আহা শৈশব, হাঁটি হাঁটি পা... মায়ের দৃষ্টি সদা জাগ্রত
কোথায় পড়ে যাই, কোথায় খাই হোঁচট, কোন সে বিপদ অনাগত,
কত দুশ্চিন্তায় মা বিভোর,
কত নির্ঘম কাটে মায়ের রাত ভোর।
মা আর সন্তান, হোক সে প্রাণী, মুরগী, কুকুর বিড়াল বা হাঁস
মমতার কমতি দেখিনি কোথাও, কোন মা'ই সন্তানকে করে না উপহাস
উদরে রেখে সন্তান, তখনো কী থাকেন থেমে? শত কাজ কর্মে ব্যস্ত,
একটি সংসার,পারিবারিক নানা আয়োজন মায়ের উপরই ন্যস্ত।
মায়ের মমতার কী হয় তুলনা? কত কষ্টের পাহাড় ঠেলে মা আগান সম্মুখে
কত শত বিপদ, পড়ে যাওয়ার ভয়, সব মা এক হাতে রাখেন রুখে;
সীমাহীন সুখ মায়ের সাথে কাটানো সেই শৈশব কৈশোর অথবা তারুণ্য,
মা ছাড়া বড়বেলা জীবন ধূঁধু অরণ্য।
মনের কথা আর কারে বলা যায় খুলে,
বিষণ্ণ বেলা, বিষাদ ছুঁয়ে গেলে মন, মা রাখেন দুঃখ ভুলানো মমতা তুলে,
কী যে প্রশান্তি বুকের কিনারে পড়ে চুয়ে,
এক পাহাড় সাত সমুদ্দুর ব্যথা নিমেষেই সময় নেয় ধুয়ে।
মায়ের আঁচল ঘেঁষে বসলে, দুটো কথা বললে, মন আকাশে বয়ে যায় ফুরফুরে হাওয়া,
ভাগ্যবতি হ্যাঁ সে ভাগ্যবান..... মায়ের কাছে থেকে সেই মমতাটুকু পাওয়া,
মাকে ভুলে যাই স্বামী সন্তান, অথবা সুন্দরী বউ পেলে,
ভুলে হই অকৃতজ্ঞ... মা বলেন না কিছু, তাঁর ভিতরবাড়ী এলেবেলে।
কষ্টের ঝড় কে আর দেখে ফিরে, যদি থাকে অকৃতজ্ঞ সন্তান,
হারিয়ে যায় বৃদ্ধ মায়ের বুকের আনন্দ কলতান,
বন্ধ চোখে যদি ফিরে দেখি, কার অবদান এই সাফল্য প্রভাব প্রতিপত্তি,
তাঁর অবদান, তাঁর মমতা আর রাখি না মনে এক রত্তি।
আল্লাহ্ দিয়েছেন কত সম্মান মায়েদের, দিয়েছেন ধৈর্য্য এক সমুদ্দুর,
অশীতিপর মায়ের বুকে কেন পারি না জ্বালাতে প্রশান্তির রোদ্দুর,
কেন ফিরে আসি স্বার্থ নিয়ে আপন নীড়ে,
আহারে কী যে কষ্টের ঢেউ উঠে ভাবলে বুকে, চোখ ভেসে যায় ব্যথার নীরে।
©কাজী ফাতেমা ছবি
২৭-১০-২০২১
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