*** বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সীম রেজিষ্ট্রেশন বিষয়ে ফেসবুক ও ব্লগে অনেকেই পড়েছেন। পক্ষে বিপক্ষে হরেক রকম মতামত হয়তো পেয়েছেন। সিন্ধান্তহীনতায় ভুগছেন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সীম রেজিষ্ট্রেশন করবেন কি করবেন না। এ বিষয়ে অনেক আগে থেকেই একট পোষ্ট লিখব ভাবছিলাম।
*** যাই হোক বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সীম রেজিষ্ট্রেশন করবেন কি না সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। আমাকে বিশেষজ্ঞ ভাবার কোন কারন নেই। সাধারন যুক্তিতেই বলছি, অহেতুক ভীতি ছড়ানো কথাবার্তায় কান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আইন অন্ধ নয়, আপনার ফিঙ্গার প্রিন্ট চুরি করে কেউ আপনাকে ফাসিয়ে দিতে পারে, এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুবই নগন্য।
*** সবচেয়ে বড় কথা, মোবাইল অপারেটরের কাছ থেকে আপনার ফিঙ্গার প্রিন্ট উচ্চমূল্যে কিনে নিয়ে (তারা বিনা পয়সায় এ তথ্য কাউকে দেবে না) আপনাকে ফাসানোর আয়োজন করা চাট্টিখানি কথা নয়। আপনি যদি বড় ধরনের বিজনেস ম্যাগনেট হন, প্রথম শ্রেণীর রাজনীতিবিদ হন (ক্ষমতার মসনদে বসা সময়ের ব্যাপার মাত্র এমন) অথবা হার্টথ্রুব সেলিব্রেটি হন তাহলে হিসাবটা একটু ভিন্ন হতে পারে। তবুও হতাশ হওয়ার কারন নেই। কারন আইন অন্ধ নয়, পরিপাশ্বিক বাস্তবতা, অপরাধস্থল ও আপনার অবস্থান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করলে আসল সত্যটা ঠিকই বের হয়ে আসবে।
*** মোদ্দা কথা সাধারন মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বায়োমেট্রিক টেকনোলজি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও ব্যয়বহুল প্রযুক্তি, যার সদ্ব্যবহার বা অসাধু ব্যবহার সাধারন চোর-ছ্যাচড়দের কম্ম নয়। তবে হ্যা, এমন স্পর্শকাতর একটা বিষয়ে সিন্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারের কর্তাব্যক্তিদের আরও একটু যত্নশীল হওয়ার প্রয়োজন ছিল। আর তা হলো, জনগনের বায়োমেট্রিক্স সরকার নিজের কাছেই রাখতে পারত বিদেশী সীম কোম্পানীকে না দিয়ে।
27/04/2016 খ্রিঃ, পাবনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১২