http://www.immigrationandsettlement.org/
https://www.facebook.com/immigrationandsettlement/
টিম হরটনস থেকে কফির কাপ হাতে নিয়ে বাইরে বের হতেই ঠাণ্ডা বাতাসের ঝাপটা আমাকে মনে করিয়ে দিলো শীতের আবহাওয়া কড়া নাড়ছে দরজায়। এরকমই এক শীতের সময় আজ থেকে বছরখানেক আগে টরন্টো শহরে এসেছিলাম আমি। দেখতে দেখতে আরেকটি শীত চলে এলা প্রায়। কত তাড়াতাড়ি সময় চলে যায়!
মূলত: টরন্টোতে মধ্যবিত্ত নতুন অভিবাসীদের জন্যে আমার ধারাবাহিক এ লেখাটি সম্পূর্ণরূপেই আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা এবং মতামত। ব্যাস্ততার কারণে সময়াভাবে হয়তো প্রয়োজনীয় রেফারেন্স অনেক ক্ষেত্রে দেয়া সম্ভব হয়নি। পাঠকদেরকে অনুরোধ রইলো, ওয়েবসাইট অথবা অন্যকোন সঠিক উৎস থেকে প্রয়োজনীয় রেফারেন্সগুলো অনুগ্রহ করে (যেগুলো আমার পক্ষে এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব হয়নি) দেখে নেবেন।
কানাডায় কেন আসবেন?
বাংলাদেশ থেকে কানাডায় আসার আগে ঠিক এই প্রশ্নটির সম্মুখীন হয়েছি আমি বেশ ক’বার। যারা বাংলাদেশ থেকে কানাডার অভিবাসী হয়ে নতুন আসছেন, তাদের কাছেও আমার ঠিক একই প্রশ্ন রইলো। অনেকেই হয়তোবা বলবেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, ভবিষ্যত প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যত এবং অধিক টাকা আয়ের লক্ষ্যে মানুষের লক্ষ্য আজ কানাডায় ইমিগ্রেশন নিয়ে আসা। কথাগুলো সত্য। কিন্তু তারপরেও এখানে আসার আগেই লক্ষ্য ঠিক করে নিতে পারলে সময় নষ্ট কম হবে। যাদের পড়ালেখার উদ্দেশ্য নেই অর্থাৎ কানাডায় উচ্চ শিক্ষার কোন চিন্তা-ভাবনা নেই, তারা এখানে এসেই যত দ্রুত সম্ভব কাজে নেমে পড়ুন। শুরুতে প্রফেশনাল জব না পেলেও যেকোন ধরণের জব (রেস্টুরেন্ট/গ্যাস স্টেশন/সিকিউরিটি/ট্যাক্সি) শুরু করে দিন। একটা দিন বসে থাকা মানেই ’লস প্রজেক্ট’। সেক্ষেত্রে আপনার ইংরেজি স্পিকিংটা একটু ঝালিয়ে আসুন। ভালো ইংরেজি জানা থাকলে প্রফেশনাল জব পাবার আগ পর্যন্ত অন্যকোন জবের অভাব হবেনা। জবের জন্যে এই ওয়েবসাইটগুলোতে নিজের আপডেটেড সি.ভি আপলোড করুন এবং খোঁজ রাখুন:
ওয়ার্কোপলিস
মনস্টার
লিংকডইন
আর যারা উচ্চশিক্ষার চিন্তা-ভাবনা করছেন, তারা দেশ থেকে আসার আগেই চেষ্টা করুন এখানে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডমিশন কনফার্ম করা যায় কিনা। যদি না করা যায়, তাহলে এখানে আসার পর দ্রুত খোঁজ নিন কোন ধরণের কোর্স/ডিগ্রী করলে আপনি ভবিষ্যতে এখানকার জব মার্কেটে ঢুকতে পারবেন। দেশ থেকে আসার আগে অ্যাকাডেমিক IELTS/ GRE পরীক্ষার ভ্যালিড স্কোর সাথে নিয়ে আসলে উপকৃত হবেন। টরন্টোতে IELTS পরীক্ষা দিতে প্রায় ৩০০ ডলার খরচ হয়। কানাডার কোন বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কলেজের কোন কোর্সে ভর্তি হবার আগে খুব ভালো করে চিন্তা করে পদক্ষেপ নিন, অর্থাৎ ভবিষ্যতে এই কোর্সটি করে আপনি সেই ফিল্ড-এ জব পেতে পারেন কিনা, তা আগেই খোঁজ নিয়ে নিন। পড়ালেখা করতে চাইলে এখানে আপনি 'পারমানেন্ট রেসিডেন্ট' হিসেবে অ্যাডমিশন নেওয়া কিংবা ওসাপ (Ontario Student Assistance Program) লোন পাওয়াটা খুব একটা কঠিন কোন ব্যাপার না হলেও কোর্স শেষ হবার পর প্রফেশনাল জব পাওয়াটা অনেকটাই অনিশ্চিত।
ওসাপ:
টরন্টো-এর কোন বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ থেকে অফার লেটার পাবার পর Ontario Student Assistance Program -এর জন্যে অ্যাপ্লাই করুন। ২০১৩ সাল থেকে শুধুমাত্র কানাডিয়ান সিটিজেন/ ইমিগ্র্যান্টদের জন্যে ওসাপের নিয়মগুলো নিম্নরূপ:
১. এই লিংকে গিয়ে অনলাইনে অ্যাপ্লাই করতে হবে।
২. আপনি যদি ফল সেমিস্টার (সেপ্টেম্বর) -এ ভর্তি হতে চান, তাহলে অবশ্যই সেই বছরের মে/জুন এর ভেতরে অ্যাপ্লাই করতে হবে।
৩. অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন পদ্ধতি খুবই সহজ প্রক্রিয়া। এখানে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো, আপনি যে সেশনে ভর্তি হবে, সে সেশন থেকে আপনার ইনকাম এবং আপনি ফুল টাইম স্টুডেন্ট কিনা-এসবের ওপর নির্ভর করবে কি পরিমাণ টাকা আপনি লোন পাবেন। অর্থাৎ কেউ যদি সেপ্টেম্বর সেশনে ভর্তি হয়, তাহলে সেই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে তার ট্যাক্সেবল ইনকাম কি পরিমাণ, তার ওপরেই ওসাপের টাকা নির্ভর করে। ওসাপ লোন কম পাওয়া যাবে নিম্নোক্ত কারণগুলোতে:
- ট্যাক্সেবল ইনকাম বেশি হলে
- নিজের নামে বাড়ি, গাড়ি, ব্যবসা থাকলে
- এমপ্লয়মেন্ট বেনিফিটে থাকলে
- স্যোশাল সাপোর্টে থাকলে
- ডিজ-অ্যাবলিটি সাপোর্টে থাকলে
- অ্যাপ্লিকেন্টের অন্য কোন ট্যাক্সেবল ইনকাম থাকলে
- ফুল টাইম স্টুডেন্ট না হলে
- আপনার স্বামী বা বউ ট্যাক্সেবল কাজ করলে
- বাচ্চার সংখ্যা কম হলে
এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়) এবং আপনি কোন বিষয়ে ব্যাচেলর/মাস্টার্স ইত্যাদি করতে চাইছেন - এসব বিষয়ের উপরেও ওসাপ লোন নির্ভর করে।
সাধারণত ফুল টাইম স্টুডেন্ট ব্যাচেলরদের ক্ষেত্রে কোনপ্রকার ট্যাক্সেবল ইনকাম/বাড়ি/গাড়ি/বৈধ কোন অর্থের উৎস না থাকলে এক বছরের জন্যে ওসাপ থেকে আনুমানিক ১৩-১৪ হাজার ডলার পাওয়া যায়। আর যদি বউ-বাচ্চা থাকে তাহলে এক বছরের জন্যে ২৫-৩০ হাজার ডলার পাওয়া যায়।
৪. যদি কারও পড়ালেখার মেয়াদ ২ বছর হয়, তাহলে দ্বিতীয় বছর পুনরায় ওসাপের জন্যে অনলাইনে অ্যাপ্লাই করতে হবে।
৫. প্রতি সেমিস্টারে কমপক্ষে ৫ টি সাবজেক্ট না নিলে ওসাপের টাকা কমে যাবে। পাঁচটি সাবজেক্ট-এ এনরোল হওয়া মানে ১০০% ওসাপ এলিজিবল হওয়া।
৬. অনলাইনে অ্যাপ্লাই করে অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করার পর অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন থেকে প্রাপ্ত কিছু জরুরী কাগজপত্র এবং আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ’ভয়েড চেক’ ’কানাডা পোস্টে’র মাধ্যমে ওসাপের ঠিকানায় পাঠাতে হয়। কানাডা পোস্ট এটি বিনামূল্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। তবে সব কানাডা পোস্টের মাধ্যমে এটি পাঠানো সম্ভব নয়। আমার জানা মতে স্কারবরো টাউন সেন্টারের শপার্স ড্রাগমার্টের ভেতরে যে কানাডা পোস্ট আছে, সেখান থেকে এই ওসাপের ঠিকানায় কাগজ পোস্ট করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, কানাডা পোস্টে যাবার আগে আপনার সোশাল ইনস্যুরেন্স কার্ড এবং পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ডের মূলকপি সাথে রাখুন।
৭. ওসাপ সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে তথ্য কিংবা অনুসন্ধানের জন্যে ওসাপের ওয়েবসাইটে আপনার অ্যাকাউন্টে খোঁজ রাখুন অথবা অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওসাপের একটি করে অফিস আছে, সেখানে আপনার সোশাল ইনস্যুরেন্স কার্ড এবং পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ডের মূলকপিসহ যোগাযোগ করুন। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, অনলাইনে অ্যাপ্লিকেশন করার পর নিজ-বিশ্বদিবদ্যালয়ের ওসাপ অফিসে যোগাযোগ করার পর ওসাপ অফিস থেকে একটি ফরম পূরণ করতে দেওয়া হয়, সেই ফরম এবং আপনার পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ডের ফটোকপি ওই অফিসে জমা দিন।
৮. নির্ধারিত সময়ে (মে/জুন) ওসাপের জন্যে অ্যাপ্লাই করলে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই টাকা চলে আসবে। সেই টাকা থেকে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১ বা ২ সেমিস্টারের টাকা দিয়ে দেবেন।
৯. ওসাপ লোনের টাকায় আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফিসের সাথে থাকা-খাওয়ার খরচ-ও পাওয়া যায়।
১০. বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বের হবার পর ৬ মাস পর থেকে ওসাপ শুধুমাত্র 'টিউশন বাবদ' যে অর্থ আপনাকে দিয়েছে, সেই টাকা পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ ওসাপ থেকে প্রাপ্ত বারসারী বা আপনার থাকা-খাওয়ার খরচ পরিশোধ করতে হবেনা। এক্ষেত্রে ওসাপ থেকে চিঠি দিয়ে আপনাকে জানাবে যে, মাসিক হয়তো একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা সেই সময় ওসাপকে পরিশোধ করতে হয়। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, ওসাপ লোনে থাকা অবস্থায় আপনার ইনকাম স্ট্যাটাস কোন রকম পরিবর্তন হলে তা ওসাপকে জানাতে হবে।
১১. আপনার বৈবাহিক অবস্থার পরিবর্তন হলে তা ওসাপ-কে জানাতে হবে। সেক্ষেত্রে ওসাপ থেকে আপনাকে আপনার স্পাউসের বৃত্তান্ত জানতে চিঠি পাঠাবে। আপনার স্পাউস যদি কোন কাজ না করেন (ডিপেনডেন্ট থাকেন) এবং কানাডিয়ান ইমিগ্র্যান্ট অথবা সিটিজেন হন, তাহলে ওসাপ থেকে আপনার জন্যে বরাদ্দকৃত টাকা বেশি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনরা স্পাউস কানাডিয়ান ইমিগ্র্যান্ট অথবা সিটিজেন না হলেও ওসাপের নির্ধারতি ফরমে তাঁর বৃত্তান্ত জানাতে হবে এবং বেশি লোন পাবার সম্ভাবনা নেই।
১২. আপনি যদি ওসাপ অ্যাপ্লিকেশনের পূর্বে Tax Payable আয় না করে থাকেন এবং ওসাপ অ্যাপ্লিকেশনের পর অথবা ওসাপের টাকা পাওয়ার পর Tax Payable আয় করেন, সেক্ষেত্রে আপনার ইনকাম স্ট্যাটাস ওসাপকে জানাতে হবে। ওসাপ-এ থাকা অবস্থায় প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১০০ ডলার (প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৪০০ ডলার) পর্যন্ত Tax Payable আয় থাকলে তা ওসাপে কোনরকম সমস্যা করেনা অর্থাৎ আপনার জন্যে ওসাপ থেকে বরাদ্দকৃত সম্পূর্ণ ডলার আপনি পাবেন।
১৩. যদি ওসাপে থাকা অবস্থায় আপনি গাড়ি ক্রয় করেন, তাহলে গাড়ির বুক ভ্যালু সর্বোচ্চ ৫০০০ ডলার পর্যন্ত ওসাপে সমস্যা করেনা। গাড়ি/বাড়ি কিনলে অবশ্যই ওসাপ-কে তা অবহিত করতে হবে।
১৪. পৃথিবীর কোন দেশে (যেমন আমেরিকাতে) আপনার কোন ব্যাংকে যদি সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে তা ওসাপ'কে জানাতে হবে। চেকিং অ্যাকাউন্ট থাকলে জানাতে হবেনা।
