মিসরে আমি একটা একটা প্লাটিনা ১২৫ সিসি ২০০৯ মডেল হোন্ডা কিনেছিলাম গত বছর। দাম পড়েছিলো হোন্ডা ও হোন্ডার লাইসেন্স এবং আমার লাইসেন্স সহ বাংলাদেশি টাকায় (৭৫০০০) পঁচাত্তর হাজার বাংলাদেশি টাকা। আর এখানে তেলের দাম পানির দামের চেয়েও কম। তাই দেখা যায় যে মাত্র দশ পাউন্ড এর অকটেনে আমার এক মাস যায় যা বাংলাদেশি টাকায় ১২০ টাকা। তারপর হোন্ডা কিনার প্রথম দিনই চলে গিয়েছিলাম ১২০/১৪০ স্পীডের মিসরের সব চেয়ে ডেঞ্জারাস রাস্তায়।
আমি তখন নতুন কিছু চিনি না টা সত্ত্বেও চালাচ্ছি নতুন হোন্ডা বলে কথা তারপর দেখি তিন চারটা রাস্তা কোন দিকে যাবো বুঝতে পারছি না তখন চলে গেলাম ডান পাঁশেরটা দিয়ে মনে করলাম আমার বাসার কাছা কাছি কোথাও হবে হয়তো একটু পড়ে দেখি টানেলে ঢুকে গেলাম তারপর আহারে পুরাই মরছি কারন মিসরের সব রাস্তা ওয়ানওয়ে উলটা গেলে বাংলাদেশি টাকায় (১৫০০০) পনের হাজার টাকা জরিমানা তার পর আবার নাই লাইসেন্স। এই টানেল গুলো অনেক ভয়ংকর আর লোকজন টানেলে পাগলের মত টানা টানে।এর মধ্যে আমার ইঞ্জিনের স্টার্ট তিনবার বন্ধ হয়েছে। আল্লাহ্ কোত্থেকে এক লোকের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন যে আমাকে তার গাড়ি দিয়ে আড়াল করে রেখে এই সাত থেকে আট কিলোমিটার টানেল পার করিয়েছে। তার পর আরো অনেক কাহিনী আছে তার মধ্যে এই পর্যন্ত পুলিশ আমাকে ১৩/১৪ বার ধরেছে আর আমার লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করা হয়েছিল কিন্তু মিসরের পুলিশ ভেরিফিকেসন না হওয়ায় লাইসেন্স দেইনি কিন্তু এর মধ্যে এই ১৩/১৪ বার যখনি পুলিশ ধরে আমি হয়তো ইংলিশ বা হিন্দিতে কথা বলা শুরু করি আর তা ছাড়া আমার কাছে গভমেন্ট স্টুডেন্ট কার্ড আছে সো পুলিশকে শুধু হোন্ডার লাইসেন্স দেখিয়ে আর ফাউ পেচাল সুরু করতাম আর ওরা ইংলিশ না বুঝায় তারাতারি আমাকে ছেড়ে দিয়ে নিস্ক্রিতি পেতো এভাবে করে কোন রকম পার করেছি ৮ মাস। আবার এর মধ্যে তিনবার এক্সিডেন্ট দুই বার বালিতে এক বার তেলে পিছলা খেয়ে। তৃতীয়বার মাথায় হেলমেট না থাকলে আজকেব্লগ লেখা লাগতো কবরে বসে বসে। ১ দিন হসপিটালে ছিলাম আর বিছানায় ছিলাম একটানা ২ সপ্তাহ এভাবে করে আমার মাথা থেকে হোন্ডার ভুত তাড়ানো হল।
ইদানিং গাড়ির উপর মন কেমন জানি ঝুঁকছে ঐ দিন গাড়ি চালালাম পিরামিড এর ভিতরের মরুভুমিতে প্রায় ৬০ এ । দেখা যাক সামনে কি আবার শিক্ষা অপেক্ষা করছে আমার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ২:৩২