চিরস্মরনীয়া মহীয়সী নারী বেগম খালেদা জিয়া একদা তাঁহার পারিষদবর্গের সাথে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মগ্ন হইলেন। বৈঠকে জাতীয় জনগুরুত্বসম্পন্ন কতিপয় বিষয় নিয়া নীতিনির্ধারণী আলোচনা হইবার পরে সাংবাদিকবৃন্দ, আলোকচিত্রগ্রাহকগণ সহ দলীয় নিম্নশ্রেনীর পাতিনেতা দিগকে বাহির করিয়া দেওয়া হইল। অত:পর আপোসহীন নেত্রী তাঁহার একান্ত আস্থাভাজন ও প্রেমাস্পদ গুটিকয়েক নেতৃবৃন্দ সহকারে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নিমগ্ন হইলেন।
নেত্রীর নির্দেশে তাঁহার শ্রেষ্ঠ চাটুকার জনাব মির্জা আব্বাস এই মর্মে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যে শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবকে সমগ্র জাতি জনকের মর্যাদায় স্মরণ করে। তথাপি বাংলার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে শেখ মুজিব অপেক্ষা মুহতারিমা খালেদা জিয়ার অবদান কম কিসে?
খালেদা জিয়া কি দেশের জাতীয়তাবাদ রক্ষায় নিজের সর্বস্ব উৎসর্গ করেন নাই?
খালেদা জিয়া কি তাহার দুই পুত্রকে দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার হিসেবে গড়িয়া তুলিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন নাই?
খালেদা জিয়া কি মহান মুক্তিযুদ্ধে সেনানিবাস হইতে অস্ত্র হস্তে লইয়া যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নাই?
তবে বন্ধুগণ, র'এর এদেশীয় সবচেয়ে বড় এজেন্ট গণতন্ত্রের হত্যাকারীকে যদি জাতির জনক উপাধি দেওয়া যাইতে পারে, তবে মুহতারিমা খালেদার জাতির জননী হইতে আপত্তি কিসে?
উপস্থিত সকলে সজোরে তাহাদের গলা খাঁকারি দিয়া বলিল, আলবত। আলবত। খালেদা জিয়ার জাতির জননী হওয়া শুধু প্রাসঙ্গিক নহে, অতি আবশ্যকও বটে।
বৈঠকের এক কোণায় উপস্থিত এক জাতীয় দৈনিকের এজেন্ট তখন মিটিমিটি হাসছিলেন যেটা হাওয়া ভবনের মৃদু আলোয় কাহারও দৃষ্টিগোচর হয়নাই ।
পরদিন বহুল প্রচারিত এক দৈনিকে লাল কলমে হেডলাইন উঠিল, খালেদা জিয়া মা হতে চলেছেন
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩০