আমেরিকায় সঠিকভাবে ভোট হওয়ার কারণে আজ অবধি নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়নি; হিলারীকে আমেরিকানরা "সৎ মানুষ" হিসেবে ভাবতো না, সেজন্য তিনি ভোট পাননি; কমলা ভোট পাননি, কারণ তিনি আমেরিকার মুল ২টি ইস্যুকে ( অর্থনীতি ও বর্ডার ) বুঝেন বলে মানুষ বিশ্বাস করেননি।
পাকিস্তানে বেনজীর ভুট্টোকে প্রাইম মিনিষ্টার করেছিলো মিলিটারী; বাংলাদেশে বেগম জিয়াকে ৩ বারই প্রধানমন্ত্রী বানায়েছে দেশের মিলিটারী; শেখ হাসিনাকে ১ম বার ও ২য় বার প্রাইম মিনিষ্টার বানায়েছে এরশাদ ও জিয়ার দলের মিলিটারীর জেনারেলরা; পরে তিনি নিজের চেষ্টায় ও মিলিয়ারীর সাপোর্ট পেয়ে হয়েছেন। বার্মায়, চাপে পড়ে মিলিটারীই সুচি'কে প্রাইম মিনিষ্টার করেছিলো; এখন জেলে রেখেছে।
শেখ হাসিনা ২০১৪ সাল থেকে দেশের মানুষকে ইডিয়ট বানায়ে "নারীর ক্ষমতায়ন" করেছিলেন; প্রতিবারই মিলিটারীর সাপোর্ট ছিলো; সেই মিলিটারীই উনাকে গদিচ্যুত করেছে। আমাদের ব্লগারের খুশী যে, বেগম জিয়ার মত লিলিপুটিয়ান ও শেখ হাসিনার মতো পিগমী দেশের বড় পদে থাকায় আমারা মহান জাতিতে পরিণত হয়েছি।
আমেরিকা হচ্ছে গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে নাগরিকের ভোটে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে থাকে; ভোটারেরা যখন ভাবে যে,এই প্রার্থী তার নাগরিক অধিকার "সর্বাধিক" রক্ষা করবে,তাকে ভোট দিয়ে থাকে। যদিও দেশের প্রেসিডেন্ট মুলত কাজ করে ব্যবসায়ীদের হয়ে, তবে নাগরিকদের ন্যুনতম অধিকার সঠিভাবে রক্ষা করে।
এবার দেখেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনী, মাস্ক কিভাবে ট্রাম্পক জয়ী করার জন্য কাজ করেছে! নির্বাচনের শেষের ৩ সপ্তাহে প্রতিদিন ১ মিলিয়ন করে মানুষকে দিচ্ছিলো লটারীর মাধ্যমে? কারণ, সে চায়, ট্রাম্প ওর চাকর হয়ে থাকুক।
ব্লগারদের বড় অংশ সামান্য মার্কিন নির্বাচনও বুঝায় মতো জ্ঞানী নন। মার্কিন নির্বাচন নিয়ে একবার ব্লগার সোনাবীজের লেখা পোষ্ট পড়েছিলাম; আমার মতে, উহা লিলিপুটিয়ান পোষ্ট ছিলো।
রাজনীতি ও ভোট সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকাতে, ব্লগারেরা মনে করেন যে, আমেরিকানরা নারীকে প্রেসিডেন্ট বানায় না। বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনার মতো অপদার্থরা দেশের সর্বোচ্চ পদে থাকাতে, ব্লগারেরা নিজদের আমেরিকানদের চেয়ে বেশী বুদ্ধিমান ও সুনাগরিক মনে করে থাকেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১১