কুয়ালালামপুর ঘুরে দেখা -১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
লংকাউই থেকে ফিরে এসে নতুন হোটেলে উঠলাম। লংকাউই যাওয়ার আগে হোটেলটা বুক করেছিলাম। তবে রুমটা চেক করিনি। হোটেলটা বাইরে ভাল লাগলেও ভেতরে পুরনো। মন খারাপ হয়ে গেল। কারো আর মন বসছে না এই হোটেলে। তাই রাত্রেই বের হলাম নতুন হোটেলের সন্ধানে। সুন্দর হোটেল পেলাম কাছেই। পরের দিনের জন্য রুম বুক করালাম কিছু এডভান্স দিতে হলো। সকালে আমরা মোহাম্মদের সাথে শহরটা ঘুরে দেখব, ঠিক করলাম। আমরা ঝলমলে কে এল টাওয়ার, পেট্রোনাস টাওয়ার ও অন্যান্য দর্শনীয় জায়গায় যাব তার সাথে।
সকালে উঠে প্রথম কাজ এই হোটেল থেকে চেক আউট। জিনিসপত্র নিয়ে নতুন হোটেলে সেট হয়ে মোহাম্মদকে কল দিলাম। তার সাথে যাত্রা শুরু হলো কে এল টাওয়ারের দিকে। কুয়ালালামপুরের রাস্তায় তখন ও মানুষ বেশী নেই। মারদেকা স্কোয়ারের পাশ দিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি। দূর থেকে কে এল টাওয়ার দেখা যাচেছ।
কে এল টাওয়ার
কে এল টাওয়ার বা কুয়ালালামপুর টাওয়ারকে মালয়ী ভাষায় বলে মিনারা কুয়ালালামপুর। এটা মূলত একটা কমিউনিকেশন টাওয়ার। কুয়ালালামপুরের দুটো দর্শনীয় আকাশচুম্বী স্থাপনার মধ্যে এটা একটা। ১ লা মার্চ ১৯৯৫ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। মালোশিয়ার ৪র্থ প্রধানমন্ত্রী মহাথীর মোহাম্মদ ১লা অক্টোবর ১৯৯১ সালে এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ১ লা মে ১৯৯৬ সালে সাধারণের জন্য এই টাওয়ার উুুক্ত করে দেয়া হয়। এর মেইন লবি কাঁচের কারুকার্যখচিত গম্বুজের মত এবং এটার নকশা ইরানের ইস্পাহানের কারিগরের হাতে বানানো। এই টাওয়ারের ছাদে একটা এন্টেনা আছে যার উচ্চতা ৪২১ মিটার এবং ছাদ পর্যন্ত উচ্চতা ৩৩৫ মিটার।
টাওয়ারের সামনে ট্যাক্সি থেকে নামলাম। পার্কিং এলাকা বাইরে। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠেই টিকেট কাউন্টার। সুন্দর খোলা জায়গা সেখানে মালোশিয়ান কালচারের প্রদশনী চলছে। হালকা মিউজিকের তালে তালে ঐতিহ্যবাহী পোষাক গায়ে দিয়ে একটা দল নাচ পরিবেশন করছে। টিকেট কিনে লিফটের দিকে এগিয়ে গেলাম। এই টাওয়ারে আগেও উঠেছি এবার বাচ্চাদের নিয়ে অবজারভেশন ডেক থেকে কুয়ালালামপুর শহর দেখব।
দ্রুতই চলে এলাম অবজারভেশন ডেকে। এখানে অনেক সুভ্যেনিয়ের দোকান হয়েছে। ফুড কোট ও আছে বেশ কিছু। বাচ্চারা ঘুরে ঘুরে চারিদিক দেখার জন্য ব্যস্ত। আমরা আস্তে আস্তে কুয়ালালামপুরের অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য দেখছি। নেতৃত্ব ও দেশপ্রেম এই দেশটাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে এসেছে। সুভ্যেনিয়ের দোকানে হঠাৎ দেখি এক বাংলাদেশী সেলসম্যান। এখানে দাম বেশী মনে করে কিনব না ঠিক করেছিলাম। পরে দেখলাম বেশ রিজনেবল দাম এবং সস্তা মনে হলো। অনেকগুলো সুভ্যেনির কিনলাম।
এখানে এসে খালি মনে মনে ভাবছি আমাদের দেশটা কবে এমন হবে। নীচে নামার পর সুন্দরভাবে সাজানো মালোশিয়ান কালচারাল ভিলেজ এলাকায় গেলাম।
অনেক অর্কিড, ফুল, মালোশিয়ার পতাকা দিয়ে রং বাহারী করা হয়েছে। উপরে নীল পরিস্কার আকাশ, তীব্র সূর্যের আলো, খোলা জায়গা বয়ে যাওয়া বাতাস সব মিলে অন্য রকম দৃশ্য।
তবে গরম বেশী বলে ছায়ার দিকে দাড়ালাম। বাচ্চাদের এবং গোটা পরিবারের ছবি তুললাম। কত সুন্দর ভাবে সাধারন দৃশ্যগুলো এরা পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তুলেছে। আমাদের গাড়ী পোর্চে চলে এসেছে। পরবর্তী গন্তব্য টুইন টাওয়ার।
ছবি নেট ও নিজস্ব
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন
কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী
ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন