somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগ জীবনঃ ১ বছর পারঃ তথ্যের মহাসমুদ্রে বিচরন-(সাথে কিছু প্রস্তাব)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৮৭ সালে প্রথম একটা হোম কম্পিউটার আমাদের বাসায় প্রবেশ করে। বিদেশ থেকে নিয়ে আসা সেই কমপিউটারে মনিটর হিসাবে টিভি কে ব্যবহার করার সিস্টেম ছিল। ছবি আকা, গেম খেলা এইসব খুব আগ্রহভরে দেখেছিলাম তখন। আর তেমন কিছু মনে নেই। ১৯৯২ সালে প্রথম একটা পূর্ণাঙ্গ পিসির মালিক যখন হলাম তখন সেটা নিয়ে কত গবেষনা ! 80286 মেশিন ছিল সেটা। র‌্যাম ছিল 1 মেগাবাইট, হার্ডডিস্ক 40 মেগাবাইট. DOS নির্ভর সেই পিসিগুলোয় মজার মজার গেম ই চলতো। গেমগুলোর সাইজ ও ছিল কম। একটা ফ্লপি তে দুই-তিন টা গেম নিয়ে বন্ধুদের বাসা থেকে চলে আসতে পারতাম। আস্তে আস্তে গেমের সাইজ বাড়তে থাকল। কি মুশকিল ! এক ফ্লপি তে ধরে না !! আসলো Split করবার কিছু সফটওয়্যার. কিন্তু টুকরো করে কয়েকটা ফ্লপি তে ভরে বাসায় নিয়ে দেখা যেত একটা ফ্লপি ঠিক মত রিড করছে না। কি যন্ত্রনা ! ইন্টারনেট ও নেই যে ডাউনলোড করে নেব কোথাও থেকে।

এইসব কাজে নর্টন ইউটিলিটিজ খুব কাজের ছিল। নর্টন কমান্ডার বলে আরেকটা সফটওয়্যার তখন আজকের উইন্ডোজের চাহিদা মেটাত। মনে আছে F5 দিয়ে কপি, F6 দিয়ে ডিলিট এইসব শর্টকাট তখন ডসের copy del এগুলো লেখার চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই অনেক সুবিধাজনক ছিল। এর আরেকটা সুবিধা ছিল। পাশাপাশি দুইটা ড্রাইভ ডিসপ্লেতে রেখে কাজ করা যেত ( টাইল করে রাখার মত)। কিছুদিনের মধ্যে ড্র্যাগ করে নিয়ে যাবার অপশন ও চলে আসে। তখন ও উইন্ডোজ ৩.১ মনে হয় চালু ছিল। স্প্রেডশিট কাজে লোটাস ১ ২ ৩, ডাটাবেসে তখন ছিল ডি বেজ ৩ প্লাস কিছুদিনের মধ্যেই ডিবেজ ৪ চালু হয়ে যায়। সে সব কি এখনো আছে? কে জানে ! উইন্ডোজেই তো মিলে গেল এক্সেল, এক্সেস। ওগুলো কে ব্যবহার করবে ? গ্রাফিক্সের কাজে ছিল হাভার্ড গ্রাফিক্স। উইন্ডোজ দিয়ে দিল পাওয়ার পয়েন্ট। ডকুমেন্ট লেখার কাজে ছিল ওয়ার্ডস্টার, ওয়ার্ড পারফেক্ট। এম এস ওয়ার্ড আসাতে সেগুলোও উধাও।

এরপর উইন্ডোজ ৯৫ এর জমানা, ধীরে ধীরে উইন্ডোজ ৯৮ এর জমানাও এলো। ইন্টারনেট চলে এল। সম্ভবতঃ অগ্নি দিয়েই শুরু। তখন অবশ্য এমন পেশায় চলে এসেছি যে আইটি নিয়ে সময় দেবার ফুরসত গেল কমে। আগে নতুন নতুন সফটওয়্যার পেলেই ইন্সটল করতাম। এগুলো নিয়ে গবেষনা (!) শুরু হতো। গেমগুলোর ক্রেডিট এ কিভাবে নিজের নাম ঢুকিয়ে দেয়া যায় প্রোগ্যামাদের নাম বদলে, এসব চিন্তা চলত। কিন্তু নিজের লাইন আলাদা হয়ে যাওয়াতে ধীরে ধীরে এসব থেকে দূরে সরে গেলাম। এখন ঝামেলামুক্ত পিসিই একমাত্র কাম্য।

