একাত্তরের জামায়াত নিজ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে এবং চব্বিশের আওয়ামী লীগ নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে। এখন আওয়ামী লীগ বলছে ছাত্র-জনতার হত্যাকান্ডে যারা অংশগ্রহণ করেছে তারা নাকি অন্য লোক ছিলো। বিরোধী পক্ষ বলছে, তারা পুলিশের ভেসে আওয়ামী লীগের লোক ছিলো। জয় বলছে সেই বুলেট পুলিশের কাছে ছিলো না। বিরোধী পক্ষ বলছে সেই বুলেট পুলিশ ভেসী আওয়ামী লীগের কাছে ছিলো। এটা হতে পারে আওয়ামী সরকার সেই বুলেট পুলিশের হাতে না দিয়ে তাদের দলের লোকের কাছে দিয়েছে। একাত্তর বিষয়ে জামায়াত বলেছে তারা নির্দোষ। চব্বিশ বিষয়ে আওয়ামী লীগ বলছে তারা নির্দোষ। এ বিষয়ে জনগণ জামায়াত ও আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করছে না। জামায়াতের বিচার হয়েছে এবং আওয়ামী লীগের বিচার হোক। অপরাধের বিচার না হলে ক্ষতিগ্রস্থরা কষ্ট পায়। অপরাধীকে সমর্থন করলেও ক্ষতিগ্রস্থ্যরা কষ্ট পায়। সেজন্য আমি এ দু’টি দলকে ঘৃণা করি। আমাকে একজন বলল, জামায়াত ইসলামী দল। আমি বললাম খুন করলে আর ইসলামী দল হয় কেমন করে? ইসলাম কি খুন করতে বলে?সুতরাং এরা প্রতারক দল। কারণ এরা ইসলামের সাইন বোর্ড লাগিয়ে ইসলাম বিরোধী কাজ করে। আমি বললাম, জামায়াত হলো মেডিকেল হলের সাইন বোর্ড লাগনো মুদি দোকানের মত। কাষ্টমার ঔষধ কিনতে এসে দেখে চাল-ডাল। সেইজন বলল, তারা মানুষের উপকার করে। আমি বললাম, প্রতারণা করে উপকার করে আর কি! একজনকে বললাম, আওয়ামী লীগ তো উন্নয়ন করে। তিনি বললেন তারা গুম-খুন করার পর সেই উন্নয়ন দিয়ে কি হবে? মৃত লোক কি উন্নয়ন দেখে। হায়নাদের এ দু’টি দলের নিকট লুট, খুন ও গুম যেন ডালভাত।
একটা পাথর চাপা পড়ে ছিলো জাতি। ছাত্র-জনতা সেটি সরিয়েছে। চব্বিশের রাজাকাররা এখন হানাদারের পক্ষ নিয়েছে। সামু একাত্তরের রাজাকারের পোষ্ট সরিয়ে দিলে চব্বিশের রাজাকারের পোষ্ট সরিয়ে দেয়না কেন? একাত্তরের হানাদার ছিলো ভিনদেশী এবং চব্বিশের হানাদার স্বদেশী। এরাও ভিনদেশীদের মত লুটেরা। স্বদেশী হানাদারের রাজাকার বেশী ঘৃণিত না ভিনদেশী হানাদারের রাজাকার বেশী ঘৃণিত? ভিনদেশী হানাদারের রাজাকার হলো মীর জাফর এবং জামায়াত। স্বদেশী হানাদারের অনেক রাজাকার ব্লগে বিদ্যমাণ রয়েছে। সামু এদেরকে এখনো বুঝে উঠতে পারছে না। এরা পালিয়ে যাওয়া হানাদারকে ধরে এনে আবার এদেশের ক্ষমতায় বসাতে চায়। এ চক্রটি আমাদের প্রতিবেশীর বন্ধু না হয়ে গোলাম হয়ে গেল। আরে একটা স্বাধীন দেশ কি আরেকটা স্বাধীন দেশের গোলাম হতে পারে? আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। গোলাম অবশ্যই নয়। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি স্বৈরাচারী চরিত্র পরিহার করতে পারলে স্বাগতম। নতুবা রবীন্দ্র নাথের ভাষায় বলতে চাই হেথা নয় হেথা নয় অন্য কোথা অন্য কোন খানে। দেশ প্রেমী একটা নতুন দল হোক। সেই প্রত্যাশা জনগণের অনেকের।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০