প্রচন্ড উত্তাপে তৃষ্ণার্ত পাথরের গলা ভেজাতে
ইতিহাসের বুকে রক্তক্ষরণ মোটেও প্রত্যাশিত ছিলো না
অগ্রভাগে থেকে ইতিহাস রচনায় অগ্রগামী হয়ে
অনবরত ফুটে গেলে সময়ের মেরুদন্ড ভাঙার শব্দে
কানের ভেতর সভ্যতার বর্জ্যের অস্তিত্বে আমাদের গহ্বরগুলোতে
ভীষন জ্যাম পড়েছিলো চেতনার আশে পাশে মাটির কান্নাসহ
তোমরা ভেসে গেলে জল হয়ে পাথর সমেত মাটির জিহ্বায়
একটু প্রাণের ছোঁয়া দিতে বিদীর্ণতা মুঠে পুরে তখনও কেবল
আমাদেরকে কুলাঙ্গার বানিয়ে চললে এখন যেমন
নিথর হই, পাথর হই, বাক হারিয়ে পুরো পৃথিবীকে দেখি
রক্তের রঙে লালচে ধোঁয়াময় বর্তমানের মতো
অতীতকেও ঘেন্না লাগে, ভীষন লাগে গিনগিনে গনোরিয়ায়
সার্বভৌমত্বের বিকৃত বিকলাঙ্গ পুরুষাঙ্গের রসে নিষিক্ত কীটগুলো
তোমাদের বুকে খঞ্জর বসিয়ে ফিনকির উচ্চতা দ্যাখে
রক্তচোখের দৃষ্টতা পাথর সমেত মাটি কেঁপে উঠে
তোমাদেরই পিঠের নিচে, যেখানে মৃত্যু নেমে আসে
সন্ধ্যে নামার অনেক আগে, সূর্য মরারও আগে রক্তে ভেসেছিলো
পাথর সমেত মাটির পিপাসা মিটে নাক সমান জলজ ধ্বংসের রসে
মাটিই ত্যক্ত হয়েছিলো মৃত্যু ধরে ধরে।
চুষে নিলো তোমাদের রক্তের মতো লাল
রসগুলো পাকস্থলীতে ঐতিহাসিক নুড়িপাথর
মাটির বুকে বড্ড নিষ্ঠুর রোদের মিতালীতে
জলজ চিহ্নগুলো আরো অসহায়, যখন
রক্ত কেবলই শুকিয়ে যায়! ছিটিয়ে যায়
আকাশছেদী মৃত্যুর আর্তনাদে রক্ত ছিটকে পড়ে
ঠিক নিলয়ের ভাঁজে ভাঁজে স্ব-গোত্রীয় জলজ অবস্থানে
লাল নদীগুলো আর শুকায় না...
জলের গায়ে জলজ দাগ থেকেই যায়!
দাগ থেকে যায়!
(২১ আগস্টের বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে)
২১.০৮.০৮
১.১৫ মি.
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৭