসের আগে প্রচুর সেল থাকে। ব্ল্যাক ফ্রাইডে তেও ভালো সেল পাওয়া যায়।

টরন্টোতে ভলান্টিয়ার জব: শুধু টরন্টোতেই নয় বরং কানাডার সর্বত্রই ভলান্টিয়ার কাজের গুরুত্ব রয়েছে। বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের জন্যে বিশেষত: নতুন ইমিগ্র্যান্ট ডাক্তারদের ভলান্টিয়ার কাজের জন্যে একটি ওয়েবসাইট রেকমেন্ড করতে চাই: uhn.caview this link

বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া:
কানাডা'র অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে view this link কানাডায় আসার পর আপনাকে একবার হলেও যোগাযোগ করতে হবে। কেন? এর উত্তর হলো আপনার বিভিন্ন কাজেই আপনাকে অটোয়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দ্বারস্থ হতে হবে। যেমন, পাসপোর্ট নবায়ন, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বানানো, নো-ভিসা, বাংলাদেশী ড্রাইভার্স লাইসেন্স সত্যায়িতকরণ ইত্যাদি। কানাডা'র অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বিষয়ক আমার অভিজ্ঞতার আলোকে কয়েকটি বিষয়ে আলোকপাত করতে চাই:
১. হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী কোন জরুরী কাগজ (যেমন বাংলাদেশী ড্রাইভার্স লাইসেন্স সত্যায়িতকরণ) অটোয়াতে পাঠাতে হলে সর্বদা একটু বেশি ডলার খরচ করে কানাডা পোস্ট-এর 'এক্সপ্রেস মেইল' ব্যবহার করুন। তা নাহলে চিঠি মিসিং হবার সম্ভাবনা ৯৯.৯৯%। কানাডায় অন্য কোথাও রেগুলার মেইল কোনদিন মিসিং হবার ঘটনা শুনি নাই। কিন্তু বাংলাদেশ হাইকমিশনে কানাডা পোস্ট -এর রেগুলার মেইলে চিঠি মিসিং-এর তিক্ত অভিজ্ঞতা আমার আছে। অতএব, এক্ষেত্রে এক্সপ্রেস মেইলের বিক্ল্প নেই।
২. সাধারণত বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে হাইকমিশনের লোকজন টরন্টো, মন্ট্রিয়লে এসে কনস্যুলার সার্ভিস দিয়ে থাকে। কবে এই সার্ভিস টরন্টো বা মন্ট্রিয়লে পাবেন, সেটি হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা থাকে। তবে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের ক্ষেত্রে আপনাকে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বশরীরে যেতেই হবে। হাইকমিশনে খুব সকালে যদি অফিস খোলার সাথে সাথে উপস্থিত থাকতে পারেন (সকাল ৯ টায় অফিস খোলে, রোজার সময় সকাল ১০ টা), তাহলে খুব দ্রুত কাজ শেষ করে দিনে দিনে টরন্টো ফিরে আসতে পারবেন।

অটোয়াতে বিভিন্নভাবে যেতে পারেন। ভিয়া রেইল অথবা গ্রেহাউণ্ড বাসে যাওয়া যায়। সবচাইতে ভালো হয় যদি গাড়ি রেন্ট করে নিজে চালিয়ে চলে যান। যদি কয়েকজন মিলে গাড়িতে যান, তাহলে খরচ কম পড়বে। আর দিনে দিনে কাজ করে আবার টরন্টো ফিরে আসতে পারবেন। গ্রেহাউণ্ডে গেলে একরাত হোটেলে থাকতে হবে। আমি যে ক'বার অটোয়া গেলাম, রাত ৩ টার দিকে গাড়ি চালিয়ে রওনা দিয়েছি। যাত্রাপথে বিরতি নিয়ে টরন্টো থেকে অটোয়া যেতে লাগবে প্রায় ৫ ঘন্টা। অর্থাৎ রাত তিনটার দিকে রওনা দিলে আপনি সকাল সাড়ে আটটার দিকে হাইকমিশনের অফিসের সামনে উপস্থিত থাকতে পারবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হাইকমিশনের অফিসের সামনে গাড়ি পার্কিং -এ খরচ বেশি এবং সেটা সীমিত সময়ের জন্যে। অবশ্য গাড়িতে নিজের লোক বসিয়ে রেখে আপনি নিজে অফিসে গিয়ে কাজ সেরে চলে আসলে খরচটা বেঁচে যাবে।

নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের জন্যে স্বশরীরে অটোয়া যাবার কোন বিকল্প নেই। এই একটা বিষয়-ই আমাকে ভাবনায় ফেলে দেয়। কারণ কানাডার এক প্রভিন্স থেকে আরেক প্রভিন্সে যেতে হলে বিশাল খরচের ধাক্কা আছে। যেমন, আমি প্রথমবার যখন অটোয়া গেলাম, ক্যালগেরি থেকে আসা এক ভাইয়ের সাথে পরিচয় হলো। তার সাথে কথা বলে জানলাম, ক্যালগেরি থেকে তার অটোয়া আসতে রাউণ্ড ট্রিপ প্লেন ভাড়া প্রায় ৫৫০ ডলার পড়েছে। তার ওপর একদিন অটোয়াতে হোটেলের খরচ, যাত্রাপথের আনুষঙ্গিক খরচ এবং হাইকমিশনের খরচ মিলিয়ে বেচারার এক মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বানাতে প্রায় ৭৫০-৮০০ ডলার নেমে গিয়েছে। এভাবে প্রতিনিয়ত কানাডার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশীরা অটোয়াতে বিশাল খরচের ধাক্কা সামলে তাদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বানাতে আসছেন।

যদিও হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে লেখা আছে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নবায়নের জন্য অ্যাপ্লিকেশনের নিয়মাবলি, তারপরেও আমি এই বেলা সংক্ষেপে জানিয়ে রাখছি সঠিকভাবে কোন কাগজগুলো আপনি সাথে করে অটোয়া নিয়ে যাবেন:
১. আপনার বর্তমান পাসপোর্টের ছবি যে পাতায় আছে, সে পাতাটির ২ সেট ফটোকপি
২. ন্যাশনাল আই.ডি. - ফটোকপি
৩. বার্থ সার্টিফিকেট - ফটোকপি (ন্যাশনাল আইডি থাকলে বার্থ সার্টিফিকেট এর ফটোকপি জমা দিতে হবেনা)
৪. ব্যাংকড্রাফট - ১১৫ কানাডিয়ান ডলার - যেকোন শপার্স ড্রাগমার্ট-এ গিয়ে কানাডা পোস্ট থেকে Bangladesh High Commission, Ottawa বরাবর করবেন, ব্যাংক ড্রাফটের চার্জ বাবদ ৭.৫০ ডলার দিতে হবে কানাডাপোস্টকে (১ অক্টোবর, ২০১৫ থেকে পরিবর্তিত সার্ভিস সার্জের জন্যে হাইকমিশনের ওয়েবসাইট দেখুন)
৫. যে সময় অটোয়া যাবেন, তার কমপক্ষে একমাস আগে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখ ও সময় হাইকমিশনে ফোন করে নিয়ে নিন
৬. এক্সপ্রেস এনভেলপ - ১২ ডলার দিয়ে একটা এক্সপ্রেস এনভেলপ কিনে নেবেন কানাডা পোস্ট থেকে
৭. পাসপোর্টের মূলকপি
৮. অ্যাপ্লিকেশন ফরম - হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে রয়েছে
৯. অ্যাপ্লিকেশন ফরম-এর সাইজ অনুযায়ী বিগত ৬ মাসের মধ্যে তোলা দুই কপি ছবি - ড্যানফোর্থের কবির ভাইয়ের 'ঢাকা সফট' দোকান থেকে কম খরচে ছবি তুলে নিন

হাইকমিশনে আপনার ছবি তুলে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর/ ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে আপনাকে রিসিট দিয়ে দেবে এবং উপরের কাগজপত্র সহ আপনার বর্তমান পাসপোর্টটি জমা রেখে দেবে। প্রায় দেড় থেকে দুইমাস পর আপনি আপনার দিয়ে আসা কানাডা পোস্ট-এর এক্সপ্রেস এনভেলপে আপনার পুরাতন এবং নবায়নকৃত নতুন পাসপোর্ট হাতে পাবেন। অর্থাৎ, আপনি অটোয়াতে কাজ সেরে আসার পর আপনার পাসপোর্ট এবং কাগজপত্র বাংলাদেশে চলে যাবে এবং বাংলাদেশ থেকেই আপনার নতুন পাসপোর্ট তৈরি হয়ে হাইকমিশনে এলে তারা আপনাকে সেটি আপনার প্রদত্ত এক্সপ্রেস এনভেলপ এবং ঠিকানায় মেইল করে দেবে।

যেকোন ধরনের ডকুমেন্ট-এর ফটোকপি (যেমন বাংলাদেশী ড্রাইভার্স লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট) সত্যায়িত করার জন্যে নিম্নোক্ত কাগজগুলো প্রয়োজন:
১. ব্যাংকড্রাফট - ২৫ কানাডিয়ান ডলার (রেগুলার) অথবা ৪০ ডলার (আর্জেন্ট) (১ অক্টোবর, ২০১৫ থেকে পরিবর্তিত সার্ভিস সার্জের জন্যে হাইকমিশনের ওয়েবসাইট দেখুন)
২. বাংলাদেশী ড্রাইভার্স লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট -এর এক কপি ফটোকপি
৩. অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম (হাইকমিশনের ওয়েবসাইট দেখুন)
৪. এক কপি ছবি
৫. রিটার্ন এনভেলপ (এক্সপ্রেস এনভেলপ - ১২ ডলার দিয়ে দুইটা এক্সপ্রেস এনভেলপ কিনে নেবেন কানাডা পোস্ট থেকে; একটাতে সব কাগজ পাঠাবেন, আর একটা সাথে দিয়ে দেবেন; ২য় টাতে হাইকমিশন থেকে আপনাকে সত্যায়িত কপি পাঠাবে); আর যদি টরন্টোতেই কনস্যুলেট সার্ভিস পান, তাহলে একটি এক্সপ্রেস এনভেলপ সাথে করে দিয়ে দিলেই চলবে। টরন্টোতেই কনস্যুলেট সার্ভিস সুবিধা পেতে হলে হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।

৩. অটোয়াতে যাবার আগে অবশ্যই ফোন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নেবেন। ফোনে অপারেটরকে যদি একবারে না পান, বার বার চেষ্টা করতে থাকুন। এভাবে নিরলস চেষ্টা করার পর একটা সময় অবশ্যই আপনি অপারেটরকে ফোনে পাবেন। অপারেটর অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় যেটাই দিক না কেন, আপনার টার্গেট থাকবে সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে হাইকমিশনের অফিসের সামনে আপনার সব কাগজপত্র সহ উপস্থিত থাকা।

৪. বাংলাদেশ হাইকমিশনে ফোন করে 'বাংলায় কথা বলার জন্যে দুই চাপুন' - এ জাতীয় কথা শুনে ফোনের বোতামে দুই চেপে বাংলায় কথা বলা শুরু করে দিলে হতাশ হবেন। কারণ ওপাশ থেকে যে অপারেটর ফোন ধরবেন, তিনি বাংলায় কথা বলতে পারেননা। তার নাম মিস সিলমিয়া এবং তিনি বাংলাদেশী নন, বাংলাভাষাভাষী-ও নন। অতএব, বাংলাদেশ হাইকমিশনে ফোন করে আপনি বাংলায় কথা বলবেন না, বলবেন ইংরেজিতে।

৫. আপনার যদি বার্থ সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে হাইকমিশনে ৫ ডলার নগদ প্রদান করে আপনি বার্থ সার্টিফিকেট তুলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার এককপি ছবি এবং ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি সহ আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

আপডেট:
১. টরন্টোতে আসার পর আপনার বাচ্চার চাইল্ড বেনিফিট পাবেন - এ বিষয়ে বিগত পর্বগুলোতে আলোচনা করা হয়েছে। সম্প্রতি জানলাম যে, জানুয়ারি, ২০১৫ থেকে 'ইউনিভার্সাল চাইল্ড ট্যাক্স বেনিফিট' এর আওতায় প্রতি বাচ্চার জন্যে আপনি ৭০ ডলার করে বেশি পাবেন। অর্থাৎ ধরা যাক আপনি আপনার প্রতি বাচ্চার জন্যে ৪৫০ ডলার/মাস চাইল্ড বেনিফিট পেতেন, এখন এই ৪৫০ ডলারের সাথে আরও ৭০ ডলার যোগ করুন। দুইটা বাচ্চা নিয়ে টরন্টো আসতে পারলে প্রতিমাসে বাসা ভাড়া নিয়ে অন্ত:ত আর চিন্তা করতে হবেনা।
চাইল্ড বেনিফিট অ্যাপ্লিকেশনের সময় বাচ্চার বার্থ সার্টিফিকেটের কপি জমা দিতে ভুল করবেননা।
২. কানাডায় আসার পর আমি নিজের পি.আর কার্ড পেয়েছিলাম ঠিক দুই মাসের মাথায়। অর্থাৎ, প্রথম যেদিন টরন্টোতে এসেছিলাম, তখন পিয়ারসন এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশনে যে ঠিকানা দিয়েছিলাম, সেই ঠিকানায় বাই পোস্ট দুইমাসের মাথায় আমার পি.আর কার্ড চলে এসেছিল। কিন্তু বেশ কিছু নিউ ইমিগ্র্যান্টদের সাথে কথা বলে জানলাম, তাদের পি.আর কার্ড দীর্ঘ ৬-৭ মাস পরেও তাদের বাসার ঠিকানায় আসেনি। যদি কোন নতুন ইমিগ্র্যান্টের টরন্টোতে ৭৭ দিনের ভেতর পি.আর কার্ড না আসে, তাহলে General Inquiries: 1-888-242-2100 নম্বরে ফোন করে কথা বলুন। যদি ল্যাণ্ড করার পর ১৮০ দিনের ভেতরেও পি.আর কার্ড টরন্টোর বাসার ঠিকানায় না আসে এবং উক্ত নম্বরে ফোন করে বিষয়টি না জানানো হয়, তাহলে ল্যাণ্ড করার ১৮০ দিন পার হয়ে গেলে নতুন করে পি.আর কার্ডের জন্যে অ্যাপ্লাই করতে হবে। সেক্ষেত্রে জনপ্রতি ৫০ ডলার সরকারী ফি, ছবি, প্রয়োজনীয় কাগজাদি ইত্যাদিসহ আনুষঙ্গিক খরচাদি দিয়ে নোভাস্কশিয়াতে অ্যাপ্লাই করতে হবে। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, পিয়ারসন এয়ারপোর্টে যখন প্রথম ল্যাণ্ড করবেন এবং বাসার ঠিকানা ইমিগ্রেশন অফিসারকে দিবেন, অবশ্যই টরন্টোতে পি.আর কার্ড পাঠানোর সঠিক ঠিকানা ইমিগ্রেশন অফিসারকে সরবরাহ করুন এবং খেয়াল করুন আপনার প্রদত্ত ঠিকানাটি ইমিগ্রেশন অফিসার তার কম্পিউটারে 'ইনপুট' দিয়েছেন কিনা। যদি ঠিকানায় কোন ভুল থাকে অথবা ইমিগ্রেশন অফিসার আপনার প্রদত্ত ঠিকানাটি সঠিকভাবে কম্পিউটারে না তোলেন, তাহলে পি.আর কার্ড নিয়ে আপনার ভোগান্তি সুনিশ্চিত।
৩. টরন্টো'র নতুন ইমিগ্র্যান্টদের জন্যে তথ্যপ্রদান এবং সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো Catholic Crosscultural Services. view this link এটি একটি নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন। ঠিকানা: Address: 55 Town Centre Court #401, Scarborough, ON M1P 4X4, Phone: (416) 757-7010. স্কারবরো টাউনসেন্টার থেকে হাঁটা পথ। এখানে আপনি বিনামূল্যে বিভিন্ন সেবার পাশাপাশি আপনার প্রয়োজনীয় কাগজাদি বিনামূল্যে সত্যায়িত করতে পারবেন।
৪. পহেলা অক্টোবর ২০১৫ থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া -এর কনসুলার সার্ভিসের সব ধরনের পরিবর্তিত 'সার্ভিস চার্জ' জানার জন্যে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের ওয়েবসাইট দেখুন। view this link
৫. নতুন যারা টরন্টোতে ইমিগ্রেশন নিয়ে আসছেন, 'ফ্যাক্টরী জব' (সেলেস্টিকা, কসমেটিকা ইত্যাদি) এর জন্যে টরন্টোর বাংলাদেশী এলাকাখ্যাত 'ভিক্টোরিয়া পার্ক' সাবওয়ে স্টেশনে নেমে হাঁটা পথে ১০, টিসডেল ঠিকানায় চলে যান। ওই বিল্ডিং-এর ১০৮ নম্বর রুমে 'সারো' অর্গানাইজেশনের সুলতানা আপার সাথে দেখা করে বিনামূল্যে ট্রেনিং নিলে কাজ পাবার সম্ভাবনা ভালো। ঠিকানা: 108-10 Teesdale Place, Toronto, ON M1L1K9, Phone: 416.686.0701 view this link
৬. টরন্টো ডাউনটাউনে খুব কম খরচে থাকার জন্যে 'হাই টরন্টো' হোস্টেলে খোঁজ নিতে পারেন।HI-Toronto Hostel, 76 Church Street, Toronto, ON M5C 2G1 view this link এই হোস্টেলটি কিং সাবওয়ে স্টেশন থেকে হাঁটা পথ।
৭. আপনার বাচ্চার বয়স যদি ৮ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে হয় এবং আপনি টরন্টোতে বসবাস করেন, তাহলে আপনার পরিবার নিম্নোক্ত সুবিধাদি পেতে পারে:
- Ontario Works Assistance
- Ontario Disability Support Program
- Rent subsidy
- National Child Benefit Supplement (NCBS)
- Welcome Policy

আপনি টরন্টোতে বসবাসকারী হলে এবং আপনার ৮ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে বাচ্চা থাকলে বাচ্চার জন্যে ১ টি ফ্রি কম্পিউটার (সফটওয়্যারসহ), একটি ফ্রি প্রিন্টার এবং ১ বছরের ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা পেতে হলে দ্রুত অ্যাপ্লাই করে দিন এই ওয়েবসাইটের নিয়ম অনুযায়ী > view this link

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
কানাডা'র ইমিগ্রেশন প্রসেসিং খুব কঠিন কিছু কি? এটা সত্যি যে, ইমিগ্রেশন প্রসেসিং সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু অসম্ভব নয়! সামহোয়্যারইন ব্লগের পয়গম্বরের ব্লগ এবং ফেসবুকের পেজটি ফেসবুক আইডি আপনার সাথেই আছে ইমিগ্রেশন প্রসেসের প্রতিটি স্টেপে, প্রতিটি সমস্যার আন্তরিক সমাধানে। কানাডা'র ইমিগ্রেশন নিয়ে টেনশন একেবারেই ঝেড়ে ফেলে দিন মাথা থেকে। ফেসবুকের এই পেজে শেয়ার করুন আপনার কানাডা'র ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত যেকোন প্রশ্ন অথবা সমস্যা। ব্লগ এবং ফেসবুকের এই প্ল্যাটফরমে আমি চেষ্টা করবো সঠিক রেফারেন্স নির্ভর তথ্যটি আপনাকে জানানোর।

ফেসবুক আইডি

শুভকামনা রইলো আপনার জন্যে।

পর্ব ১০ view this link

ছবির সূত্র: ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫
২৬টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার বিহনে কাটে না দিন

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩



অবস্থানের সাথে মন আমার ব্যাস্তানুপাতিক,
বলে যাই যত দূরে ততো কাছের অপ্রতিষ্ঠিত সমীকরণ।
তোমাকে ছেড়ে থাকা এতটাই কঠিন,
যতটা সহজ তোমার প্রতিটি চুল গুনে গুনে
মোট সংখ্যা নির্ণয় করা।
তোমাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×