ইন্টারনেটের জন্য ইমেইল ব্রাউসার হিসাবে শুরুতে সবাই ব্যবহার করত ইউডোরা, আর নেট ব্রাউসার হিসাবে নেটস্কেপ নেভিগেটর। মাইক্রোসফট বললো আউটলুক এক্সপ্রেস আর ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার আছে না ! অগত্যা সবাই সব ফেলে এগুলোতেই চলে আসল। আর মাল্টিমেডিয়া প্লেয়ার হিসাবে উইন্ডোজ মেডিয়া প্লেয়ার দিয়েই সব কিছু হয়ে যায়।

এই যে সব কিছুই মাইক্রোসফট দখল করে নিল এতে আমি কিন্তু দোষের কিছু দেখছি না। তৃতীয় বিশ্বের একজন সাধারন ব্যবহারকারী হিসাবে সবই একজায়গায় প্রায় একই নিয়মে অপারেট করে যে ব্যবহার করতে পারছি এইতো বেশী। কিন্তু বিল গেটস এর এই অগ্রযাত্রাকে আটকে দিল আমেরিকার মনোপলি বিজনেস নিয়ে মামলা। যাহোক কি আর করা ? তবে মজিলা বা অন্য ওপেন সোর্স এর ব্যবহার ততদিনে শুরু হয়ে গিয়েছে।

সম্ভবতঃ ১৯৯৪-৯৫ সালের দিকে(?) আমাদের দেশে ইন্টারনেট প্রবেশ করে। আমি ভাল করে ব্যবহার করতে শুরু করলাম ২০০০ থেকে। তখন থেকেই একটা কথা শুনাতাম ইন্টারনেট হচ্ছে তথ্যের একটা মহাসমুদ্র। কিন্তু কথাটা ভাল বোধগম্য হোত না। মেইল চেকিং ছাড়া খুব একটা দরকারী কাজেই ইন্টারনেটে ব্যবহার অন্ততঃ আমার চোখে পড়ত না।

ধীরে ধীরে ইন্টারনেটের পরিধিও বাড়তে থাকলো, আর এর বিশালতাও চোখে পড়তে থাকলো। কিন্তু উইকিপেডিয়ার মত সাইট যতদিন না এসেছে ততদিন এটাকে আর যাই হোক তথ্যের মহাসমুদ্র মনে হয়নি আমার কাছে। উইকিপেডিয়ায় ঢুকে বুঝলাম সমুদ্র কাকে বলে !! আর সবাই মিলে প্রতিনিয়তঃই তাতে পানি ঢালছে।

ব্লগিং কথাটা বেশ কয়েক বছর ধরেই শুনে থাকলেও জিনিষ টা কি তা পরিষ্কার ছিল না। গত ডিসেম্বর এ সামহোয়্যার ইন তথা ব্লগের সাথেই প্রথম পরিচয়। দেশে-বিদেশের বাংলাদেশী কমিউনিটির একটা মিলনমেলা শুধু নয়, প্রতিনিয়তঃ নতুন নতুন সম্ভার নিয়ে হাজির হতে লাগলো সামু। প্রসঙ্গতঃ এর নামটাই যা একটু কেমন ! পুরোটা লিখাও একটা সমস্যা। আবার ছোট করলেও কেমন যেন! নইলে কি নেই এখানে ?! টেকী হেল্প, ভ্রমন অভিজ্ঞতা, দেশ-বিদেশের মজার মজার সব খবর, সব যেন সমুদ্র ঘেটে এক প্লেটে হাজির করার মত। বিতর্ক, মন্তব্য সব মিলিয়ে প্রায়ই এক প্রানবন্ত চেহারা।

কিন্তু এর মধ্যেও সবচেয়ে খারাপ লাগে গালাগালি আর ব্যক্তিগত আক্রমন। মতপার্থক্যের সমালোচনা হতে পারে গঠনমূলক। পোষ্ট না পছন্দ না হলে কেউ তো জোর করেও পড়াচ্ছে না। কারু ব্যক্তিগত পাতাও নয় এটি। মডারেটরদের সবাই যতই গালমন্দ করুক, তাদের আমি ধন্যবাদই দেব এই কারনে যে তারা শক্ত হাতেই মাঝে মাঝে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। জানি এটা নিয়ে অনেক সমালোচনা, কিম্বা বৈষম্যের অভিযোগ আছে। কিন্তু আরিল বা তার নেটওয়ার্ক এমন মোটাবুদ্ধি নিয়ে কাজ করে না যে তার নিজস্ব চিন্তাধারার বাইরে গেলেই শুধু আটকে দেবে। এ কারনেই বোধহয় সামু তার নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে টিকে আছে আর উত্তরোত্তর তার ব্লগার সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে। প্রথম আলো কিম্বা আমার ব্লগে কয়েকবার ঘুরে এসেও যে কারনে ওগুলো মন ভরাতে পারেনি। সামুর লেআউট ও প্রথম আলো থেকে অনেক গুন ভালো মনে হয় আমার কাছে। যদিও প্রথম আলো ব্লগের নিজস্ব পাঠকদের কারনেই হয়তো এটা ভিজিটের দিক থেকে অনেকটাই উপরে ঊঠে এসেছে কিন্তু সামু ঘুরে গেলে সম্ভবতঃ অনেকেই আর সেখানে ফিরতে চাইবে না।

তবু সামহোয়্যার ইন এর আরো কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। এটা নিয়ে লেখালেখি ও কম হয়নি। লেখাজোকা শামীম তো কয়েকটা সিরিজ পোষ্ট ও দিয়েছে এটা নিয়ে। শত শত ব্লগার সেখানে অনেক পরামর্শই দিয়েছিল। তবু মডারেটরদের কেন যে ঘুম ভাঙলো না এটা বোধগম্য হোল না।

দিনে দিনে এই সমস্যা টা আরো প্রকট হচ্ছে। লিখেও মজা পাওয়া যাচ্ছে না, কিছুক্ষনের মধ্যেই পোষ্ট প্রথম পাতা থেকে হাওয়া। পরের পাতাগুলো খুজে খুজে পড়ার পাঠক কয়জনই বা আছে !? আমি নিজেও তো হাতে গোনা কয়দিন পরের পাতায় গিয়েছি । পোষ্ট বেশীজনে পড়ে কমেন্ট করলেই না লেখার উৎসাহ পাওয়া যায়।

সেই ক্ষেত্রে গত ২৪ ঘন্টার সেরা লেখা, গত সপ্তাহের সেরা লেখা আর গত ৩০ দিনের সেরা লেখা নিয়ে তিনটা প্যানেল যদি করা যেত এমন কি অসুবিধা হোত সেটা ? সংকলিত পাতার আমি খুব একটা কার্যকারিতা দেখি না। 'সেফ স্ট্যাটাস' মডারেটরদের কাছে একটা শাস্তির হাতিয়ার হতে পারে। ব্লগারদের কাছেও একটা সম্মানের প্রতীক হতে পারে। কিন্তু অনেক জেনারেল ব্লগারই অনেক ভাল লেখা দিয়ে থাকেন। আর সেফ ব্লগারদের সব লেখাই যে কাজের এমনও নয়।

সেই ক্ষেত্রে সংকলিত পাতার বদলে ( অথবা এটা রাখতে চাইলে নতুন একটা প্যানেলে) শুধুমাত্র সেরা লেখাগুলো ক্রমানুসারে সাজানো থাকতে পারে যা অটোমেটিক আপডেট হতে থাকবে। এটা হতে পারে ‘ভালো লেগেছে’ থেকে ‘ভাল লাগেনি’ অর্থাৎ + থেকে - ভোট এর সংখ্যা বাদ দিয়ে যত সংখ্যক ভোট পড়বে তার ভিত্তিতে। এভাবে টপ টেন কিম্বা টপ টোয়েন্টি লেখা যেমন খুজে পাওয়া যাবে সহজেই। ভাল লেখার জন্য উৎসাহিতও হবে ব্লগার রা। নইলে খালি হিট প্রত্যাশার জন্যই লেখা হতে থাকবে। গালাগালি খাওয়া লেখা, বিতর্কিত লেখাই কমেন্ট এর ঘর দখল করে থাকবে। নানা কায়দা কানুন করে নিজের পোষ্টে নিয়ে যাবার (অপ) চেষ্টায় লিপ্ত হবে অনেকেই।

যাইহোক অনেক অনেক বকবক হোল। মডারেটরদের ঘুম কত সেলেব্রিটি ব্লগাররাই ভাঙাতে পারলো না সেখানে আমি আর কি বকবক করি ? সেলেব্রিটি/রেসিডেন্ট/সুপার-ডুপার যে নামেই ডাকা হোক না কেন অনেক ব্লগাররাই নানা দিক দিয়ে ব্লগকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। আবার কেউ সাহায্য চেয়ে পোষ্ট দিলেও কোন না কোন জায়গা থেকে সাহায্য মিলেই যায়। রাগিব যেমন উইকিপেডিয়ায় সেই সাথে গুগলেও কিছুটা অবদান রেখে চলেছেন, অন্যদিকে ত্রিভুজ আর নাফিস ইফতেখার এই দুই টেকী ব্লগারদের অনেক অনেক কাজই তো ব্লগ জুড়ে চোখে পড়বার মত। এই জাতীয় আরো অনেক কাজ আছে বিডি আইডল এর আর বিশ্লেষনের জন্য ফিউশন ফাইভ তো সবার ই চেনা। রনি রাজশাহী রনির ফেভারিটের পোস্টগুলো দিয়ে অনেক ভাল পোষ্টগুলোকে সবার সামনে তুলে এনেছেন। তেমনি টেকী পোষ্টের একটা সংকলন ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন হোসাইন১৯৫০ তার সামুর প্রয়োজনীয় টেকি পোস্টের একটি ডিরেক্টরি পোষ্টটিতে। প্রসঙ্গত পুরান পোষ্টগুলো পাবার উপায় হিসাবে প্রিয় তালিকা আর প্রথম পাতা/কারু ব্লগপাতার কমেন্টের ঘর তো সকলেরই জানা। কিন্তু আরেকটা উপায় হয়তো অনেকেই জানেন না। সেটা হোল বিষয়ভিত্তিক অনুসন্ধানে বিষয় লিখে সার্চ দেওয়া।

তবে ইতিহাসের পাতাগুলোকে বর্ননা আর ছবি দিয়ে সবার সামনে তুলে আনার ব্যাপারে ব্লগার ইমন জুবায়ের এর কোন বিকল্প নেই। ব্লগার রানা প্রায় তিন বছর ধরে তার স্বকীয়তা ধরে রেখেছেন ছবি দিয়েই শুধু পোষ্ট সাজিয়ে। আরেক ব্লগার ভূলু যিনি কিনা তিন বছরের ও বেশী সময় ধরে প্রায় ৪৫টি পোস্ট এ শুধু রকমারি রেসিপি নিয়েই হাজির হয়েছেন। তেমনি এক ধারার জন্ম দিয়েছেন লালসালু । মানুষ যে সবচেয়ে বেশী হাসতেই ভালবাসে সেটা অল্প কদিনেই তার লক্ষাধিক হিট দেখেই টের পাওয়া যায়। দূর্ভাগ্যজনকভাবে অধিকাংশ মানুষই ঝগড়াঝাটি কিম্বা বিতর্ক ও পছন্দ করে । এ কারনে বিতর্কিত পোষ্টগুলো জমে ওঠে কমেন্ট আর হিট এর ধাক্কায়।

ব্লগে ধর্ম নিয়ে লেখা অনেক বিতর্ক জন্ম দেয় সত্যি কিন্তু আমার কাছে এটা এমন এক বিষয় যার আলোচনা অবশ্যই চলা উচিত। হাবিজাবি কত কিছু নিয়েই ব্লগ ভরে থাকে, আর যা মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ (বিপরীত ধারনার মানুষ নিতান্তই নগন্য বলে আমার মনে হয় ) তা নিয়ে কোনই আলোচনা চলবে না সেটা মানতে পারছি না।
আর মানুষের মন এমন ই যে তার মন ধর্মকে না মানতে চাইলেও ভুলে থাকতে পারে না। নাস্তিকের ধর্মকথা নিকটি এই সত্যকেই স্মরন করিয়ে দেয়। তার বা এ জাতীয় কোন পোস্টই আমি পড়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি শুধু এই সিরিজ পোস্টটি ছাড়া নাস্তিক হয়েও যেসব কারণে মুহম্মদ সা: কে খুব শ্রদ্ধা করি ......(১ম পর্ব) । তার লিংকগুলো থেকে কয়েকটা ভাল সাইট ও পেয়েছি। তার অনেক পরিশ্রম করে লেখাগুলো এবং তূলনামূলক নম্র ভাষার ব্যবহারের জন্য (অন্ততঃ এই পোষ্টটিতে) তাকে ধন্যবাদ। অবিশ্বাসী বা সংশয়বাদী নিয়ে পরে অন্য একটা পোস্ট দেবার ইচ্ছা আছে তবে আমার মতামত হচ্ছে অগনিত অবিশ্বাসী বা সংশয়বাদী ব্লগারদের উপস্থিতি থাকতেই পারে, আবার ধার্মিক ব্লগার ও থাকবে। লেখালেখিও হতে থাকবে যার যার বিশ্বাসভঙ্গি থেকে। তবে ভাল লাগে না গালাগালি। সেটা ধার্মিক কিম্বা অধার্মিক কারু পক্ষ থেকেই। এ ব্যাপারে কিছু ধার্মিক ব্লগারদের স্থূল যুক্তি উপস্থাপনের চেষ্টাও অবিশ্বাসী ব্লগারদের উসকে দেবার একটা কারন বলে আমার কাছে মনে হয়। তবে শিরোনাম বা কোন বক্তব্য যদি সরাসরি অধিকাংশ মানুষের অনুভূতিকে আঘাত করে থাকে, তবে অবশ্যই মডারেটরদের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে।

প্রিয় পোষ্টের তালিকা করাটা নিজের জন্য নয়। বরং ভাল লেখার লেখককে উৎসাহিত করা সেই সাথে অন্যকেও বঞ্চিত না করাটাই এর উদ্দেশ্য বলে আমি মনে করি। নিজে সংরক্ষন করতে চাইলে তো সেভ করে হার্ডডিস্কেও রাখা যায়, লিংকটা বুকমার্ক করেও রাখা যায়। কিন্তু এর ফলে আমি যেই পোষ্ট থেকে উপকৃত হয়েছি তা থেকে আরেকজনকে উপকৃত হতে দিলাম না। আমি মূলতঃ তথ্যভিত্তিক পোষ্টগুলোকে পছন্দের তালিকায় রাখতে চাই বলে অনেক ভাল লাগা পোষ্ট সেই তালিকায় নেই। আর ভ্রমন একটা পছন্দের বিষয় বলে ভ্রমন বিষয়ক ব্লগগুলোকেই সেরা তালিকায় বেশী ঠাই দেই। শামসীর যদিও একটা ব্লগ সংকলন করে ফেলেছে কিন্তু সেটা মূলতঃ ছবি ব্লগ এবং অধিকাংশই নিজের পোষ্ট। আমার একটা বানানোর ইচ্ছা ছিল, যেখানে তথ্যভিত্তিক ভ্রমন ব্লগগুলোকে একত্রিত করা হবে। এই পোষ্টেই করবার ইচ্ছা থাকলেও বড় হয়ে যাওয়াতে সেটা পরেরবারের জন্য তূলে রাখছি। দুর্ধষ্য এডভেঞ্চার হিসাবে দেশে কিম্বা বিদেশে রাব্বি র কাজগুলো অসাধারন। তেমনি সৌম্য ও অনেকদিন ধরেই অনেক জায়গা নিয়ে কাভার করে ফেলেছেন। আরো কয়েকজনের দারুন সব পোষ্ট আমার পছন্দের তালিকায় আছে।

১ বৎসর পার হয়েছে আরো কিছুদিন আগেই কিন্তু ব্যস্ত থাকায় তখন লেখা হয়ে ঊঠেনি। পড়া বা কমেন্ট করা তো সহজ। বড় করে লেখালেখি টাই যা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। লেখা,এডিট করা, বানান দেখা সবকিছু মিলিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পার হয়ে যায়। খুব ছোটবেলাতেই কিছু লেখালেখির অভ্যাস ছিল এমনকি পত্রিকায় ও বেড়িয়েছে বলেই ব্লগিং এর সাথে পরিচিত হবার পর থেকে মাঝে মাঝেই পোষ্ট করার লোভ সামলাতে পারিনা। দেশে বা বিদেশে অনেককেই সামহোয়্যার ইন এর আমন্ত্রন ও জানাই। যার যার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেই তো আমরা নিজেদের কে সমৃদ্ধ করতে পারি, তাই না?

সবার জন্য শুভ কামনা।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:১৫
১৭টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×