১। এক বয়স্ক দম্পত্তি ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার দেখেশুনে বৃদ্ধ লোকটিকে বললেন, আপনার পায়খানা, প্রস্রাব এবং রক্ত পরীক্ষা করতে হবে।
বৃদ্ধ বললেন, কী?
ডাক্তার আবার বললেন।
বৃদ্ধ লোকটি এবারও শুনতে পেলেন না।
ডাক্তার তখন একটু জোরে বললেন, আপনার পায়খানা, প্রস্রাব এবং রক্ত পরীক্ষা করতে হবে।
এবার বৃদ্ধা মহিলা বৃদ্ধ লোকটির দিকে ঘুরে বললেন, ডাক্তার তোমার আণ্ডারওয়ারটি চাইতেছেন।
২। দোস্ত, বিয়া করতে যাইতেছি। কোন উপদেশ থাকলে দে।
- গাড়িতে তিনটে জিনিস থাকে- ক্লাচ, ব্রেক এবং এক্সিলেটর।
- আরে, বিয়ার সাথে গাড়ির কী সম্পর্ক?
- বোকার মত প্রশ্ন করার জন্য ৫০ নম্বর কাটা! তো গাড়ি চালাতে গেলে একটা পা ক্লাচে, আরেকটা পা এক্সিলেটরে রাখতে হয়। আবার ব্রেকটা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একটা পা অবশ্যই ব্রেকের উপর রাখতে হবে।
- আরে, আমার পা তো মাত্র দুইটা!
- তোর পুরা ১০০ নাম্বার কাটা। তোর শালা বিয়াই করা উচিত না।
৩। মানসিক রোগীর রোরশাখ ইঙ্কব্লট টেস্ট নিচ্ছেন মনোচিকিৎসক। হিজিবিজি কিছু কালির ছোপ রোগীকে দেখানো হয় এ টেস্টে।
প্রথম কার্ডটা এগিয়ে দিলেন তিনি। ‘বলুন তো এটা কিসের ছবি?’
‘একটা ছেলে একটা মেয়েকে জাপটে ধরে চুমু খাচ্ছে।’
দ্বিতীয় ছবিটা এগিয়ে দিলেন ডাক্তার। ‘এটা কিসের ছবি বলুন তো?’
‘ঐ ছেলেটা এবার মেয়েটার জামাকাপড় খুলে ফেলছে, আর মেয়েটা চেঁচাচ্ছে হাঁ করে।’
আরেকটা ছবি এগিয়ে দিলেন ডাক্তার। ‘এটা কিসের ছবি বলুন তো?’
‘ছেলেটা মেয়েটার চুল টেনে ধরে ঘাড়ে কামড় দিচ্ছে, আর মেয়েটা খিখি করে হাসছে।’
ডাক্তার আর পারলেন না। ‘দেখুন, রিয়াদ সাহেব, আপনার রোগ খুব জটিল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আপনার মনটা খুবই নোঙরা, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি।’
রিয়াদ সাহেব চটে আগুন। ‘নিজে যত রাজ্যের নোঙরা ছবি এগিয়ে দিচ্ছেন আমাকে, আর বলছেন আমার মন নোঙরা?’
৪। নাপিতের দোকানে ঢুকেই এক লোক বললেন, ‘ভাই, আমার চুলটা মাইকেল জ্যাকসনের মতো করে দিন তো।’
নাপিত কাটতে শুরু করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়লেন ভদ্রলোক। হঠাৎ ঘুম ভেঙে উঠে দেখলেন, চুলের যাচ্ছেতাই অবস্থা।
রেগেমেগে ভদ্রলোক বললেন, ‘সে কী! আমি না বললাম মাইকেল জ্যাকসনের মতো করে দিতে। আপনি এ কী হাল করেছেন!’
নাপিত বললেন, ‘ভাই, মাইকেল জ্যাকসন তো আর আমাদের এখানে চুল কাটান না। কাটালে ওনার চুলেরও এমন স্টাইলই হতো!