আচ্ছা টেনিদা র সাথে ইয়েতির যে ফাইট হয়ে ছিল মনে আছে তা? আচ্ছা বাদ দিন টিনটিন যে তিব্বতে যেয়ে ইয়েতির সাথে মোলাকাত করল তার কি বলবেন?
প্রথমে আসা যাক ওদের নামের ব্যাপারটায়। ‘ইয়েতি’ নামটা এসেছে তিব্বতি ভাষা থেকে; বাংলা করলে অনেকটা হয় ‘পাথুরে ভল্লুক’! হিমালয়ের মানুষরা আগে বলতো, ইয়েতিরা নাকি সারাক্ষণ বিশাল একটা পাথর নিয়ে ঘুরে বেড়াতো, আত্মরক্ষা নয়তো শিকার করার জন্য। আর শিস দেয়ার মতো এক রকম শব্দ করতো। আর ওই পাথর নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্যই হয়তো ওদের নাম দিয়েছিলো পাথুরে ভল্লুক বা ইয়েতি। ওদের এই ‘ইয়েতি’ নামটা জনপ্রিয় হয়ে গেলেও ওদের কিন্তু আরো অনেকগুলো মজার মজার নাম আছে। এই যেমন, ‘মেহ-তেহ’, মানে হলো মানুষ-ভল্লুক! আবার ‘মি-গো’, মানে বনমানুষ! তারপর ‘ক্যাং আদমি’ বা তুষারমানব, ‘জোব্রান’ বা মানুষখেকো।
‘বড় পা’ হলো ইয়েতির মার্কিন মুলুকের আত্মীয়। এগুলোকে দেখা যায় ক্যালিফোর্নিয়া, স্থানীয়দের মতে এদের উচ্চতা হলো ৭ থেকে ১০ ফুট ও ওজন ৫০০ পাউন্ড। লোমশ শরীর, লম্বা হাত ও মানুষের মতো দুপায়ে হাঁটে। ১৬ ইঞ্চি চওড়া এদের পায়ের ছাপ! বিগফুটের সপক্ষে এ পর্যন্ত যে সব প্রমাণ উত্থাপিত হয়েছে সেগুলোর সব কটি জাল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আবার বিগফুটের যে বংশধর কানাডায় থাকে, সেগুলোকে বলা হয় সাসকোয়াচ। একই রকম দেখতে, যদিও দেখা যায় না।
ইয়েতি, সাসকোয়াচ-এর ইউরোপীয় বংশধর হলো আলমেস্টি। এগুলো থাকে ককেশাসে। কিছুদিন আগে ফরাসী ও রুশদের একটি যৌথ অভিযাত্রী দল এদের দেখা পেয়েছে বলে দাবী করে। তাদের দলনেতার ভাষ্য অনুযায়ী, একদিন চন্দ্রলোকিত রাতে, একদল গুহাচারী তার থেকে ৪ মিটার দূর থেকে হেঁটে চলে যায়। ছবির কথা বলবেন তো? হ্যাঁ তিনি নাকি ছবিও তুলতে চেয়েছিলেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত, তার ক্যামেরার সঙ্গে কোনো ফ্লাশ ছিল না।
সমতলের মানুষের কাছে ইয়েতির বিশ্বাসযোগ্য খবর প্রথম পৌছায় ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দে। নেপালের প্রথম ব্রিটিশ রেসিডেন্ট বি.এইচ. হডসন হিমালয় অঞ্চলের অজ্ঞাত এক প্রাণীর বর্ণনা দিলেন যে এটি নাকি মানুষের মতো সোজা হয়ে হাঁটে, সারা শরীর লম্বা চুলে ঢাকা এবং কোন লেজ নেই। মি. হডসনের বিবরণ তখন খুব একটা সারা ফেলতে পারেনি। কিন্তু উনবিংশ শতাব্দির গোড়ার দিকে ইয়েতি সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে একদল চৈনিক শিকারী জানায় তারা হিমালয়ের তুষারাচ্ছাদিত অঞ্চলে বানরের কদাকার থ্যাবড়া মুখাকৃতি, সারা শরীরে কয়েক ইঞ্চি লম্বা রূপালী হলদে চুল, মানুষের মতো হাঁটাচলা করে এবং অসাধারণ শক্তিশালী প্রাণীকে প্রত্যক্ষ করেছে। ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে কর্ণেল সি.কে হাওয়ার্ড বেরী এর অধিনায়কত্বে তিব্বতের মধ্য দিয়ে এভারেষ্ট অভিযানকালে কর্ণেল সঙ্গীদের নিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকেপ্রায় বিশ হাজার ফুট উপরে খারতা হিমবাহের কাছাকাছি কয়েকটি বিশাল আকৃতির মানুষের পায়ের ছাপের মতো পদচিহ্ন দেখতে পান। ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে এভারেষ্ট অভিযাত্রী ব্রিটিশ মেজর আলান ক্যামেরন হিমালয়ের হিমরেখার উর্ধ্বে খাড়াই শৈল প্রাচীরের গা ঘেসে সঙ্কীর্ণ পথে সারিবদ্ধ মানবাকৃতি প্রাণীর একটা দলকে মন্থর গতিতে চলতে দেখেছিলেন। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ অভিযাত্রী ফ্রাঙ্ক স্মিদি তিব্বত গিয়ে ১৪ হাজার ফুট উঁচুতে এই প্রাণীর অতিকায় পদচিহ্ন দেখতে পেয়েছিলেন। তিনি পদচিহ্নগুলোর মাপ নিয়ে দেখেছিলেন সেগুলো লম্বায় ছিল প্রায় ১৩ ইঞ্চি আর চওড়ায় ছিল প্রায় ৫ ইঞ্চি।১৯৫০ খ্রিঃ নেপালের প্যাঙবোচি অঞ্চলে একটা মমীকৃত হাতের তর্জনী, বৃদ্ধাঙ্গুলের অস্থিসন্ধি আর খানিকটা চামড়া পাওযা গেলেও বিজ্ঞানীরা তা পরীক্ষা করে ইয়েতি জাতীয় প্রাণীর সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেন। ১৯৫১ খ্রিঃ - এ হিমালয় অভিযাত্রী এরিক শিপটন ২৩,৪৪০ ফুট উচ্চতায় গৌরীশঙ্কর শৃঙ্গের নিকটবর্তী অঞ্চলে একই ধরণের পদচিহ্ন দেখতে পেয়ে তার ছবি তুলে নিয়ে আসেন এবং সংবাদপত্রে সেই ছবি ছাপা হলে পৃথিবীতে আরো একবার আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই ছবি দেখে বিজ্ঞানীরা নানা যুক্তি দেখালেও তখন তেমন কোনো সিদ্ধান্তে তারা আসেননি
১৯৫৩ সাল। স্যার এডমন্ড হিলারি আর শেরপা তেনজিং নোরগে জয় করলেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ‘মাউন্ট এভারেস্ট’। আর তারপর অকপটে স্বীকার করে নিলেন, পথে তারা ইয়া বড়ো বড়ো অনেকগুলো পায়ের ছাপ দেখেছেন। আর এই পায়ের ছাপগুলো কিন্তু প্রমাণ হিসেবে নিতান্ত ফেলনা নয়। এই পায়ের ছাপগুলো নিয়ে ভালো রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়েছে। আর তা করে দেখে গেছে, এগুলো কোনো বানানো পায়ের ছাপও নয়, কিংবা অন্য কোনো প্রাণীর পায়ের ছাপও নয়। অন্য কোনো প্রাণীরই পায়ের ছাপ এতো বড়ো হতে পারে না। আর ওরাংওটাং দু’পায়ে দাঁড়াতে পারলেও দু’পায়ে হাঁটতেই পারে না। আর এই পায়ের ছাপ যেই প্রাণীর, ও চলেই দু’ পা দিয়ে!
১৯৭০ সাল। বৃটিশ পর্বতারোহী ডন উইলিয়ামস হিমালয়ের অন্নপূর্ণা শৃঙ্গে উঠছিলেন। হঠাৎ তিনি শোনেন কি, কে যেন কাঁদছে! তার গাইড শেরপাকে জিজ্ঞেস করলেন, ঘটনা কি? শেরপা বললো, ওটা নাকি ইয়েতির ডাক। পরে ওই রাতেই নাকি তিনি দেখেন, কী যেন এক বিশাল দু’পেয়ে জন্তু তাদের ক্যাম্পের আশেপাশেই ঘুরঘুর করছে। সকালে উঠে তিনি ওই জন্তুটির ইয়া বড়ো বড়ো পায়ের ছাপও দেখেন। ঠিক ওই আগের পায়ের ছাপগুলোর মতোই। আর পরের দিন সন্ধ্যাবেলা নাকি তিনি বাইনোকুলার দিয়ে প্রায় ২০ মিনিট ধরে দেখেন ইয়েতিটাকে; দু’পেয়ে বনমানুষের মতো একটা প্রাণী তাদের ক্যাম্পের আশেপাশেই খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এমনি করে দিন দিন ইয়েতি রহস্য আরো ঘনীভূত হচ্ছিলো। আর যেখানেই রহস্য, সেখানেই রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য চলে আসেন বিজ্ঞানীরা। এখানেও তাই হলো। বিজ্ঞানীরা ইয়েতি রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আরো বেশি ক্ষেপে উঠলেন। সেই সঙ্গে ক্ষেপে উঠলেন সত্যসন্ধানী দুঃসাহসী সব অভিযাত্রীরাও। ২০০৭ সালে আমেরিকান টিভি উপস্থাপক জশুয়া গেটস তাঁর এক বিশাল দল নিয়ে চলে আসলেন নেপালে; উদ্দেশ্য- ইয়েতি রহস্য উদ্ঘাটন। অনেক ঘুরে ঘুরে তারা শুধু ইয়েতিদের পায়ের ছাপই পেলেন। আগেই তো বলেছি, ওদের পায়ের ছাপকে মোটেও হেলাফেলা করো না। সে কী আর যে সে পায়ের ছাপ! একেকটা পায়ের ছাপ লম্বায় ৩৩ সেমি, পাশে ২৫ সেমি! এরপর তাদের দল হিমালয়েরই আরেক জায়গায় গেল ইয়েতি খুঁজতে। এবারও তারা পেল শুধুই পায়ের ছাপ। আর দুটো পায়ের ছাপ মিলিয়ে তারা বেশ মিলও পেলো। এমনকি, পায়ের ছাপগুলো এতোই নিখুঁত ছিলো, তারা বলেই দিলো, এই পায়ের ছাপ কোনো দুষ্টু মানুষ বানাতেই পারে না। এটা অবশ্যই সত্যিকারের কোনো প্রাণীরই পায়ের ছাপ।
এর কিছুদিন পর গেটসের দল আবারও গেল হিমালয়ে। আর এবার তারা পেল ইয়েতির কিছু লোম। পরীক্ষা করে জানা গেলো, এটা এক অচেনা প্রাণীর লোম; পরিচিত কোনো প্রাণীর লোমের সঙ্গেই এই লোমের মিল নেই।
[img|http://media.somewhereinblog.net/thumbs/shovan13_1356355298_2-6953431510_365e9a8abc.jpg
আর ২০০৮ সালে কয়েক জন জাপানি অভিযাত্রী তো ইয়েতিদের পায়ের ছাপের ছবি-ই তুলে নিয়ে আসলো। তাদের যে দলনেতা, ইয়োশিতেরো তাকাহাসি, তিনি নাকি ২০০৩ সালে হিমালয়ে গিয়ে একটা ইয়েতিকে দেখেও ছিলেন! তার ইচ্ছা, ইয়েতির ছবি বা ভিডিও করে নিয়ে আসা।
ইতালি – অস্ট্রিয়ার সীমান্তে তিরলে জন্ম নেওয়া জার্মানভাষী এক ইতালিয়ান নাগরিক মেসনারই কয়েক দশক আগে সারা বিশ্বকে চমকে দিলেন তিনি তুষার মানব ইয়েতি দেখেছেন এই বলে! শুরু হয়ে গেল গুঞ্জন, তর্ক, যুক্তি- পাল্টা যুক্তির মেসনার মুখে কুলুপ এঁটে একজন যথার্থ গবেষকের মত কাজে লেগে পড়লেন, এবং দীর্ঘ দুই দশকের নিবিড় অনুসন্ধান চালানোর পরে সমস্ত ফলাফল MY QUEST FOR YETI বইতে লিপিবদ্ধ করেন।
ইয়েতির কাহিনী সবচেয়ে বেশী নেপালে শোনা গেলেও এটি আসলে নেপালের স্থানীয় কিংবদন্তী নয়! এটি তিব্বতের অবারিত মালভূমি আর বন্ধুর পর্বতে বসবাসকারী কিছু গোত্রের লোককথার চরিত্র, তারা যখন নানা গিরিখাদ পার হয়ে অনেক অনেক আগে হিমালয় ডিঙ্গিয়ে নেপালে এসে বসতি স্থাপন করে, তাদের সাথে সাথে আসে সেই লোকগাঁথা, সংস্কৃতি, ইয়েতির গা ছমছমে গল্প।
সেই সাথে আছে একাধিক বৌদ্ধ মঠে সংরক্ষণ করা ইয়েতির দেহাবশেষ, বিশেষ করে খুমজুংউপাসনালয়ের সংরক্ষিত ইয়েতির মাথার উপরিভাগের চামড়াটি বিবেচনা করা হত এক অকাট্য প্রমাণ হিসেবে, কিন্তু ব্রিটেনে নিয়ে যেয়ে ডি এন এ পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেল এটি কোন বাঁদর জাতীয় প্রাণীর নয়, হিমালয়ের ছাগল বা হরিণের চামড়া দিয়ে তৈরি এক শো-পিস! যদিও স্থানীয় শেরপারা সেটিকে আজও দেবতাজ্ঞানে পূজা করে। (বিখ্যাত প্রাণী বিশেষজ্ঞ দ্য নেকেড এপের লেখক ডেসমণ্ড মরিসের এক বইতেও এই ঘটনার উল্লেখ ছিল, যেখানেগবেষকদের মাঝে মরিস খোদ উপস্থিত ছিলেন)।
এরপরে মেসনার তুষারমানবের নাম নিয়ে যথেচ্ছ নাড়াচাড়া করেন, এলাকা ভেদে তাদের নাম Michê, Dzu-teh, Migoi, Mi-go, Mirka , Kang Admi , JoBran ( তিব্বতে টিনটিনে ইয়েতিকে মিগু বলা হত) , এবং প্রায় সবগুলো নামই ভাল্লুকের সাথে জড়িত, এমনকি ইয়েতি শব্দটিও মেতি-র অপ্রভংশ, যার অর্থ ভাল্লুক।
ইয়েতি কিংবদন্তীর উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হবার পর তিব্বতে অসংখ্য জনপদেব্যপক অনুসন্ধান চালান মেসনার বছরের পর বছর ধরে, তার কাছে গোপন সন্ধান পৌঁছে- দুর্গম এক মনেস্ট্রিতে তিনটি তুষার মানবের মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রেখেছে লামারা, কিন্তু তাদের কাছে তা অতি পবিত্র বস্তু বিধায় বিদেশীদের সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ। মেসনারের এই অনুসন্ধানের মূলপ্রেরণা ছিল- এই কিংবদন্তীর মূলে কোন না কোন বাস্তব ভিত্তি অবশ্যই আছে, এটি স্বর্গীয় দেবদূত বা কল্পকথার শয়তান না, নিশ্চয়ই কোন প্রাণীর আদল থেকে, মানুষের সাথে তার সংঘর্ষময় ইতিহাস থেকে হাজার হাজার বছর ধরে ডাল-পালা গজিয়ে বিশাল মহীরুহতে পরিণত হয়েছে ইয়েতির গল্প, কিন্তু মূল ভিত্তিটা কি !
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব প্রাণীর অস্তিত্ব দাবির প্রেক্ষিতে ব্যাপকভাবে তদন্ত চালানোর এ উদ্যোগ নিয়েছেন যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী। এ প্রকল্পের আওতায় সুইজারল্যান্ডের এক জীববিজ্ঞানীর সংগৃহীত চুল, হাড় এবং শরীরের অন্যান্য অংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এছাড়া অন্যান্য অঞ্চল থেকেও কোনো প্রমাণ থাকলে তা তাদের সরবরাহ করার অনুরোধ করেছেন তারা।
এ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এগোবেন এবং প্রাপ্ত ও দাবি করা দেহাবশেষের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এদের জিনের মূলগত অস্তিত্ব উদঘাটনের চেষ্টা করবেন। পরীক্ষার পরে সর্বশেষ ফলাফল শীর্ষ কোনো বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশ করবেন তারা।
এ ব্যাপারে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনতাত্ত্বিকরা বলছেন, ইয়েতি বা এ ধরনের প্রাণীর দাবি নিয়ে এর আগেও ডিএনএ পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু এখন কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব প্রমাণের কৌশল আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। বিশেষ করে, চুল পরীক্ষার ক্ষেত্রে আধুনিক ফরেনসিক সায়েন্সের কল্যাণে পরীক্ষা কৌশলের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। আধুনিক পরীক্ষা পদ্ধতি চুলের একটি অংশ থেকে ইয়েতি বা এমন প্রাণীর অস্তিত্বের ব্যাপারে যথাসম্ভব সঠিক ফলাফল উপহার দিয়ে এই বহু প্রাচীন রহস্যের কূলকিনারা করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সবাই কে বড় দিনের শুভেচ্ছা
নীচে তিনটে বইর লিঙ্ক দিলাম পরে দেখুন এই আনসলভড মিষ্ট্রি ব্যাপারে
Click This Link
Click This Link
Click This Link QUEST FOR YETI&f=false
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৮