তিন দ্যাশের তিন দুস্ত বইস্যা বইস্যা আলাপ কর্তাছিল । সবাই নিজের নিজের দ্যাশের গুনগান করা নিয়া ব্যাস্ত আছিল । একজন জাপানের, হেতে কইতাছে যে আম্গো দ্যাশের মেডিকেল সাইন্স এত্তো উন্নত হইসে যে একসিডেন্ট কইরা কেউ হাত পাও হারাইলে আর কুনো সমস্যাতেই প্রবলেম হইবো না । আম্রা এখন অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে তৈরী করা যান্ত্রিক হাত পাও লাগায়া দিতাম্পারি । আক্রান্ত ব্যাক্তির কুনো অসুবিদা হয়না । এই সব যান্ত্রিক হাত পাও এক্কেরে আসল হাত পাও এর মতই কাজ করে । অন্য জন আম্রিকার , হেতে কইলো আম্গো দ্যাশের চিকিৎসা বিজ্ঞান তো আরও অনেক উন্নত হইয়া গেসেগা । আম্রা তো আর হাত পাও নিয়া কাম করি না । এক্কেরে হার্ট নিয়া আমাগো কাজ কারবার । আম্গো দ্যাশে আর্কেও হার্ট এটাক কইরা মইরা যাইব না । আমরা অহন যান্ত্রিক হার্ট তৈরী কইরা ফালাইসি । আসল হার্ট ফালায়া দিয়া যান্ত্রিক হার্ট বসায়া দিলেই হইলোগা । ব্যাটারীতে চলা হার্ট কুনো সমস্যাতেই আর প্রবলেম কর্বো না ।
এইবার বাঙলাদেশী....। হেতে কিছুক্ষন ঝিম ধইরা বইস্যা থাকল । হেতের দুস্তরা জিগাইলো কিরে তোর দ্যাশের কি অবস্থা? বাঙালী শ্যাষম্যাষ কইলো তোগো দ্যাশের আর এমুন কি উন্নতি হইসে, আম্গো তুলনায় তো কিছুই হয় নাই । দুই জনই অবাক হইয়া জানতে চাইল এমন কি উন্নতি হইসে বাংলাদেশে? বাংলাদেশী আড়মোড়া ভাইঙা কইলো হেই দিন একসিডেন্ট কইরা এক মহিলার মাথা কাইটা পইড়া গেছিল । তো ডাক্তাররা অপারেশন কইরা হেতের গলার উপ্রে প্লাস্টিকের মাথা লাগায়া দিল । এখন মহিলা দিব্বি সুস্থ । দুইজন তো এক্কেরে স্তম্ভিত হইয়া জিগাইলো কেমতে কি? প্লাস্টিকের মাথা নিয়া কুনো মহিলা কেমতে সুস্থ থাকে? বাঙলাদেশী ব্যাক্তি হাই তুইল্যা কইলো 'বিশ্বাস হইতাসেনা? এই মহিলাই অখন আমাগো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি, বিশ্বাস না হইলে খোজ নিয়া দেখ গিয়া ।
এট্টা চ্রম ১৮+ কৈতক
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪৫