এইবার শুরু করছি নতুন যুদ্ধ। যুদ্ধটি তাদের সাথে যারা "মা" শব্দটিকে বিষিয়ে তুলেছে অনলাইন, যারা মা'কে নিয়ে লিখছে সব আজে বাজে গল্প, কথা, ছবি। এবার লড়তে হবে তাদের সাথে। ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমারা রক্ষা করেছিলাম বাংলা মা কে। এখন কি আমরা অন্তত ৩ হাজার লেখাও কি মায়ের সম্মানের জন্য লিখতে পারবো না??
গুগলে মা লিখে সার্চ করলে যা আসে তা প্রকাশ করার যোগ্য নয়। এতে সার্চ ইঞ্জিনের কোন দোষ নেই। দোষ হচ্ছে তাদের যারা বাংলায় মাকে নিয়ে বাজে গল্প লেখে। আর দোষ হচ্ছে আমাদের। কারণ বাংলায় আমার মা'কে নিয়ে খুব কম লেখি। আসলে খারাপ লেখার সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবং মুষ্ঠিময় কিছু জারজ সন্তানদের কুরুচিপূর্ণ মানুসিকতার জন্য এই অতি মধুর শব্দটি আজ অনলাইনে লজ্জার শব্দে পরিণত হয়েছে। আজ যদি আপনার মায়ের সামনে আপনি গুগলে সার্চ দিতেন "মা" লিখে তাহলে হয়তো আপনি আপনার এই মুখ মাকে আর কোনদিনও দেখাতে পারতেন না। মানুষ এত নিচে কিভাবে নামে?
এর থেকে কি কোন পরিত্রাণের উপায় নেই? হ্যাঁ আছে। আর তা হলো মা শব্দটির উপর বেশি বেশি বাংলা লেখা। আমাদের মা বিষয়ক অনলাইনে লেখার ভান্ডার যত বেশি হবে ততো খারাপ লেখাগুলো পিছনে চলে যাবে। এর সাথে সাথে যদি সেই সকল লেখা গুলোকে এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) করা যায় তাহলে তা আরো বেশি কার্যকর হবে। তাছাড়া ও আমারা খারাপ লেখাগুলোকে গণ হারে রিপোর্ট করতে পারি যাতে করে সার্চ ইঞ্জিন গুলো সেই লেখাকে সার্চ থেকে মুছে ফেলে। এভাবে খুব দ্রুতই আমরা আমাদের মায়ের সম্মান আমারা রক্ষা করতে পারি।
আসছে ১০ই মে আন্তর্জাতিক মা দিবস। আর তার আগেই যদি আমারা আমাদের নিজ দায়িত্ব থেকে, নিজের বিবেক থেকে মা'কে নিয়ে যদি ১টা করে লেখাও অনলাইনে পাবলিশ করি তাহলে দেখবেন মা শব্দটি ওই সকল জানোয়াদের হাত থেকে রক্ষা পাবে। মায়ের সম্মান বাঁচাতে কি আমারা সন্তান হয়ে এইটুকু কাজ করতে পারি না? যে মা নাহলে আমাদের জন্ম হতো না, যে মা ১০ মাস পেটে না রাখলে আমারা এই আলো বাতাসের মুখ দেখতাম না, সেই মাকে নিয়ে যদি কেউ কুরুচিপূর্ণ অশালীন কথা লিখে তাহলে সন্তান হিসাবে কি আপনি হাত তালি দিতে পারবেন?? সহ্য করতে পারবেন মায়ের শরীর নিয়ে খারাপ কথা শুনতে, সহ্য করতে পারবেন মায়ের উপর ওই জানোয়ারদের লোলুপ দৃষ্টি পড়তে দেখলে?? যদি আপনি একজন মায়ের গর্ভে জন্ম নেন অবশ্যই আপনার রক্তে আগুন খেলে যাবে। আপনার মনে হবে এই জানোয়ারের বাচ্চা গুলোকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলতে।
কিন্তু আমরা তা করতে বলছি না। শুধুমাত্র আপনার হাতের কীবোর্ড মাউস অস্ত্র হিসাবে তুলে নিন। লিখে ফেলুন আপনার মাকে নিয়ে যেকোন ধরনের লেখা, ভালোবাসার গল্প অথবা মায়ের সৃতিচরণ আর সেই লেখা ছড়িয়ে দিন সামগ্র অনলাইনে। লিখতে পারেন ব্লগে, লিখতে পারেন আপনার ফেসবুকের ওয়ালে অথবা ওয়েবসাইট এ।
আপনাদের সেই কাজ গুলোকে আরো সহজ করে দেয়ার জন্য আমারা রয়েছি আপনার পাশে। মা'কে নিয়ে যেকোন লেখা জমা দিন আমাদের ওয়েবসাইট এ। এরপরের সব কাজ আমাদের। আমারাই সেটাকে ছড়িয়ে দিবো অনলাইনে। আমাদের এসইও টিম কাজ করবে আপনাদের লেখা গুলোকে সার্চ ইঞ্জিনে উপরের দিকে নিয়ে আসার জন্য। আমারা আপ্রাণ কাজ করে যাবো যাত অনলাইনে সকল নোংরা লেখা দূর করা যায় আর আপনাদের ভালোবাসার লেখাগুলো যাতে সার্চ ইঞ্জিনে সবার সামনে উঠে আসে। কথা দিচ্ছি আপনাদের সহযোগিতে পেলে এ যুদ্ধে আমাদের জয় হবেই হবে।
সেই সাথে সবাইকে উবুদ্ধ করার জন্য আমরা একটি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থাও করেছি। "মায়ের গল্প" নামক এই প্রতিযোগিতায় আমারা বাছাই করে সেরা ১০টি গল্পকে পুরুস্কার প্রদান করবো এবং সেরা ৫০টি লেখা নিয়ে আগামী বইমেলায় প্রকাশ করা হবে "আমার মায়ের গল্প" শীর্ষক গল্পের বই সেই সাথে লেখকদের পরিচিতিও।
আমাদের এই কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন
ওয়েবসাইটঃ http://maa.com.bd
ইভেন্টঃ https://www.facebook.com/events/343253865864126/
আসুন সবাই মিলে "মা" শব্দটিকে রক্ষা করি, মা শব্দের মধুরতা অনলাইনে ফিরিয়ে আনি।