জেনে শুনে বিষ করেছি পান,
প্রাণেরও আশা ছেড়ে স্বপেছি প্রাণ
আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান............
দুপুরের রোদে ফুল গুলো মিইয়ে গেছে।
ছেড়া ছেড়া পাপড়ি গুলো পড়ে পড়ে পিচঢালা পথটার কতকটা স্থান দখল করে নিয়েছে; হালকা বাতাসে দু’একটা পাপড়ি হয়তো পড়ে গিয়ে থাকবে কোথাও।
সন্ধ্যে নামতে বসেছে।
অনির্বান এখনো বসে আছে। এখনো মনে ক্ষীণ আশার দ্বীপ জ্বলছে, জ্বল জ্বল করে।
পারমিতা আসবেই !!
না এসে পারবেনা। ভালবাসার আগুন যে হাতে নিয়েছে, পুড়ে না যাওয়া পর্যন্ত ছাড়বেনা। ভয় পেলে ভালোবাসা হয় কি ?
কাঁদতে হবে; এ,আর এমন কি ! পুড়তে হবে; এ, আর কঠিণ কি !!
মাটি পুড়ে ইট হয় লাল দগদগে আগুন থেকে ! কান্নায় স্বচ্ছতা আসে; চোখের কোলে দাগ বসে যায় ! কাজলের কালো দাগের মতো।
প্রারম্ভঃ
পারমিতা সম্ভব সুন্দরী। বিরামপুর হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা পরিক্ষায় উত্তীর্ন হবার পর ধন্য করতে এসেছে এই সূর্য চন্দ্র কলেজ। চোখের উদ্যান জুড়ে চারপাশে সুন্দরের ছড়াছড়ি। অসম্ভব সুন্দর গুলো ডানা ঝাপটায়; চোখ ধাধাঁয়। নাহ্ এসব থেকে সুশীলা খুজে পাওয়া দুস্কর !!
খুব না হলেও সম্ভব সুন্দরের সন্ধান করতে হবে। তারচেয়ে বড় হতে হবে মন!!
কিন্তু সেই মন যদি মনকাটা হয়ে বুকে বিঁেধ; যদি বিষ জ্বালা হয়। হোক সে জ্বালা তবুও ভালোবাসবো। প্রান্ত থেকে প্রান্তরে ছুড়ে ফেলে দেয়া শব্দটা প্রতিধন্নি হয়ে আসবে!!
তবুও তো মনে হবে ভালবাসতে পারলুম !!
অনির্বাণ ভেবেছিলো আগে একটা টেষ্ট ম্যাচ খেলা যায় কি? ওর ভাবনা চিন্তাকে ফলাবার সুযোগ না দিয়ে; টেষ্ট ম্যাচ খেলার আগেই একেবারে ফাইনালের মুখোমুখি দাড় করিয়েছিল।
পারমিতা প্রথম কদ্দিন এদিক,ওদিক মাতৃ,পিতৃ ও ভ্রাতৃ বিভিন্ন অজুহাত শেষে রাজি হলো।
কিন্তু পারমিতা’র মনটা জানা হলো কি?
দিন ,মাস, বছর সময় পার হয়’ ধৈর্য্যরে হাত ধরে; মাঝে মাঝে উসকে দেয় ভেতরের সুপ্ত কথা।
বনে বাদাড়ে দাপিয়ে লোকচক্ষু দেখিয়ে মাস তিনেক পদব্রজে এ ঘাট ও ঘাট পেরিয়ে বোঝা গেল সত্যি ভালোবাসে। বন্ধুরা কটাক্ষ্য করে বলে বাব্বা কঠিন ভালবাসা !! ফেভিকলের মতো ভাঙ্গবেই না।
অনির্বানের সাহস বেড়ে যায়। মরবো এ আর কঠিণ কি কাজ পারমিতাকে জয় করতেই হবে। গলায় কলসি বেধে ঝাপ দেবো গঙ্গায় পরাজিত হলে নদীর জলটা হয়তো ঠায় দেবে তাকে ।
তবু পেতেই হবে পারমিতাকে।
চলবে...............................
Click This Link target='_blank' >২য় পর্ব পড়তে চাইলে ক্লিক করুন
Click This Link target='_blank' >শেষ পর্ব