ছাত্রলীগের ইতিহাসের বড় দিক হলো তারা জাতীর মুক্তির জন্য মুক্তিযু্দ্ধ করেছিলো; শিবিরের ইতিহাস হলো, ওরা রাজাকার ও আলবদর হয়ে বাংগালী জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ করে পরাজিত হয়েছিলো; ২০২৪ সালের আন্দোলনে শিবির জয়ী হয়েছে।
শেখের মৃত্যুতে ছাত্রলীগের অবদান আছে ৫০ ভাগ; শেখ হাসিনার পতনে ৫০/৬০ ভাগ অবদান আছে ছাত্রলীগের। স্বাধীনতা নিয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রলীগের রূপকথার গল্ল হলো, "নিউক্লিয়াস" গঠন; আর দেশব্যাপী ছাত্রলীগের সন্মানী ইতিহাস হলো মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন।
শেখ হাসিনার টানা ১৬ বছরে, ছাত্রলীগ প্রায় ২ কোটী কলেজ ও ইউনিভার্সিটি ছাত্রকে উত্যক্ত করেছে, তাদের থেকে অন্যায়ভাবে টাকা আদায় করেছে, ছাত্রদের সামনে টেন্ডার ডাকাতী করেছে, তাদের হোষ্টেল ও হলের সীট নিয়ে ব্যবাসা করেছে। এবারের আন্দোলনের সময়, কোমলমতিরা প্রায় ১ কোটীর মতো প্রাক্তন ছাত্রদের কাছে আবেদন করেছিল, ছাত্রলীগের বিপক্ষে প্রতিবাদ করার জন্য যেন রাস্তায় নামে।
আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর, ছাত্রলীগকে ব্যান করা, মনে হচ্ছে যে, কোমলমতিদের বিরট ছোবল; হয়তো তাই, কিন্তু ইহাতে বাংগালী জাতি ও আওয়ামী লীগ উপকৃত হবে; এই ধারণার উপর আস্হা রাখুন। আসলে, কোমলমতিরা সাম্প্রতিক সময়ে ভালো কাজের মাঝে ইহাই করেছে।
আপনাদের মাঝে যারা স্বাধীনতাকামীদের অনুসারী আছেন, তারা ইহাকে সাপোর্ট করুন ও ছাত্রলীগকে ইহা মানতে সাহায্য করেন। ছাত্রলীগ এই বিলিয়ন ডলারের ব্যবসটা ছাড়তে চাইবে না সহজে; তবে, এই নামটি মুছে গেলে জাতির ট্রিলিয়ন ডলার আয়ের পথ বের হবে; জাতির তরুণ-তরুণীরা পড়ালেখায় মন দিবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৩