১.
আস্তিক: আচ্ছা বলেন তো টিভি'র আবিষ্কর্তা কে?
নাস্তিক: এইটা জানেন না! জন বেয়ার্ড।
আস্তিক: আপনি কি জন বেয়ার্ডকে স্বচক্ষে টিভি তৈরি করতে দেখেছেন?
নাস্তিক: না তো!
আস্তিক: তাহলে জন বেয়ার্ড-ই যে টিভি'র আবিষ্কর্তা তা আপনি কী করে নিশ্চিত হলেন? জন বেয়ার্ড এর সময় আরো মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ ছিল। তাছাড়া এলিয়েন বা ভুতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না! তার মানে আপনি স্রেফ শোনা কথায় কিংবা বই-পুস্তকে পড়ে জন বেয়ার্ডকে টিভি'র আবিষ্কর্তা হিসেবে বিশ্বাস করেন, যদিও তাকে স্বচক্ষে টিভি তৈরি করতে দেখেননি!
নাস্তিক: হুম…!
২.
আস্তিক: এসিডের মধ্যে হাত দিলে যে হাত পুড়ে যায়, তা কি আপনি নিজে পরীক্ষা করে দেখেছেন?
নাস্তিক: না তো! এ আবার কেমন প্রশ্ন!
আস্তিক: তাহলে আপনি কী করে নিশ্চিত হলেন যে এসিডে হাত পোড়ে?
নাস্তিক: ওয়েল, লোকে যে বলে! তাছাড়া বই-পুস্তকেও লিখা আছে!
আস্তিক: বাহ্! আপনি নিজে পরীক্ষা না করে লোকের কিংবা বই-পুস্তকের কথায় বিশ্বাস করেন! এমনও তো হতে পারে যে এসিডে আর দশ জনের হাত পুড়লেও আপনার হাত পুড়বে না! আপনি এ বিষয়ে বিশ্বাসী না থেকে নিজে পরীক্ষা করে দেখেন না কেনো, যা খুব সহজেই করা সম্ভব?
নাস্তিক: বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর!
৩.
আস্তিক: আসিফ নামে কোনো এক নাস্তিকের দাবি অনুযায়ী সে নাকি দেবতাদেরকে স্বচক্ষে দেখেনি। অথচ সনাতন ধর্মের দেবতাদেরকে সবাই স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছেন। তার এই দাবি কি তাহলে সত্য?
নাস্তিক: না, তার এই দাবি সত্য নয়।
আস্তিক: তার অসত্য দাবির বিরুদ্ধে আপনারা প্রতিবাদ করেন না কেনো? সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীরাই বা কিছু বলে না কেনো!
নাস্তিক: ওয়েল, আমরা একই গোয়ালের প্রজাতি কি-না! আমরা সত্য-মিথ্যাকে পরোয়া করি না!