পবিত্র কোরআনের আলোকে-
মসজিদে জেরা'র নির্মাণ করা হারাম এবং এরূপ মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার বিধানঃ
তাবুকের যুদ্ধের সময় নবীজির কিছু অনুসারী মসজিদে কুবার নিকট নতুন একটি নতুন মসজিদ নির্মান করেন, সেটিকে জেরা মসজিদ বলা হয়। নবীজি (সা.) যখন তাবুক যুদ্ধে জয়লাভ করে ফিরছিলেন। তখন সেই জেরা মসজিদ নির্মানকারী সাহাবিগন নবীজির সামনে এসে বললো ইয়া! রাসূলুল্লাহ (সা.)! আমরা একটি মসজিদ নির্মাণ করেছি, আপনি আসুন এবং সালাত আদায় করুণ। মুনাফিক অনুষারীদের ইচ্ছা ছিল তারা নবীজি (সা.) কে দিয়ে মসজিদ উদ্বোধন করাবে। আল্লাহ পাক ওহি নাজিল করলেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আয়াত নাজিল করেন-
وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مَسْجِدًا ضِرَارًا وَكُفْرًا وَتَفْرِيقًا بَيْنَ الْمُؤْمِنِينَ وَإِرْصَادًا لِّمَنْ حَارَبَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ مِن قَبْلُ ۚ وَلَيَحْلِفُنَّ إِنْ أَرَدْنَا إِلَّا الْحُسْنَىٰ ۖ وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ [٩:١٠٧]
আর যারা নির্মাণ করেছে মসজিদ জিদের বশে এবং কুফরীর তাড়নায় মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃস্টির উদ্দেশ্যে এবং ঐ লোকের জন্য ঘাটি স্বরূপ যে পূর্ব থেকে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যুদ্ধ করে আসছে,আর তারা অবশ্যই শপথ করবে যে, আমরা কেবল কল্যাণই চেয়েছি। পক্ষান্তরে আল্লাহ সাক্ষী যে,তারা সবাই মিথ্যুক। {সূরা তওবা-১০৭}
উক্ত আয়াত নাজিল হওয়ার সাথে সাথে নবীজি (সা.) সাহাবাদেরকে মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিলেন। সাথে সাথে মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলা হলো। বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থ ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থের ৫ম খন্ডে এ ঘটনা বিস্তারিত উল্লেখ আছে। ্ দেখা গেছে আশেপাশে মসজিদ থাকা সত্ত্বেও তারা মসিজদ তৈরি করছে এবং তার নাম দিচ্ছে মারকাজ মসজিদ। এভাবে এলাকার মুসল্লীদের মধ্যে মসজিদ নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে এবং মুসল্লী বিভক্ত হচ্ছে, যা কিনা মসজিদে জেরার সমতুল্য। অধিকাংশ মারকাজ মসজিদ জিদের বশবর্তী হয়ে তৈরি করা। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ঐ সমস্ত মারকাজ মসজিদে ফেতনা সৃষ্টিকারী একটি গোত্রের লোক ব্যতিত অন্য কেউ নামাজ আদায় করতে যায় না। তাই মারকাজ মসজিদ আর মসজিদে জেরা একই মসজিদ। উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত আয়াত নাজিল হওয়ার সাথে সাথে জিদের বশবর্তী হয়ে তৈরি করা মসজিদে জেরা ভেঙ্গে ফেলা হলো। তাই উক্ত আয়াত হতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, যে সমস্ত মসজিদ জিদের বশবর্তী হয়ে এবং মুসল্লীদেরকে বিভক্ত করার জন্য তৈরি করা হয়, সে সব মসজিদে নামাজ পড়া জায়েজ নাই, তা ভেঙ্গে ফেলা উচিৎ। এরকম অনেক মসজিদ আছে যা অন্যের জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছে। দখলকারী নিচ তলায় মার্কেট, দ্বিতীয় তলায় মসজিদ এবং তৃতীয় তলা থেকে বসবাস করার এ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করেছে। দখলকারী চিন্তা করেছে যে, যেহেতু মসজিদ আছে তা কেউ ভাঙ্গতে পারবে না। এভাবে সারাজীবন অন্যের সম্পদ ভোগ করতে পারবো। উপরোক্ত আয়াত দ্বারা ঐ সমস্ত মসজিদও ভেঙ্গে ফেলা যাবে।
তুরাগ নদীর সদরঘাট টু গাবতলী এলকায় পর্যন্ত তীর ঘেসে দু'চার মাইল হাটলেই চখে পড়বে নদীর পাড় ঘেসে বেশ কটি মসজিদ, ঐ সকল মসজিদ তুরাগের জমি দখলের জন্য তৈরী করা হয়েেছে, উত্তরায় ১২ সেক্টরের পাসপোর্ট অফিসে দক্ষিন পাশে একটি, এবং ৯ নং সেক্টরে খাস জমি দখলের জন্য মসজিদ নির্মান করা হয়েছে, যেখানে সরকার পক্ষ মামলা করেছে রায় অপেক্ষমান।
তথ্যসুত্র লিংক
যে মসজিদ মানুষকে দেখানোর জন্য, নিজেদের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বার্থে, আল্লাহর সন্তুষ্টির চাইতে নিজেদের আঞ্চলিক অধিপত্ব বিস্তার করার জন্য বা হারাম মাল দিয়ে নির্মিত মসজিদকে বলা হয় মসজিদে জেরা'র। এরূপ মসজিদ ইসলামে জায়েজ নয়। আপনার শহরে এরূপ মসজিদ প্রতিটি মহল্যায় খুঁজে পাবেন।
কোন প্রকার জুলুম ও অন্যায়ভাবে দখলকৃত জায়গার উপর মসজিদ নির্মাণ এবং জেনে-শুনে তাতে নামায পড়া বৈধ নয়। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৭/৫৩)
অপ্রয়োজনে যেহেতু একই মহ্ল্লায় একাধিক মসজিদ বিদআত, সেহেতু এর ফলে যেখানে ‘যিরার’ হওয়ার আশঙ্কা থাকে সেখানে নূতন ছেড়ে পুরাতন মসজিদে নামায পড়া উত্তম। কিছু সাহাবা ও সলফ এই আশঙ্কাতেই কোন কোন স্থানে পুরাতন মসজিদে নামায পড়েছেন। অবশ্য সেই মসজিদে নামায পড়া উত্তম, যে মসজিদ বিদআতশূন্য, যার জামাআত সংখ্যা অধিক (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৪/২১৩) এবং যার ইমাম ফাসেক বা বিদআতী বলে আশঙ্কা নেই।
মসজিদ হবে সাদা-সিধে প্রকৃতির। এতে অধিক নক্সা ও চাকচিক্য পছন্দনীয় নয়। অধিক কারুকার্য-খচিত ও রঙচঙে করা বিধেয় নয়।
আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, “আমি মসজিদসমূহকে রঙচঙে করতে আদিষ্ট হ্ইনি।” ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘অবশ্যই তোমরা মসজিদসমূহকে সৌন্দর্য-খচিত করবে, যেমন ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানরা (তাদের গির্জাগুলোকে) করেছে।’ (আবূদাঊদ, সুনান ৪৪৮ নং) অথচ তাদের অনুকরণ হারাম।
আনাস (রাঃ) বলেন, ‘(কিছু মুসলমান হবে) তারা মসজিদের সৌন্দর্য নিয়ে গর্ব করবে। কিন্তু তা আবাদ করবে (নামায পড়বে) খুব কমই।’ (ইআশা: ৩১৪৭ নং)
উমার (রাঃ) বলেন, ‘খবরদার! মসজিদকে লাল বা হ্লুদ রঙের বানিয়ে লোকদেরকে (নামাযের সময়) ফিতনায় (ঔদাস্যে) ফেলো না।’ (বুখারী, ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ১/৬৪২)
মহানবী (সাঃ) বলেন, “যখন তোমরা তোমাদের মসজিদসমূহকে সৌন্দর্য-খচিত করবে এবং কুরআন শরীফকে অলঙ্কৃত করবে, তখন তোমাদের উপর ধ্বংস নেমে আসবে।” (ইআশা: ৩১৪৮ নং)
এক কথায় যে মসজিদ নির্মানের পিছনে পৃথিবীর সুাবিধা গ্রহণ বরং অন্য কোন ইচ্ছা পূর্ণ করা উদ্দেশ্য হয় সেটিই মসজিদএ ইবাদত হবে না। এক মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত বস্তু আরেক মসজিদের জন্য ব্যবহার করা জায়েজ নয়।
-মুফতি আব্দুল্লাহ আল-মাদানী, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
যাহারা নিজেদের জাহির করার জন্য মসজিদ ও ঈদের নামাজ এর মাঠ প্রতিষ্ঠার সপ্ন দেখছেন তাহাদেরকে আয়ত গুলির অর্থ বুঝাবার জন্য অনুরোধ করছি। ১১০ নং আয়াত- "তাদের যে ভবন তারা বানিয়েছে তা তাদের হৃদয়ে অশান্তি সৃষ্টি থেকে বিরত হবে না, যদি না তাদের হৃদয় কুটি কুটি করা হয়। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞাতা, পরমজ্ঞানী" ।
***জেনে নেই হারাম টাকা মাদরাসা মসজিদে ব্যয় করার সহী হুকুম কি?
মসজিদ নির্মাণ বিষয়ক কিছু ফতোয়া
উত্তরঃ হারাম মাল যদি মূল মালিকের কাছে ফেরত না দেয়া যায় কোন কারণে তাহলে সে হারাম মাল মসজিদে ব্যয় করা যাবে না এ ব্যাপারে কোন মতান্তর নেই। সকল ফুক্বাহায়ে কিরাম ঐক্যমত্ব পোষণ করেছেন। কিন্তু মাদরাসা বা অন্য কোন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা যাবে কি না? এ ব্যাপারে মতান্তর রয়েছে। একদল বিজ্ঞ ফক্বীহদের মতে হারাম মাল যদি মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া না যায়, তাহলে তা শুধু গরীবদেরই দান করা যাবে। অন্য কোন সামাজিক বা ব্যক্তিমালিকানা সাব্যস্ত হয়না এমন কোন কাজে ব্যয় করা যাবে না। {ইমদাদুল মুফতীন-৫৪৫} সে হিসেবে মাদরাসাতেও ব্যয় করা যাবে না। অন্য কোন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ যাতে ব্যক্তি মালিকানা নেই তাতেও ব্যয় করা যাবে না।
কিন্তু আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর বক্তব্য এবং যফর আহমাদ উসমানী রহঃ এর বক্তব্য, এবং মুফতী কিফায়াতুল্লাহ রহঃ এর ফাতওয়া, সেই সাথে পাকিস্তানের দারুল উলুম করাচীর প্রধান মুফতী মুফতী রফী উসমানী দাঃ বাঃ এবং মুফতী তাক্বী উসমানী দাঃ বাঃ এবং মুফতী ইমরান আশরাফ উসমানী দাঃ বাঃ এর ফাতওয়া হল-এসব সম্পদ দান করার জন্য মালিকানা সাব্যস্ত হয় এমন শর্ত জরুরী নয়। তাই মাদরাসায় এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও তা ব্যয় করা যাবে।
ওনাদের দলিল হল-ফিক্বহী কিতাবে হারাম মালকে ওয়াজিবুত তাসাদ্দুক তথা দান করা আবশ্যক বলা হয়েছে। কোথাও ওয়াজিবুত তামাল্লুক তথা মালিকানা বানিয়ে দেয়া আবশ্যক বলা হয়নি। দান করা আবশ্যকতার বক্তব্য দ্বারা অনেকের ধারণায় সেটি মালিকানাও সাব্যস্ত করে দিতে হবে বলে অনেকের মনে এ সন্দেহ হয়েছে। মূলত এ ধারণার পক্ষে শক্তিশালী কোন দলিল নেই। তাই হারাম মাল মূল মালিকের কাছে ফেরত দিতে না পারলে তা মাদরাসায় ব্যয় করা বা অন্য কোন জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করতে কোন সমস্যা নেই বলেই প্রতিয়মান হয়। (উত্তর- লুৎফুর রহমান ফরায়েজী, পরিচালক–তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।)
মুসলিম থাকতে কোন কাফের মিস্ত্রী-শ্রমিক দ্বারা মসজিদ নির্মাণ বৈধ নয়। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ২১/২০-৩৮)
মুসলিমদের (সামাজিক, রাজনৈতিক) কোন ক্ষতির আশঙ্কা না হলে মসজিদ ও মাদ্রাসার জন্য অমুসলিমদের নিকট থেকে -তারা খুশী হয়ে হালাল অর্থ সাহায্য দিতে চাইলে- গ্রহণ করা বৈধ। (ইবনে বায প্রমুখ, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ৩২/৯০)
মসজিদ নির্মাণ হবে মুসলিমদের নিজস্ব পবিত্র মাল দ্বারা। এতে যাকাত ব্যবহার বৈধ নয়। কারণ, যাকাত হল গরীব-মিসকীন প্রভৃতি ৮ প্রকার খাতে ব্যয়িতব্য অর্থ। আর মসজিদ এ সব পর্যায়ে পড়ে না। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ৮/১৫২)
ওয়াকফের যে কোনও বস্তু বিক্রয় করা যায় না, হেবা (দান) করা যায় না এবং কেউ তার ওয়ারিস হতেও পারে না। (বুখারী ২৭৩৭ নং, মুসলিম, আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান)
অবশ্য যদি কোন ওয়াক্ফের জিনিস এমন অবস্থায় পৌঁছে যায়, যাতে কোন প্রকার উপকারই অবশিষ্ট না থাকে এবং তার তরমীম ও সংস্কার সম্ভব না হয়, অনুরুপ কোন মসজিদ সংকীর্ণ হলে এবং প্রশস্ত করার জায়গা না থাকলে সেই ওয়াক্ফ বা মসজিদের জায়গা বিক্রয় করে সেই অর্থে অন্য কোন উপযুক্ত স্থানে মসজিদ নির্মাণ করা বৈধ। কারণ, কোনও মসজিদ বা স্থান খামাখা ফেলে রাখা নিষ্ফল।
ইবনে রজব বলেন, ইমাম আহমাদ (রহঃ) প্রমুখ যে কথা স্পষ্টাকারে বর্ণিত হয়েছে তা এই যে, পোড়ো মসজিদ বিক্রয় করে তার মূল্য দ্বারা অন্য মসজিদ নির্মাণ করতে হবে। ঐ গ্রাম বা শহরে প্রয়োজন না থাকলে অন্য গ্রাম বা শহরে মসজিদ নির্মাণের খাতে ঐ অর্থ ব্যয় করতে হবে।
মসজিদ স্থানান্তরিত করা সাহাবা কর্তৃকও প্রমাণিত। (এ ব্যাপারে ইসলাহুল মাসাজিদ, উর্দু ৩১৫-৩১৭পৃ:, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১০/৬৩, ২৩/৯৯, ২৪/৬০, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ২/৯ দ্রষ্টব্য)
পক্ষান্তরে মসজিদ পোড়ো না হলে, নামায পড়া হলে বা চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রয়োজন না পড়লে মসজিদ ভেঙ্গে অন্য কিছু (মাদ্রাসা, মুসাফিরখানা ইত্যাদি) করা বৈধ নয়, এমনকি ইমাম রাখার জন্য বাসাও নয়। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১০/৮১, ২৩/১০৩)
এক মসজিদের আসবাব-পত্র অন্য মসজিদে লাগানো বৈধ। মসজিদের প্রয়োজন না থাকলে অথবা মসজিদের সম্পদ উদ্বৃত্ত হলে তা হতে সাধারণ কল্যাণ-খাতে; যেমন ঈদগাহ্ বা দ্বীনী মাদ্রাসা নির্মাণ, কবরস্থান ঘেরা, এতীম-মিসকীনদের দেখাশুনা প্রভৃতি কাজে দান করা যায়। (ইসলাহুল মাসাজিদ, উর্দু ৩১৬পৃ:, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ৩/৩৬১, কিতাবুদ্দা’ওয়াহ্, ইবনে বায ২০৩পৃ: )
মসজিদের বর্ধিত স্থান মসজিদের অন্তর্ভুক্ত। উভয়ের মান সমান। তাই তো মহানবী (সাঃ) এর নির্মিত মসজিদে নামায পড়ে যে সওয়াব লাভ হয়, বর্তমানে ঐ মসজিদের বর্ধিত স্থানসমূহে নামায পড়লেও ঐ একই পরিমাণ সওয়াব লাভ হবে। অবশ্য প্রথম কাতারসমূহের ফযীলত তো পৃথক আছেই। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৫/৭২, ১৭/৬৯)
ইসলামের স্বর্ণযুগে যদিও মসজিদে নারী-পুরুষের মুসাল্লা পৃথক ছিল না তবুও বর্তমানে ফিতনা ও ফাসাদ থেকে বাঁচার জন্য মহিলাদের মুসাল্লা পৃথক করে মাঝে পর্দা দেওয়া দূষণীয় নয়। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৯/১৪৭) অবশ্য এই উদ্দেশ্যে মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট ও পৃথক দরজা হওয়া বাঞ্ছনীয়। (আবূদাঊদ, সুনান ৪৬২ নং)
মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হলে সমবেত হয়ে অনুষ্ঠান করে ফিতে কেটে বা অন্য কিছু করে উদ্বোধন করা বিদআত। এ ধরনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাহায্য ও যোগদান করাও বৈধ নয়। যেমন বিশেষভাবে কোন নূতন (বা পুরাতন) মসজিদে নামায পড়ার জন্য দূর থেকে সফর করাও বৈধ নয়। যেহেতু কা’বার মসজিদ, মসজিদে নববী ও মসজিদুল আকসা (অনুরুপ কুবার মসজিদ) ছাড়া অন্য মসজিদের জন্য সফর বৈধ নয়। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৬৯৩, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ১/১৮-১৯)
উপরতলায় মসজিদ ও নিচের তলায় বসত-বাড়ি অথবা নিচের তলায় মসজিদ ও উপর তলায় বসত-বাড়ি হলে কোন দোষের কিছু নয়। (ইসলাহুল মাসাজিদ, উর্দু, ৩১৩পৃ: )
তদনুরুপ উপর তলায় মসজিদ এবং নিচের তলায় দোকান ইত্যাদি করে তা ভাড়া দেওয়া এবং সেই অর্থ মসজিদের খাতে ব্যয় করা বৈধ। (ঐ ৩১৭পৃ অবশ্য ঐ সমস্ত দোকানে যেন হারাম ও অবৈধ কোন কিছু ক্রয়-বিক্রয় না হয়। নচেৎ হারাম ব্যবসায় দোকান ভাড়া দিয়ে নেওয়া অর্থ হারাম তথা মসজিদে তা লাগানো অবৈধ হবে। বলাই বাহুল্য যে, সূদী বাংক, মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়, দাড়ি চাঁছার সেলুন, বাদ্যযন্ত্র বিক্রয়, কোন অশ্লীল কর্ম প্রভৃতি করার জন্য দোকান বা বাড়ি ভাড়া দেওয়া হারাম। (আসইলাতুম মুহিম্মাহ্, ইবনে উসাইমীন ১৪পৃ: )
মসজিদ দ্বিতল বা প্রয়োজনে আরো অধিকতল করা দূষণীয় নয়। তবে কাতার শুরু হবে ইমামের নিকট থেকে। যে তলায় ইমাম থাকবেন, সে তলা পূর্ণ হলে তবেই তার পরের তলায় দাঁড়ানো চলবে। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ৬/২৬০)
মসজিদ হবে সাদা-সিধে প্রকৃতির। এতে অধিক নক্সা ও চাকচিক্য পছন্দনীয় নয়। অধিক কারুকার্য-খচিত ও রঙচঙে করা বিধেয় নয়।
আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, “আমি মসজিদসমূহকে রঙচঙে করতে আদিষ্ট হ্ইনি।” ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘অবশ্যই তোমরা মসজিদসমূহকে সৌন্দর্য-খচিত করবে, যেমন ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানরা (তাদের গির্জাগুলোকে) করেছে।’ (আবূদাঊদ, সুনান ৪৪৮ নং) অথচ তাদের অনুকরণ অবৈধ।
আনাস (রাঃ) বলেন, ‘(কিছু মুসলমান হবে) তারা মসজিদের সৌন্দর্য নিয়ে গর্ব করবে। কিন্তু তা আবাদ করবে (নামায পড়বে) খুব কমই।’ (ইআশা: ৩১৪৭ নং)
উমার (রাঃ) বলেন, ‘খবরদার! মসজিদকে লাল বা হ্লুদ রঙের বানিয়ে লোকদেরকে (নামাযের সময়) ফিতনায় (ঔদাস্যে) ফেলো না।’ (বুখারী, ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ১/৬৪২)
মহানবী (সাঃ) বলেন, “যখন তোমরা তোমাদের মসজিদসমূহকে সৌন্দর্য-খচিত করবে এবং কুরআন শরীফকে অলঙ্কৃত করবে, তখন তোমাদের উপর ধ্বংস নেমে আসবে।” (ইআশা: ৩১৪৮ নং)
তিনি আরো বলেন, “মসজিদ (তার নির্মাণ-সৌন্দর্য) নিয়ে গর্ব না করা পর্যন্ত কিয়ামত কায়েম হবে না।” (আবূদাঊদ, সুনান ৪৪৯ নং) অর্থাৎ এ কাজ হল কিয়ামতের একটি পূর্ব লক্ষণ।
অবশ্য তৃতীয় খলীফা হযরত উসমান (রাঃ) মসজিদে নববীর দেওয়াল নক্সা-খচিত পাথর ও চুনসুরকি দ্বারা নির্মাণ করেন। থামগুলোকেও নক্সাদার পাথর দিয়ে তৈরী করেন। আর ছাত করেন সেগুন কাঠের। (বুখারী ৪৪৬, আবূদাঊদ, সুনান ৪৫১নং)
অতঃপর হযরত উসমান (রাঃ) তাঁর নিজের আমলে অর্থ-সম্পদের প্রাচুর্য দেখা দিলে তিনি মসজিদের কিছু সৌন্দর্য বর্ধিত করেছিলেন। কিন্তু তাকে চাকচিক্য বা রঙচঙে বলা চলে না। এতদসত্ত্বে ও অন্যান্য সাহাবীগণ তাঁর এ কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
ইসলামে প্রথম মসজিদসমূহকে অধিক সৌন্দর্য-খচিত ও নক্সাদার করেন বাদশা অলীদ বিন আব্দুল মালেক। এ সময়টি ছিল সাহাবাদের যুগের শেষ সন্ধিক্ষণ। তখন ফিতনার ভয়ে বহু উলামা বাদশার কোন প্রতিবাদ না করতে পেরে চুপ থেকেছেন।
শরীয়াহর আলোকে মসজিদে নারী-পুরুষের প্রবেশাধিকার
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলছেন –
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
অর্থ: হে ঈমানদারগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের জন্যে আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা ত্যাগ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা উপলব্ধি কর। (সূরা জুমা: ৯)
এখানে স্পষ্ট বলা হচ্ছে যে, যাদের ঈমান আছে – হোক নারী বা পুরুষ – সবাইকে জুমার নামাজে অংশ নিতে হবে। আর জুমার নামাজ একাকী বাড়িতে বসে হয় না, এর জন্যে মসজিদে আসতে হয় এবং সামষ্টিকভাবে এই সালাত আদায় করতে হয়।
অন্য একটি আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মরিয়মকে (আ) এই বলে আদেশ করছেন যে –
يَا مَرْيَمُ اقْنُتِي لِرَبِّكِ وَاسْجُدِي وَارْكَعِي مَعَ الرَّاكِعِينَ
অর্থ: হে মারিয়াম! তোমার পালনকর্তার উপাসনা কর, সেজদা কর এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু কর। (সূরা আলে ইমরান: ৪৩)
মসজিদে নারী-পুরুষের প্রবেশাধিকার নিয়ে মুসলিম সমাজ এখন স্পষ্টতই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে, বাংলাদেশসহ অধিকাংশ মুসলিম দেশে মসজিদে নারীদের প্রবেশাধিকার কার্যত নিষিদ্ধ। অল্প কিছু মসজিদে নারীদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকলেও তা রাসূলের (সা) সুন্নত মোতাবেক নয়। অর্থাৎ, নারীদেরকে পুরুষদের সাথে একই ফ্লোরে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয়া হয় না। এর বিপরীতে, ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার বেশকিছু দেশে নারীরা এখন মসজিদ নির্মাণ করছে। এসব মসজিদে পুরুষের প্রবেশাধিকার নিষেধ। সেখানে আজান, ইকামত ও ইমামতিসহ সব কাজ নারীরাই করে থাকে। তাদের বক্তব্য হলো – পুরুষদের মসজিদে যেহেতু আমরা প্রবেশ করতে পারি না, তাই আমাদের মসজিদেও পুরুষেরা প্রবেশ করতে পারবে না। আমরাই আমাদের ইমাম হবো এবং আমাদের মসজিদে আমরাই খুতবা দিবো।
ইবাদতের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের এই দ্বন্দ্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুরুষেরা যেমন রাসূলের (সা) সুন্নত থেকে সরে গিয়ে এক ধরনের কঠোর পন্থা অবলম্বন করছে, নারীরাও তেমন রাসূলের (সা) সুন্নত থেকে সরে গিয়ে আরেক ধরনের কঠোর পন্থা বেছে নিচ্ছে। কেউ বলছে, পুরুষদের মসজিদে নারীদের প্রবেশ নিষেধ; আবার কেউ বলছে, নারীদের মসজিদে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। আদতে, এ দুটি ধারণাই সমভাবে উগ্র এবং তা রাসূলের (সা) সুন্নত বিরোধী।
মসজিদে নারীদের প্রবেশাধিকার, অবস্থান ও কার্যক্রম ইত্যাদি নিয়ে শায়খ ড. জাসের আওদা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণাকর্ম করেছেন। বইটির আরবী শিরোনাম হচ্ছে أسئلة حول المرأة والمسجد في ضوء نصوص الشريعة ومقاصدھا ‘মাকাসিদে শরীয়াহর আলোকে মসজিদ ও নারী প্রসঙ্গ’ – বাংলায় এ রকম একটি চলতি অর্থ করা যায়। যাইহোক, বইটিতে তিনি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন।
কবরকে মসজিদ বানানো হারাম ।
আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুহতে বর্ণিত রাসূল বলেন, (( ﻟﻌﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻴﻬﻮﺩ
ﻭﺍﻟﻨﺼﺎﺭﻯ ﺍﺗﺨﺬﻭﺍ ﻗﺒﻮﺭ ﺃﻧﺒﻴﺎﺋﻬﻢ ﻣﺴﺎﺟﺪ ) ) ؛ আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের অভিশাপকরেন। তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদ বানিয়েছে। মনে রেখ,তোমরা কবর সমূহকে মসজিদ বানিও না। কারণ, আমি তোমাদের এ থেকে নিষেধ করছি”।
মসজিদকে উঁচা করা, আলোক সজ্জিত করা ও চকচকে দামি বস্তুর ব্যবহার সহ সাজানো ইত্যাদি নিষিদ্ধ:
একই সাথে ক্ষেত্রে অপচয় না করার বিধান -
রাসূল সাল্লাল্লাহু বলেন,« ﻻ ﺗﻘﻮﻡ ﺍﻟﺴﺎﻋﺔ ﺣﺘﻰ ﻳﺘﺒﺎﻫﻰ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﺎﺟﺪ » “যতদিন পর্যন্ত মানুষ মসজিদ নিয়ে অহংকার না করবে [ 50] ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত কায়েম হবে না”। নাসায়ীতে হাদিসটি এভাবে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, « ﻣﻦ ﺃﺷﺮﺍﻁ ﺍﻟﺴﺎﻋﺔ ﺃﻥ ﻳﺘﺒﺎﻫﻰ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﺎﺟﺪ » “কিয়ামতের আলামত হল, লোকেরা মসজিদ নিয়ে অহংকার করবে”। [51] আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, «ﻣﺎ ﺃﻣﺮﺕ ﺑﺘﺸﻴﻴﺪ ﺍﻟﻤﺴﺎﺟﺪ » . “আমাদেরকে মসজিদ উঁচা করার বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়নি”। [52] আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, « ﻟﺘﺰﺧْﺮِﻓُﻨَّﻬﺎ ﻛﻤﺎ ﺯﺧﺮﻓﺖ ﺍﻟﻴﻬﻮﺩ ﻭﺍﻟﻨﺼﺎﺭﻯ » “তোমরা মসজিদকে সেভাবেই
সাজাবে যেভাবে ইয়াহুদি ও খৃষ্টানরা তাদের উপাসানালয়কে সাজাত”। [53]
রাসূলের (সা) যুগে নারীরা কোথায় নামাজ আদায় করতেন?
ইসলামের সোনালী যুগে মসজিদে নারীদের অবাধ যাতায়াতের সুযোগ ছিল। মহানবীর (সা) ইমামতিত্বে মসজিদে নববীতে নারী-পুরুষ মিলে একই ফ্লোরে নামাজ আদায় করতেন। অথচ, বাংলাদেশের মতো রক্ষণশীল সমাজে হাতেগোনা ব্যতিক্রম বাদে মসজিদগুলোতে নারীদের প্রবেশাধিকারই নেই। যদিও ইসলামের দৃষ্টিতে সামাজিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হলো মসজিদ। মসজিদে নারীদের প্রবেশাধিকার, অবস্থান ও কার্যক্রম ইত্যাদি নিয়ে শায়খ ড. জাসের আওদা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণাকর্ম সম্পন্ন করেছেন। আরবীতে লেখা ড. আওদার এই বইটির বাংলা শিরোনাম আমরা দিয়েছি ‘মাকাসিদে শরীয়াহর আলোকে মসজিদ ও নারী প্রসঙ্গ’।
নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন, “ এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হবে, যারা হবে অল্প বয়স্ক যুবক, নির্বোধ। তারা সৃষ্টির সব চাইতে শ্রেষ্ঠতম কথা (কুরআন) থেকে আবৃত্তি করবে।যাদের নামাজের তুলনায় তোমরা তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে। তারা কুরআন পড়বে বটে কিন্তু তা তাদের গলদেশ অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন থেকে বের হয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বের হয়ে যায়।” (সহী বুখারী শরীফ ১০ম খন্ড, ৬৪৬২ নং হাদিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
মসজিদ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের দু-চারটি মতামত তুলে ধরছি-
১। মসজিদগুলোতে শুক্রবার ছাড়া পঞ্চাশজন মানুষও আসেনা। তাহলে নতুন নতুন মসজিদ বানিয়ে লাভটা কী? -কাফি রশিদ স্কিংসর্ট যুক্ত করা হল।
২। সাবধান সকল মসজিদে নামাজ আদায় হয় না ( সম্পূর্নটা না পড়ে কোন মন্তব্য করবেন না--ধন্যবাদ)স্কিন সর্ট যুক্ত করা হল।
বি.দ্র.
আমার এই লিখা অনুগ্রহ পূর্বক কেহ ব্যক্তিগত ভাবে নিবেন না, এটি সম্পূর্ণ ধর্মিয় দৃষ্টিভঙ্গিতে লিখা। আমার ব্যক্তিগত কোন মতামত ও মূল্যয়ন এই পোষ্টে গুরত্ব দেয়া হয় নাই, আশা করি তথ্যসূত্র ও হাদিস কোরানের সাথে মিলিয়ে দেখে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করবেন। এবং যত্র তত্র মসজিদ তৈরী কতটুকু ধর্ম সম্মত তা মিলিয়ে নিবেন।
শেখ মিজান, ঢাকা, বাংলাদেশ
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ ভোর ৫:২৬