০১.
হাত ভরতি বকুল। হয়তো কারো জন্যে তুলেছে। নয়তো বা নিজের জন্যই মালা গাথঁবে।
আমি বকুল ফুল চাইলাম; সে মাথা নেড়ে বললো দেবেনা।
ফুল গুলো নিয়ে এক দৌড়ে সে চলে গেল। মনটা খারাপ হয়ে গেল। একটা বকুল যদি পেতাম আহা!
০২.
ভীষণ ভীড় পা ফেলবার জো নেই !! ম্যাজিক চলছে।
ইয়া লম্বা গোফওয়ালা ম্যাজিসিয়ান। ভেনট্রিলোকুইজম দেখাচ্ছে !!!
এ ম্যাজিক আমি বেশ ক’বার দেখেছি। কিন্তু যিনি দেখাচ্ছেন সেটার ভেতর মাদকতা আছে।
পরপর বেশ ক’টা ম্যাজিক হলো।
ভীড় ঠেলে একেবারে সামনে দাড়ালাম। লোকটি কি ভাবলো কে,জানে !! আচ্ছা ম্যজিকের সাহায্যে ভালবাসা আনা যায়না ?
ম্যাজিসিয়ানটা থমকে গিয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে !!!!
০৩.
গ্রীনরুম থেকে দীপা এসে বললো; আজ তো যেতে পারবোনা রে - সুদিপ দু’টোয় একটা শো আছে; তুই চলে যা !! একটা তো মাত্র দিন .......আয়না কোথাও ঘুরি ?
না দীপা এলোনা।
দুপুরের সূর্য মাথার উপর উঠে গেছে। হাটছি একা।
পার্ক ভর্তি জুটি। আজ ভ্যালেন্টাইন। শুধু আমি একা গাছপালা গুলো ব্যঙ্গ করছে !!!
একটা পাগল হাসছে.......পড়নে চট। সামনে দাড়াল। এই দশটা টাকা দে? বলে হাতটা বাড়ালো পাগলটা; বললাম কেন?
দশটাহার ভালবাসা দিমু তরে !! দেহছ্না চাইরদিগে কত্থো ভালবাসা আইজ !!!
টাকায় ভালবাসা পাওয়া যায় কি?
০৪.
গা, গুলানি ভাবটা যাচ্ছে না।
নোংরামি। ঝুপঝাপ সন্ধ্যে নামতেই ঝোপের পাশে জাপটা জাপটি। এর নাম ভালবাসা !! প্রেম নাকি স্বর্গীয়। এ, যে স্বাক্ষাত নরকপুরি।
রাস্তার সোডিয়াম লাইট গুলো একে একে জ্বলে উঠছে। ঘড়ে ফিরবো।
আলোতে অন্ধকার দূর হচ্ছে কিন্তু নোংরামীতে ভালবাসা ঢেকে যাচ্ছে!!!!
০৫.
সন্ধ্যে তারাটা ডুবে যাচ্ছে। ঘরের দরজা খুলতে যাবো; দূয়ারে একজোড়া বকুল ফুলের মালা। হাক ছেড়ে ডাকলাম সুজন এ মালা কে রেখেছে রে ? উত্তর এলো; সন্ধ্যা দিদি।
দূয়ারে ভালবাসা রেখে হন্যে হয়ে খুজেছি সারাদিন।
আহা !! কি মিষ্টি গন্ধ; মাদকতায় ভরপুর; সেই ম্যাজিশিয়ানের জাদুর মতো !!
সন্ধ্যা; তুমি আমাকে ভালোবাসো ? পিনপতন নিরবতায় কে যেন বলে গেল হ্যাঁ।
আমার হাত ভরতি বকুল। গন্ধ ছড়াচ্ছে । চোখ বন্ধ করলাম। মাতাল হচ্ছি ক্রমশই !!!
চোখ খুললাম হাত ভরতি বকুল নেই; বিছানা ভর্তি বকুল ছড়িয়ে ছিটিয়ে দুমরে-মুচরে গেছে !!
-সমাপ্ত-
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫২