ট্রাম্পের বিজয়ে বাংলাদেশে বা দেশের বাহিরে যে সব বাংলাদশীরা উল্লাস করছেন বা কমলার হেরে যাওয়াতে যারা মিম বানাচ্ছেন, তারাই বিগত দিনের বাংলাদেশের ফ্যাসিস্টের সহযোগী। তারা আশায় আছেন ট্রাম্প তাদের ফ্যাসিস্ট আপাকে টুপ করে দেশে ঢুকিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবেন। তাদের ল্যেইন্জা বের হয়ে গেছে বহু আগেই, তাদের আশা গুড়ে বালি। ট্রাম্পের বিজয়ে কি হতে পারে বিশ্ব রাজনীতিতে:
১) ট্রাম্পের ১ম শাষণ আমলের অনুমানে আমরা বলতে পারি ট্রাম্প যুদ্ধ বিরোধী মানুষ। ট্রাম্প একজন বিগ মাউথ পারসন - এর মানে উনি মুখে বলেন বেশী, কিন্ত তার কাজের বিষয়ে তিনি ভিন্ন। ট্রাম্পের রাজনীতি কিছুটা কর্পোরেট স্টাইলের। তিনি শক্তি, আনুগত্য, এবং কম বিনিয়োগে ব্যবসায়িক লাভ পছন্দ করেন। এই হিসাবে বলতে পারি বাইডেনের ইসরায়েল এবং ইউক্রেনকে দেয়া সামরিক সাহায্যকে ট্রাম্প সীমিত করবেন। ট্রাম্পের ভিপি যেহেতু অতি ইহুদীমুখি, সে এ ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা করলেও আশা করছি, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ ট্রাম্পের জমানায় বন্ধ বা সীমিত হবে। বিশ্বব্যাপী বর্তমান যুদ্ধের দামামা ২০২৫ সালের শেষদিকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আশা করছি।
২) ট্রাম্পের রাজনীতি অনেক বেশী যুক্তরাষ্ট্রের আভ্যন্তীনমুখী। বিশ্বরাজনীতিতে তিনি মোড়লের ভূমিকা নিতে চান। হুমকি দিবেন, কিন্তু নিজের স্বার্থের বাহিরে কিছুই করবেন না। ট্রাম্প ভারত এবং চীনের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে মোড়লের ভূমিকা পালন করবেন, ভারসাম্য রক্ষা করবেন।
৩) ট্রাম্পের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ভারসাম্যের ক্ষেত্রে ইরাণ এবং সউদি আরব উভয়েই সুবিধা পাবে। ইসরায়েল কিছুটা ব্যকপুটে থাকবে, তবে নেতানিয়াহু রাজনীতিতে শক্তিশালী হবে।
৪) বাংলাদেশের রাজনীতিতে তেমন কোন পরিবর্তন হবেনা। তবে বর্তমান আভ্যন্তরীন/ বিপ্লবী সরকারকে ২০২৫ শের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন চাপ প্রয়োগ করতে পারেন। যার আশা করছেন আপা রাজনীতিতে আবার ফিরে আসবেন, বিনয়ের সাথে বলছি, সে সম্ভাবনা একেবারেই নাই। বিএনপির বর্তমান অবস্থানের কারণ, তারা কিছুটা নার্ভাস। তাই তারা যেন তেন ভাবে ক্ষমতায় যেতে চায়। বিএনপির ভারত লবি গ্রুপ যদি সমস্যা তৈরি না করে, বাংলাদেশের বর্তমানের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কোন পরিবর্তন আসবেনা আগামী ৬ মাসের মধ্যে। আগামীর বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত হবে ২টি বিষয়ে, ক) রাজনৈতিক ব্যবস্থা কেমন হবে। খ) আওয়ামীলীগ কিভাবে রাজনীতিতে ফিরবে। পরবর্তিতে এ বিষয়ে লিখব।