মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙের হেফাযত করে । এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে । নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন ।
(সুরাহ আন নুর : ৩০ )
এখন নারীর সাথে বিয়ের পূর্বেই বন্ধুত্ব, এমন হারাম সম্পর্ক করে কে কার আগে জাহান্নামে যাবে ঐ প্রতিযোগীতায় নেমেছে । এ যুগের কথিত আধুনিক স্মার্ট উঠতি বয়সি ছেলে মেয়েরা ! রাসূল দেবর যেমন ভাবির জন্য বিপদজনক বা মৃত্যু সদৃশ - তেমনি দুলাভাইও শালিকার জন্য বাঘ সদৃশ/অনুরূপ| এদের মাঝে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে | আমাদের সমাজে বিশেষ করে বাংলাদেশে ও ভারতে ভাবি'রা যেমন তাদের দেওর'কে বা দেবর'কে সাথে নিয়ে বিভিন্ন কাজে এমনকি সিনেমা হলে তথা চিত্ত বিনোদনের জন্য অভিসারে যায়- তেমনি দুলাভাই গণও তাদের শালিকাদের নিয়ে ওই একই পন্থায় ভাবি-দেওর'এর মত অভিসারে যায় এ নিয়ে কেউ একটু ভাবেও না বরং খুশিই হয় । ইসলামে এটা সম্পূর্ণ হারাম|
অথচ ....
সারা বাংলাদেশে এই চিত্র কী সুন্দর!!! ভাবি-দেওর/দেবর এবং দুলাভাই-শালিকা-দের মধ্যকার সম্পর্ক গুলো আমাদের সমাজে সবচেয়ে মধুর!!!
দেবরকে হাদীসে ভাবির জন্য মৃত্যুসম বলা হয়েছে । আর শালীও নিশ্চয় মৃত্যুসমান দুলাভাইয়ের জন্য । দেবর-ভাবি, দুলাভাই-শালী এই দুই সম্পর্কের মধ্যে যত অশ্লীল কাজ ও ব্যভিচার হয় তা অন্য কিছুতেই হয়না বলে মনে হয় আমার । সবচেয়ে ঘৃণ্য ব্যাপার হল এসবকে কেউ খারাপ চোখেও দেখেনা । দেবর যদি ভাবিকে বাজার নিয়ে যায় বা বাপের বাড়ি রাখতে যায় অথবা দুলহাভাই ভাই শালীকে মেলা নিয়ে যায়, বাড়ি রাখতে চাই এমনকি সিনেমা দেখতে গেলেও খুব কম বাড়িতেই আপত্তি করে এটা যেন খুবই স্বাভাবীক ব্যাপার আর এসব দুলহাভাই, দেবরের অধিকার!!
অথচ আললাহ বলেন,
‘…প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে হোক, অশ্লীল আচরণের নিকটবর্তী হয়ো না….’ [সুরা আন'আম/১৫১]
দেখুন আল্লাহ বলেনঃ
"নারীদের ছলনা অত্যন্ত ভয়ংকর"
(সুরা ইউসুফঃ আয়াত-২৮)
ইউসুফ (আঃ)এর ঘটনায় মিশরের রাজার ষড়যন্ত্রকারী স্ত্রীর ঘটনায় এই আয়াত নাযিল হয় । এই ঘটনা ত সবাই জানেন
রাসূল সাঃ বলেন,
ওকবা ইবনে আমের জুহানী (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
তোমরা নারীদের নিকট যাওয়া থেকে বিরত থাক । এক আনসারী সাহাবী আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! স্বামী পক্ষীয় আত্মীয় সম্পর্কে আপনি কী বলেন?তিনি বললে, সে তো মৃত্যু-
সহীহ বুখারী ৯/২৪২; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২১৭২; জামে তিরমিযী, হাদীস : ১১৭১; মুসনাদে আহমাদ ৪/১৪৯, ১৫৩
এই হাদীসে বেগানা নারী-পুরুষের একান্ত অবস্থানকে নিষেধ করা হয়েছে এবং এ প্রসঙ্গে স্বামী পক্ষীয় আত্মীয়-স্বজন যেমন দেবর-ভাসুর ইত্যাদির সাথে অধিক সাবধানতা অবলম্বনকে অপরিহার্য করা হয়েছে"
অথচ আজ সবচেয়ে মধুর ও দৃষ্টিকটুহীন সম্পর্ক হল এই দেবর ভাবি কিংবা শালি দুলাভাই সম্পর্ক ।
আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত নসীব করুক ।এবং এই সম্পর্ক গুলো নিয়ে সাবধান হওয়ার তাওফিক দিক ।