‘আমি আগে কখনো বুঝতে পারতামনা লোকে কেন ধর্মপালন করে। এবং তারা এ থেকে কী পায়। কিন্তু এই প্রকল্পটি করতে গিয়ে আমি বুঝতে পারি আসলে ধর্ম কোনো সমস্যা নয়। বরং ধর্ম হলো ,মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবণতা। যা মানুষ কোনো না কোনোভাবে ধারণ করে। আমাদের এখনো মুল্যবোধ ও পৌরাণিক গল্পকে কেন্দ্র করে একত্রিত হওয়ার ও সম্প্রদায় হিসেবে সংঘবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আমি মনে করি শয়তানের মন্দির আমাকে একটি নতুন পথের সন্ধান দিলো।’ এই বিরাট উপলদ্ধি ঘটছে “হেইল শয়তান” নামে এক ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরী করতে গিয়ে ফিল্মের নির্মাতা পেনি লেইনের।
যাক মুল ব্যাপার হল এ বছর আমেরিকায় ৬ ই ফেব্রুয়ারী শয়তান উপাসকরা তাদের মন্দিরের জন্য কর ছাড় পেল, গির্জার মত। এর ফলে অফিশিয়ালি শয়তান উপাসনা একটা ধর্মের রূপ পেল। এই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ছিল এ্যানথর জ্যান্ডর লেভি (Anton Szandor LaVey)। ১৯৬৬ সালের ৩০শে এপ্রিল ইনি স্যান ফ্রান্সিসকোর ওয়ালপার্গিসনাটের “ব্লাক হাউসে” এই ধর্মের জন্য প্রথম “চার্চ অভ স্যাটান” প্রতিষ্ঠা করেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এর হাই প্রিষ্ট হিসাবে কাজ করে যান। ১৯৯৭ সালের ২৯শে অক্টোবর শয়তানবাদ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা মৃত্যর আগে অবশ্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন বই লিখে যান তার মাঝে উল্লেখ্যযোগ্য হল “স্যাটানিক বাইবেল।”
Antón Szandor Lavey | Laveyan satanism, Satanic rituals
লেভীর মৃত্যুর পর প্রায় চার বছর হাই প্রিষ্টের পদটি খালি থাকে, পরে ২০০১ সালে পিটার এইচ গিলমোর হাইপ্রিষ্ট পদ অলংকৃত করেন এবং চার্চ অভ স্যাটানের হেড কোয়ার্টার স্যান ফ্রান্সিসকো থেকে সরিয়ে নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যান হাটানের “হেল’স কিচেন” নিয়ে আসেন। এর পর সব শেষে ম্যাচাচুটেস এর সালেমের একটি পুরাতন ঐতিহ্যবাহী বিল্ডিং এ, যে বিল্ডিং এ এক সময় মানে সতের শতকে ডাইনীদের বিচার হত এবং ২০০ জনের মধ্যে প্রায় ২০ জনকে ডাইনী সন্দেহে পুরিয়ে মারা হয়। এর মাঝে বিখ্যাত হয়ে আছে তিন বালিকার ডাইনী হিসাবে অভিযুক্ত করার ইতিহাস। সে ইতিহাস থাক। আজকে আমরা একটু শয়তান উপাসনার ইতিহাসের দিকে যাব।
খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০/ ৫০০০ প্রাচীন মিশরীয় উপকথায় শয়তান দেবতা হিসাবে “সেথ” কে দেখা যায়। আর ভালো দেবতা হিসাবে ওসাইরিস কে মানা হত। সেথ ছিল মৃত্যুর দেবতা আবার সেথকে মরুভুমির দেবতা হিসাবেও মানা হত, তাই মরুভুমির যাযাবরদের সেথের উপাসনার প্রচলন বেশী ছিল। যদিও ওসাইরিসের পাশাপাশি সেথের উপাসনাও মিশরে অফিশিয়ালি পালিত হত এই যুক্তিতে, যে শয়তান কে তুষ্ঠ রাখতে হবে, অন্য দিকে সেথের যুদ্ধ দেবতা হিসাবে পরিচিতি ছিল। মুলতঃ সে সময় ভালোর পাশাপাশি খারাপ এর উপাসনার ও চল ছিল। ভালোর দেবতা যদি ওসাইরিস হয় তবে তার পাশাপাশি সেথও খারাপের দেবতা হিসাবে প্রাচীন মিশরে পুজিত হত। এই হিসাবে যদি দেখতে হয় তবে আমরা দেখি যে শয়তানের উপাসনা সেই প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় বিরাজ করছিলো। সে সময় মিশরীয়দের সমসাময়িক হিট্টাইট জাতির মাঝেও “সুতেহ” নামক এক গডের পুজার প্রচলন দেখা যায় যা মিশরীয় সেথের অনুরূপ।