১৫. কোন ব্যাক্তি যদি ওসাপ নিয়ে কোন বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কলেজে পড়াশুনারত অবস্থায় যেকোন সময় সেই কোর্স বাদ দিয়ে দেন, তাহলে তার কোর্স শুরু থেকে সেই বাদ দেওয়ার সময় পর্যন্ত ওসাপ থেকে প্রাপ্ত নির্ধারিত লোন সেই ব্যাক্তিকে ওসাপ'কে ফেরত দিতে হবে।
কেস স্টাডি:
সিনিয়র এক ভাইয়ের অভিজ্ঞতা থেকে জানতে পারলাম, তিনি টরন্টোর একটি নামকরা কমিউনিটি কলেজে একটি কোর্সে ভর্তি হবার পর ওসাপ নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম সেমিস্টারের পর তিনি সেই কোর্স ছেড়ে দেন এবং ওসাপের টাকাও ফেরত দেন। কিন্তু সেই কমিউনিটি কলেজ থেকে তাকে জানানো হয়, তিনি এই ছেড়ে দেওয়া কোর্সটি শেষ না করা পর্যন্ত আর কোন 'নর্থ আমেরিকান' কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওসাপ নিয়ে ভর্তি হতে পারবেননা। পরবর্তীতে তিনি সেই কমিউনিটি কলেজে অনেকবার আপিল করেন এবং প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে, সেই ছেড়ে দেওয়া কোর্সটি তার ক্যারিয়ারের জন্যে সঠিক সিদ্ধান্ত ছিলনা। পরবর্তীতে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে উল্লেখিত নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দেয় এবং জানায় যে, এটা তার প্রথমবার বলে তারা তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। সেই সিনিয়র ভাই পরে অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য আরেকটি কোর্সে ওসাপ নিয়ে পড়াশুনা করছেন।
ওসাপ লোন পাবার পর এবং ওসাপ থেকে আপনার ঠিকানায় আপনার লোন অ্যাকাউন্ট নম্বরসহ (৭ ডিজিটের) চিঠি আসার পর National Student Loans Service Centre (NSLSC) -এর ওয়েবসাইটে গিয়ে অবশ্যই ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট করুন। এই ওয়েবসাইটে আপনি আপনার স্টুডেন্ট লোনের বিস্তারিত জানতে পারবেন (কত টাকা লোন পেলেন, কবে নাগাদ লোন শোধ করতে হবে, কিভাবে লোন পরিশোধ করতে হবে ইত্যাদি)।
নতুন এই ট্রীটকারগুলো টরন্টোর রাস্তায় খুব শীঘ্রই নামতে যাচ্ছে
কানাডিয়ান পাসপোর্ট:
Citizenship and Immigration Canada -এর ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কানাডার কোন নতুন ইমিগ্র্যান্ট ৫ বছরের মধ্যে নূন্যতম ১০৯৫ দিন (তিন বছর) কানাডাতে স্বশরীরে অবস্থান করলে তিনি কানাডিয়ান পাসপোর্টের জন্যে অ্যাপ্লিকেশনের যোগ্যতা লাভ করবেন। টরন্টোতে অবস্থানরত বিভিন্ন বাংলাদেশীদের সাথে কথা বলে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে, সেটি হলো, উল্লেখিত প্রথম ৩ বছরের মধ্যে কেউ যদি ঘন ঘন বাংলাদেশে যান অথবা এক কথায় কানাডার বর্ডার থেকে বাইরে যান (আমেরকিা, কিউবা, মেক্সিকো ইত্যাদি), তাহলে তার পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন এবং কানাডিয়ান পাসপোর্ট হাতে পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। পক্ষান্তরে যারা একটু কষ্ট করে প্রথম ৩ বছর কানাডার বাইরে পা রাখবেননা, তারা ওই গ্রুপের থেকে অপেক্ষাকৃত দ্রুত পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। অতএব, কানাডা আসার আগে চিন্তা করে দেখুন, কোন ঝামেলা ছাড়া দ্রুত কানাডিয়ান পাসপোর্ট পাওয়াটা আপনার জন্যে কতটা জরুরী।
[img|https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/splashk56_1383253165_3-DSC_0493__80
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৪