কিসের প্রতিক্ষায় থাকি
কেনো ? জানি না
সে হতে পারে চন্দ্রসুখীরাতের কবিতা
অথবা প্রতিরাতে নিমাই টানে সন্তুপাখি হবার নেশা
কিছুই হয়ে উঠে না না সন্তু ,না পাখি, না কবিতা লেখা
একসময় নিজেকে অনেক রূক্ষ আর শুষ্ক পড়ে থাকতে দেখি
প্রবল তৃষ্ণায় বুকের ভেতরটা তড়পায়
আর তৃষ্ণার তোড়ে হতবিহবল হয়ে আক্রোসে
হাত ঢুকিয়ে দিই পূর্বপুরুষের কবরে
তাদের আত্বাকে ধরতে না পেয়ে তুলে আনি কিছু হাড়গোড়
কিছুই ভালো লাগে না
তৃষ্ণার্ত লাগে নিজেকে ভীষণ
অথচ এখনই পানের উৎকৃষ্ট সময়
রমণী আর তরণীরা তোমরা হও
পান্থশালার বেশামাল ইন-কিপার
দরজাতে দু-হাত রেখে দাঁড়াও
পান্থশালা খোলে।
কামিনী বাতাসে এলোমেলো হোক শাড়ীর আঁচল
অবগুণ্ঠন সরে যাক আবক্ষনাভীমূল
রসময় রমণী ওষ্ঠে তোমাদের সরাব ঢালো।
খুব বেশি অশ্লীল হও
শ্লীল মৌমাছির নাকের ডগায়
ময়ুরাক্ষী ক্ষরামুখ তোমাদের জঙ্গা নাচাও।
রাত্রীর সাইরেন বেজে গেছে
রক্তিমচোখে আরো গাঢ় হয়েছে তৃষ্ণা
জানো এমন রাত !
এমন মাতাল রাত !
প্রতি দিন আসে না ?
কালেভদ্রে আমরা তার দেখা পাই
নিয়ন আলো মিটিমিটি জ্বলছে
কামস্য নং লক্ষ্যাং তমঃ
ধীরে কাছে এসো
মজ্জাতে ঠোঁট রেখে শুষে নেই
মাতাল সুষমা।
শুধু সংঘাত চাই তোমার আমার
সংলাপ?ধুৎছাই!
আসো পেয়ালা সাজাই
ঠোঁটেতে ঠোঁট রেখে হই সোহাগী পাখি
আমরা তৃষ্ণা মেটাই
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১