৩১ জুলাই দৈনিক যুগান্তরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রুবিনা আমীনের একটি লেখা প্রকাশিত হয়। "সন্তান বিক্রি করতে চান না এই মা" শিরেনামের লেখাটির লিংক আমার এক বন্ধু আমাকে পাঠায়। এবং কিছু একটা করার চেষ্টা করতে অনুরোধ করে। লেখার সাথে ছবিটায় দু'টো শিশুর মুখের দিকে তাকিয়ে ওদের জীবনের অনিশ্চয়তার কথা ভেবে শিওরে উঠি। দু'শিশুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে শক্ত করে ধরে রেখেছেন মমতাময়ী অসহায় মা। নানান ভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যেভাবেই ছবিটা দেখি না কেন, একবারও মনে হয়নি মা তার সন্তান বিক্রি করতে চান।
যাহোক, আপনারা পত্রিকার রিপোর্ট পড়ে নিলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমি রুবিনা আমীনের সাথে কথা বলে আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। তিনি তার পক্ষ থেকে কিছু প্রচেষ্টার কথা বলেন। আমি ভাবলাম ভিন্ন কিছু। চেষ্টা করলাম খুব সহজে কিছু টাকার ব্যবস্থা করা যায় কি না। একটা হতাশার খবর ফেরী না করে একটা সুখবর যোগাড় করার চেষ্টায় প্রথমবারই সফলতা পাই।
"জনি ফাউন্ডেশন" নামের একটি ছোটখাটো সংস্থা থেকে মা মাদিয়া খাতুনের প্রাথমিক সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য ১০,০০০ টাকার তাৎক্ষণিক সাহায্য এবং স্থায়ী পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলো। হাতে পাওয়া ১০,০০০ টাকা নিয়ে একজন নতুন ব্লগার এবং দুইজন ফেসবুক এক্টিভিস্ট আগামীকাল রাতে চট্টগ্রাম যাবেন। সেখানে রুবিনা আমীন এবং ব্লগার ফয়সাল অভিকে সাথে নিয়ে মায়িদা খাতুনের সাথে দেখা করে পুরো বিষয়টি কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার পর করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে তারপর ওরা ফিরে আসবে।
এ মূহুর্তে মাদিয়া খাতুনের সংকট কাটিয়ে উঠার পুরো বিষয় তদারকি করছেন সংবাদ শ্রমিক রুবিনা আমীন। মাদিয়া খাতুনের নামে খোলা হয়েছে ব্যাংক হিসাব। আপনারা চাইলে সরাসরি ওই ব্যাংক হিসাবে কিছু শক্তি জমানোর কাজে হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।
ব্লগার এবং অনলাইন কমিউনিটি সম্পৃক্ত আরো একটি উদ্যোগ সফলতার সাথে শেষ হতে যাচ্ছে। শেষের দিকে এসে আমরা আরো কিছু মানুষ এগিয়ে আসলে হয়তো ওই অসহায় মা'কে আর কখনো সন্তান হারানোর শংকায় নাক ফুলিয়ে কান্না করতে হবে না। চোখ দু'টো ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইবে না। কিংবা যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে শিশুদেরকে রেখে নিজে চলে যাবার চিন্তাও করতে হবে না। আমরা অন্তত একটি সম্ভাব্য দু:সংবাদকে মূল থেকে উপড়ে ফেলি।
কেউ টাকা পাঠাতে চাইলে -
মাদিয়া খাতুন
ব্যাংক হিসাব নং ৯০০৪/৮
জনতা ব্যাংক লিমিটেড
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:২৬