বিষণ্ণতম শহর
ক্রমাগত বিবর্ণতা,
অথবা একান্ত অনিচ্ছায়
------প্রত্যাবর্তন------।
কিছু শব্দ , ফিরে আসা বর্ষা , বৃষ্টি , স্যাঁতস্যাঁতে বারান্দা আর আকাশের ছায়াপথে শুদ্ধস্বর, তোমার আমার যৌথ
---------------- মেঘলা আকাশ -----------------
বৃষ্টিরা ফিরে যায়না , এদের চলাচল অপূর্ব অসুখী। তবে মিথ্যে ফানুস ওড়ানো কোন সোনালী রোদের চেয়ে অনেক সুখী ! পৃথিবীর প্রথম প্রেম সম্ভবত অনিচ্ছাকৃত বৃষ্টিপাত , ফিরে যাবেনা বলে কথা দিয়েছে বলেই হয়তো।
আর এই অনাবাদী শহরে
দেয়ালে দেয়ালে আটকে আছে
ব্যর্থ আর বিভ্রান্ত,
চিলেকোঠার অব্যর্থ রোদের মত ফিরে আসা শেষের গল্প।
তারপর একদিন, সত্যি সত্যি আকাশের বুকে ফাটল ধরলো! অনিদ্রা - অসুখে জর্জরিত মেঘের দেশে ঝড় উঠলো !
--------- সুখের নেশায় মাতাল পতন!
সে কি উল্লাস বৃষ্টি ফোঁটার,
একমুখী গমনে আক্ষেপের সুযোগ নেই যে!
স্যাঁতস্যাঁতে হলো বারান্দা , অজস্র শব্দেরা জানালার ওপাশে কোন অন্ধ পাখির ডানায় ফিরে আসে ...
রূপকথার বৃষ্টি,
কেঁদে কেঁদে কতোকাল অতীত হলো
উল্লসিত ফোঁটাগুলো গায়ে মাখবে বলে।
তারপরেও অদৃশ্য নিদ্রাহীনতায় জর্জরিত
বিষণ্ণতম শহরের
অসুখী সব মানুষ বুঝতে পারেনা,
ফিরে না যাবার মন্ত্র পড়ে আসা উল্লসিত জলা-কণা অমরত্বের গান গায়!
কি ভ্রান্তি , প্রাচীণ অন্ধকারের মতই বিচ্ছিন্ন মানুষ সব ভেবেই নিয়েছে , সকাল- সন্ধ্যার এই নির্লিপ্ত যাপিত জীবনের নামই বুঝি সুখে থাকা! অথচ ওরা দেখেনা এই শহরের দেয়ালে দেয়ালে ফোঁটা ফোঁটা অশ্রুবিন্দু , একলা কত দীর্ঘশ্বাস !
মেঘ কিংবা বৃষ্টির মত স্বার্থহীন , একমুখী চলাচলের অনভ্যস্ততাই এই সমস্ত দীর্ঘশ্বাসের মূল কারণ ! শামুকের খোলসের মত একটা কাগুজে বিশ্বে সুখ আর তৃপ্তিকে ভুল সমীকরণে বসানো এই শহরের তৃপ্ত (অতৃপ্ত ) মানুষগুলোকে সুখ শেখাতেই,
রূপকথার বৃষ্টি নামে মাঝে মাঝেই
অসুখী বসন্ত পার হলেই!
একটা কাগুজে বিশ্ব। সবাই সুখি। তৃপ্ত।
কিন্তু বৃষ্টি নামে মাঝে মাঝে !
( প্রফেসর শঙ্কুর গল্প-ভাবনা হলদে বাতির কারাগার এর দ্বিতীয় হিন্টস এর লাইন কয়টা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ! )
ছবিঃ গুগল থেকে শহুরে বৃষ্টিপাতের এই ছবি নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২৫