Gallu Demons in Sumerian mythology
এর ধারাবাহিকতায় ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বে যে সেমিটিক জাতির দেখা পাওয়া যায় যাদের ধরা হয় ব্যাবিলনীয়, অশিরিয়, ইজরাইলাইট এবং আরবদের পূর্ব পুরুষ। এরা মেসোপটমিয়া এসে বসতি গড়ে, এদের কে আক্কাডিয়ান নামে ইতিহাসে চিহ্নিত করা হয়, মজার ব্যাপার হল আক্কাডিয়ান রা কোন সাদা চামড়া ছিল না এদেরকে “ব্ল্যাকফেস” বা “ব্লাকহেড” নামেও ডাকা হত। তাদের ব্যাপারে ইতিহাসবিদরা এখনো নিশ্চিত না তারা কি ইথিওপিয় বংশদ্ভুত ছিল নাকি অন্য কোন জাতি থেকে আগত। যাই হোক তাদের লিখিত যে ট্যাবলেট পাওয়া গেছে সেখানে এক মহাপ্লাবন থেকে ইডেন গার্ডেনে শয়তান সাপ হয়ে যে প্রলুদ্ধ করছে এই সব অনেক কিছুর উল্লেখ্য পাওয়া যায়। মুলতঃ আধুনিক ধর্ম কথার (মানে ধর্মীয় বই গুলোতে যে সব কাহিনীর উল্লেখ্য করা হয়েছে) অনেক কিছুর আদি নিদর্শন এই আক্কাডিয়ানদের ট্যাবলেটে দেখা গেছে। ব্যাবিলনীয় সভ্যাতায়। সুমেরিয়ান সভ্যতায় গাল্লু নামে আন্ডারওয়ার্ল্ড এর এক ভয়ংকর শয়তানের দেখা পাওয়া যায়।
Ereshkigal - Ancient History Encyclopedia
ব্যাবিলনীয় সভ্যতায় রেসকিজেল (Ereshkigal) নামে এক ডাইনীর দেখা পাওয়া যায় যার পায়ের পাতা পাখির পায়ের মত, প্যাচার মত পাখা যে কিনা দুটো সিংহের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
Lamashtu - Wikipedia
প্রাচীন মেসোপটমিয়ায় লামেশতু নামক এক ডাইনীর উল্লেখ্য আছে যে কিনা ছোট ছোট দুধের বাচ্চাদের মায়ের বুক থেকে তুলে নিয়ে যেত আর তাদের হাড় চুর্ন করে রক্ত চুষে খেত।
নেরগেল
মেসোপটমিয়ায় নেরগেল নামক এক ভয়ংকর অপদেবতার খোজ পাওয়া যায়, নারগেল দেখতে কুকুরের মাথা, ঈগলের দেহ, মানুষের হাত এবং সিংহের মাথার মত। এইখানে এসে একটা মজার ব্যাপার লক্ষ্য করার মত এই নেরগেলের বর্ননা ওল্ড টেষ্টামেন্টে (হিব্রু বাইবেলে) পাওয়া যায় কুথ শহরের দেবতা হিসাবে এনলিল এবং নিনলিলের ছেলে হিসাবে "এবং ব্যাবিলনের লোকেরা সুক্কোত-বেনোতকে তৈরি করেছিল, এবং কূথের লোকেরা নারগাল তৈরি করেছিল" (২ কিং, ১:৩০)।
সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে একটা ব্যাপার খেয়াল করা যায় যে, প্রথম দিকে “গড” বা সৃষ্টিকর্তা বলে আমরা যাকে উপলদ্ধি করি সভ্যতার প্রথম দিকে (যদি নিওলেথিক সময় খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০০/১০০০০ বছর আগে ধরা যাক) সে ভাবে আলাদা করে আসে নি, সে সময় মানুষ আলো ও অন্ধকার (ভালো ও মন্দ বা ঈশ্বর ও শয়তান) কে পাশাপাশি তুষ্ঠ রাখার চেষ্টা করত। কিন্তু কালের বিবর্তনে বিভিন্ন সময় মানুষ যখন আলোর আরধনা ছেড়ে অন্ধকারের আরাধনার দিকে বেশী ঝুকত তখনি ইতিহাসে এক একজন বড় মাপের মানুষের আগমন লক্ষ্য করা যায়, যারা আবার মানুষকে আলোর দিকে ফেরানোর জন্য বলত। সেই আব্রাহাম বলুন, বুদ্ধ বলুন, যিশু বলুন বা হযরত মোহাম্মদ (সঃ) বলুন বা এদের মাঝে অন্য কোন মহা মানুষ বলুন এরা এসে আস্তে আস্তে অন্ধাকারের দিক থেকে মানুষ কে আলোর পথে আনার জন্য বলছে।
যাই হোক এখানে তুলনামুলক ধর্মশাস্ত্র নিয়ে আলোচনায় না গিয়ে আমি আসলে শয়তানের উপাসনার খোজ নিতে গিয়েছিলাম। কবে কোন খান থেকে এর উৎপত্তি হয়েছে তার সুলুক সন্ধানে। আমি যেটা পেয়েছি (একান্ত ব্যাক্তিগত অভিমত) সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রভাবশালী ধর্মপ্রচারকারীরা এসে সবাই ই শয়তান কে অন্ধাকারের প্রতিভু হিসাবে দেখিয়ে মানুষ কে এর থেকে দূরে থাকার আহ্বান করছে। শয়তান অনুসারীরা আস্তে আস্তে কোন ঠাসা হতে থাকে এক সময় প্রায় বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু শয়তানের উপাসনা থেমে থাকে নি।
সভ্যতার এক বিশাল অংশ আলোর পথে চলে আসল মানুষ গোপনে অন্ধাকার বা শয়তানের উপাসনা করে যেতে থাকল। বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে। আফ্রিকায় একে অনেকে ভুডু নামে চেনেন। যদিও কোথাও কোথাও একে প্রাচীন প্যাগান রিচ্যূয়ালের বিকৃতরূপ হিসাবে বলা হয়েছে। হাইতিতে এক সময় এই ভুডু মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করছিলো। এখনো নাকি হাইতির প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভুডুর চর্চা হয় যা প্রকারান্তে শয়তানের উপসনায় রূপান্তরিত হয়েছে কালের বিবর্তনে।
এখানে অল্প কথায় প্যাগান শব্দটির বর্ননা দেবার চেষ্টা করব Pagan শব্দটি এসেছে ল্যাটিন Paganus শব্দটি থেকে যার মানে Villagers বা Rural। মানে গ্রাম্যদের ধর্ম। খ্রিষ্টবাদ আসার আগে প্রাচীন গ্রীস এবং রোমের মানুষদের এক বিশাল অংশ ছিল প্যাগান ধর্মের উপাসক। আসলে ধর্ম বলতে আমাদের যে ধারনা মাথার ভেতর আছে প্যাগান ধর্ম তা থেকে ভিন্ন তারা আসলে ছিল প্রকৃতির উপাসক, এবং পরিস্থিতির সাথে সাথে স্থান ভেদে এই প্রকৃতির উপাসনা ভিন্ন হত। তারা পৃথিবীর ব্যাসিক চারটি উপাদানে বিশ্বাস করত এয়ার, আর্থ, ফায়ার, ওয়াটার। খ্রিষ্টান ধর্ম আসার সাথে সাথে প্যাগান ধর্মের বিলুপ্তি ঘটে। বর্তমান বিভিন্ন ধর্মে এখনো প্যাগান ধর্মের বিভিন্ন সিম্বল ব্যাবহার হয় নিজ ধর্মের নামে। এনিয়ে আর কথা বাড়াব না। প্যাগান বিশ্বাস কে অনেকেই শয়তানের উপাসনা হিসাবে এখন বিশ্বাস করে।
মধ্যযুগে ইউরোপে যখন জ্ঞান বিজ্ঞান প্রসার লাভ করছিলো তখন যারাই জ্ঞানের অন্বেষন করত তাদেরকেই ডাকিনী বিদ্যারচর্চার জন্য চার্চের ইনক্যুইজিশানের (আক্ষরিক অর্থে জেরা, মুলতঃ ধর্মীয় বিচার সভা) মুখোমুখি হতে হয়।
নাইট টেম্পলারদেরও ইনক্যুইজেশানের মাধ্যমে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয় শয়তানের উপাসনা করার অভিযোগে।
যদি আপনি খ্রিষ্টান বা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী হন তবে বলতে পারেন “ইয়াজিদি” রা শয়তানের উপাসক। কিভাবে? তাদের ধর্মে বলা হয় “মালেক তাউশ” ময়ুর ফেরেশতা হচ্ছে সমস্ত ফেরশতাদের প্রধান। তাহলে তাদের কেন শয়তান উপাসক বলা হয়? সংক্ষেপে জেনে নেই সে কাহিনী মালেক তাউস দারুণ অনুগত ফেরেশতা ছিলেন। বিধাতা একবার পৃথিবী থেকে ধুলি আনিয়ে আদমকে সৃষ্টি করলেন। এরপরে ফেরেশতাদেরকে আদেশ দিলেন আদমকে সেজদাহ করতে। সবাই সেজদাহ করলেও মালেক তাউস করলেন না। চেনা ঠেকছে? ইহুদি, খ্রিস্টান আর ইসলাম ধর্মেও অনেকটা এমনই বলা হয়েছে না? শয়তান আদমকে কুর্নিশ করলেন না। পরে বিবি হাওয়াকে গন্ধম ফল খাওয়ানো ও মানবজাতির ওপরে তার ভর করে বসার কথা সবারই মোটামুটি জানা।
