ইহুদীদের কৌশল বুঝতে না'পারার কারণে হাজার হাজার আরবের প্রাণ গেলো; আরবেরা কিছুতেই ইসরায়েলকে থামাতে পারলো না। আরবদের মাঝে ইসরায়েলের হাজার হাজার অনুচর আছে।
হিজবুল্লাহ হচ্ছে ইরান ও ধনী আরবদের টাকায় গঠিত ১টি বিশাল ও স্বাধীন "মিলিশিয়া বাহিনী" ( শুরু ১৯৯২ সাল ) যাদের মুল লক্ষ্য হলো ইসরায়েলকে ধ্বংস করা। ইহাতে আনুমানিক ৫০ হাজার মিলিশিয়া আছে; কিন্তু রকেট ব্যতিত ভারী কোন অস্ত্র নেই। ইহা শিয়া মুসলমানদের বাহিনী, যা লেবানন দেশটিকে একটি এনার্খীর দেশে পরিণত করেছে; দেশে সুন্দর সুন্দর ইমারত আছে, কিন্তু দেশ চালানোর মতো আয় নেই। লেবানন দেশটির দক্ষিণ অন্চল হিজবুল্লার দখলে। বর্তমানে ইহার রাজনৈতিক কার্যকলাপও আছে, দেশের পার্লামেন্টে তাদের ১৫টি সীটও আছে। লেবাননের নিজস্ব সেনাবাহিনী আছে, দেশের দক্ষিণ অন্চলে সেনাবাহিনীর কোন উপস্হিতি নেই।
গতকাল নেতানিয়াহু জাতিসংঘে যোগদান করতে এসে, নিউইয়র্কে বসেই দক্ষিন বৈরুতে, হিজবুল্লাহ প্রধানকে হত্যার জন্য অপারেশনের অর্ডার দেয়। তার অনুমতি পেয়েই ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ৩০০০ টন শক্তিশালী বাংকার বাষ্টার বোমা ফেলে ৬টি বিল্ডিং ধ্বংস করে, যেখানে নাসারাল্লাহ মিটিং করছিলো। ইসরায়েল বলছে নাসারাল্লাহ নিহত হয়েছে।
হিজবুল্লাহ শিয়া বাহিনী হওয়ায়, তারা ফিলিস্তিনীদের (সুন্নী ) সরাসরি সাহায্য করে না। গত বছর অক্টোবরে, যখন ইসরায়েল গাজা আক্রমণ করেছে, হেজবুল্লাহ যদি উত্তর সীমান্ত আক্রামণ করতো, যুদ্ধের ফলাফল হতো অন্য রকম হতে পারতো। যেকোন বেকুবও জানতো যে, গাজা ধ্ংশ করার পর, ইসরায়েল অবশ্যই হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করতে লেবানন আক্রমণ করবে।
গাজাকে ধুলার সাথে মেশানোর পর, এখন হিজবুল্লার কারণে লেবাননকে গাজা বানাচ্ছে ইসরায়েল; আমাদের ফেইসবুক জেনারেলরাও হিজবুল্লাহ থেকে বেশী সামরিক জ্ঞান রাখে।
এই সুযোগে লেবানন চাইবে হিজবুল্লাহ থেকে নিজকে মুক্ত করতে; ফলে, হেজবুল্লাহ বেশ চাপের মাঝে থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৩