কুড়িল লেভেল ক্রসিংয়ের পাশেই কাজ করছিলেন বাদল মিয়া সহ রেলওয়ের কিছু কর্মী। ট্রেন আসার খবর পেয়ে দুই লাইনের মাঝে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে যান তারা। তখন ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে আসছে সিলেট ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সুরমা এক্সপ্রেস। হঠাৎ দেখতে পেলেন- সেলফোনে কথা বলতে বলতে লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করছেন এক মা। সঙ্গে শিশুসন্তান। এ সময় শিশুটির মাকে এক পথচারী রেললাইন থেকে হেচকা টানে নামাতে পারলেও শিশুটি থেকে যায়। মুহুর্তের সিদ্বান্তেই দৌড়ে গিয়ে শিশুটিকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত ট্রেনের সামনে থেকে রক্ষা করলেন বাদল মিয়া। কিন্তু রক্ষা পেলেন না নিজে। জীবন দিয়ে একটি শিশুর প্রাণ বাঁচালেন তিনি। স্যলুট বাদল মিয়া। পরের জন্যে যে অসংকোচে নিজের জীবন বাজি রাখতে পারে, সেই তো প্রকৃত বীর। জাতীর এই বীর সন্তানের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্বা।
বাদল মিয়া আট সন্তানের জনক। ২৯ বছর ধরে রেলওয়েতে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার আয় দিয়েই পুরো পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হতো। বাদল মিয়ার আকস্মিক মৃত্যুতে অনিশ্চিত অবস্থার মুখে পড়ে গেছে তার পরিবার। এখন আমাদের প্রশ্ন - নিজের জীবন দিয়ে মানবতার উজ্জল সাক্ষর রেখে গেলেন যে মানুষ টি, তার সন্তানদের কে দেখবে? আগামিকাল তারা কি খাবে, কি করে চলবে এতগুলো মুখের এই সংসার? এখন পর্যন্ত কেউ জানেনা।
অসংখ খবরের মাঝে এটাও হয়ত শুধু একটি খবর হয়ে থাকবে। হারিয়ে যাবে কালের গর্ভে। বাদল মিয়ার পরিবার ধুকে ধুকে মরবে না খেতে পেয়ে।
নিজের মনে প্রশ্ন জাগে- আমাদের কি কিছুই করার নেই???? আর কিছু করতে না পারি, বাদল মিয়ার বীরত্বের কথা ছড়িয়ে দিতে পারি হাজার মানুষের কাছে।
অনলাইন একটিভিষ্ট, সাংবাদিক বন্ধুরা, লক্ষ লক্ষ ইন্টারনেট ব্যবহার কারিরা চাইলেই পারেন খবরটি ছড়িয়ে দিয়ে যথাযথ কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করতে।
তাহলে বেঁচে যাবে একটি পরিবার। তাহলেই সত্য হবে -
মানুষ মানুষের জন্যে।
জীবন জীবনের জন্যে।
ব্লগার বন্ধুরা, আপনারা কি বলেন?
তথ্য সূত্র: দৈনিক বণিক বার্তা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