আর ঠিক এখানেই ইয়াজিদিদের ধর্মবিশ্বাস আলাদা মোড় নিয়েছে। মালেক তাউস বিধাতার অনুচর, তিনি বিধাতার অংশ, বিধাতা কেন মানুষকে সিজদাহ করবেন? তাছাড়া বিধাতা চাইলেই মালেক তাউস কে বাধ্য করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তিনি মালেক তাউসের পরীক্ষা নিলেন। আদমকে মালেক তাউস সিজদাহ করলেন না দেখে বিধাতা খুশি হলেন। মালেক তাউস কে মানবজাতি আর নিজের মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে কাজ করবার আদেশ দিলেন।
বহু বছর পরের কথা। আদম আর হাওয়ার বংশধরে পৃথিবী সয়লাব। সব জায়গায় তখন মার মার কাট কাট অবস্থা। মানব সমাজ বিষিয়ে উঠেছে। মালেক তাউস এই অন্যায়-অবিচার দেখে কেঁদে উঠলেন। সাত হাজার বছর ধরে তার অশ্রুধারা বইলো, নিভে গেলো নরকের আগুন। কিন্তু মানুষ মালেক তাউস কে ভুল বুঝলো। তারা সবাই মালেক তাউস কে ফিরিয়ে দিলো বিধাতার অবাধ্য অনুচর ভেবে। কিন্তু ইয়াজিদিরা বুঝলো আসল কাহিনী। মালেক তাউস বিধাতার পরীক্ষায় সফল হয়েছেন, ফেরেশতারূপে আবির্ভূত হয়েছেন, এই বিশ্বাসে ইয়াজিদিরা তাকে দিলো সুবিপুল সম্মান আর ভক্ত আরাধনা। এই বর্ণনার সাথে ইবলিশ তথা শয়তানের কাহিনী মিলে যায়। ফলে শত শত বছর ধরে অন্যান্য ধর্মের লোকেরা ইয়াজিদিদেরকে শয়তানের পূজারি হিসেবে দেখে আসছে।
NECRONOMICON SPELLBOOK
শয়তান উপাসনা নিয়ে লিখাতে গেলে নেক্রোম্যান্সি নিয়ে দু লাইন না লিখলে সে লেখা যে অপূর্ন থেকে যায়। নেক্রোম্যান্সি হল মৃতদেহ বা আত্মাদের সাথে যোগাযোগ করার একটা কালো জাদুর উপায়। হোমারের “ওডিসি” তে এই নেক্রোম্যান্সির উল্লেখ্য আছে। শয়তান উপাসনা বা কালোজাদু অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। প্রাচীন গ্রীক সভ্যতায় এই নেক্রোম্যান্সির চর্চা হত। অন্ধাকার থেকে শয়তান বা আত্মাকে ডেকে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে তাদের ব্যবহার করা মুলতঃ নেক্রোম্যন্সির মুল কথা। যারা ভুতের গল্প পড়তে ভালোবাসেন তারা হয়ত এইচ পি লাভক্রফটের নাম শুনছেন মুলতঃ এর লেখা থেকেই এই কালো জাদুর ব্যাপারে মানুষ আবার উৎসাহিত হয়ে পড়ছে।
আসলে শয়তান উপাসনা নিয়ে যে এত এত লেখা হয়েছে তা আমার জানা ছিল না, গত দুই দিন এগুলো ঘাটাঘাটি করে আমার আক্কেল গুড়ুম দশা। সবশেষে এটুকু বলে এই লেখার যবনিকাপাত করব, আমেরিকায় শয়তানবাদ একটি ধর্ম হিসাবে যেমন স্বীকৃতি লাভ করছে, তেমনি চীন সময়ের সাথে তাল রেখে তার দেশের মুসলমানদের এবং খ্রিষ্টানদের জন্য কোরান এবং বাইবেল নতুন করে পুর্নলিখন করবে। ভালোই তো। কি বলেন? ভালো না?
এই টাইপের লেখা কেউ পছন্দ করলে রহস্যময় বইঃ কোডেক্স গিগাস বা শয়তানের বাইবেল দেখতে পারেন।।
নরকের মানচিত্র
আত্মা ও প্লানচেট
সূত্রঃ বিভিন্ন জায়গায় লিঙ্ক যুক্ত করা এছাড়া
The hellish history of the devil: Satan in the Middle Ages
Satanic Temple exploits First Amendment for abomination of Baphomet
History of Black Magic
the history of the devil and the idea of evil pdf এই পি ডি এফ টা ডাউনলোড করে দেখতে পারেন, দারুন বই।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৬