তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো বিবাহিত ব্লগাররা! নেতৃত্ব দিচ্ছেন মামুন রশিদ, মাঝে মাঝেই বিবাহিতদের শক্তি দেখানোর জন্য শিপু ভাই তার শার্ট খুলে ফেলেন! অবিবাহিত ব্লগাররা দশটা কথায় একটা বলে তাতেই অবস্থা বেগতিক! শেষ পর্যন্ত জানা ম্যাডামের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী 20 ওভারের ক্রিকেট ম্যাচ হবে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ব্লগার! আজকেই দল নির্বাচিত হবে, খেলা হবে ঈদের দিন। খুব ভালো কথা দলে সুযোগ পাবার জন্য মালয়েশিয়া থেকে ছুটে আসার নিশ্চয়তা দিয়ে দিকভ্রান্ত পথিক পথ চলা শুরু করলেন! প্রথমেই বিবাহিত টিম ঠিক করা হবে, স্কোয়াডে 13 জন থাকবে! খেলবে 11 জন। প্রস্তাবিত বিবাহিত দল :
হাসান মাহবুব ( অধিনায়ক)
আমিনুর রহমান
সোনাবীজ অথবা ধুলোবালিছাই
ত্রিশঙ্কু
মামুন রশিদ (সহ-অধিনায়ক )
কান্ডারী অথর্ব ( উইকেট কিপার)
নেক্সাস
একটু স্বপ্ন
শিপু ভাই. তারপর ই বাদলো বিপত্তি, বিবাহিত দলের জন্য স্কোয়াড পূর্ণ করা যাচ্ছেনা, বেশিরভাগ বিবাহিত অনিয়মিত, সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসলেন অবিবাহিত দলের প্রস্তাবিত অধিনায়ক অন্যমনস্ক শরৎ! বাকী সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলো সেলিম আনোয়ার কে বিবাহিত দলেই খেলতে হবে, বিবাহিত দলে খেলতে পারাটা ওনার জন্য বিশেষ সম্মানের হতে পারে আর তাছাড়া উনি দলে থাকলে ফিল্ডিং না করে কবিতা লিখে নারী ব্লগারদের ইনবক্স করতে পারেন সাথে ইনাদের উচ্চতা, বিয়ে হয়েছে নাকি জিজ্ঞেস করে দলের ইজ্জতে হানা দিতে পারে, তাই সেলিম আনোয়ার বিবাহিত দলে!
দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া এস আর জনি ভাইকে বিবাহিত দলে সম্মানসূচক ভাবে মাইগ্রেট করা হলো! বিবাহের ঘোষণা দেয়া অলওয়েজ ড্রিম কে অনুরোধ করার সাথে সাথে উনি বিবাহিতদের সাথে গিয়ে অবস্থান নিলেন, কারণ জিজ্ঞেস করায় জানা গেলো উনি স্লিপে ফিল্ডিং করবেন আর ফাকে ফাকে কান্ডারী ভাইয়ের কাছে বাসর ঘরে বিড়াল মারা বিদ্যা শিখার চেষ্টা করবেন.
তারপরও অতিরিক্ত একজন প্লেয়ারের স্বল্পতা থেকে গেল! এমতাবস্থায় জুলিয়ান সিদ্দিকী উটের পিঠে চড়ে দেশে আসার কথা দিলেন. তারমানে বিবাহিত ব্লগার স্কোয়াড :
হাসান মাহবুব ( অধিনায়ক)
আমিনুর রহমান
ত্রিশঙ্কু
কান্ডারী অথর্ব ( উইকেট কিপার)
সোনাবীজ অথবা ধুলোবালিছাই
নেক্সাস
একটু স্বপ্ন
অলওয়েজ ড্রিম
শিপু ভাই
এস আর জনি
আশিক মাসুম
মামুন রশিদ (সহ-অধিনায়ক )
জুলিয়ান সিদ্দিকী.
আপডেটঃ প্র্যাক্টিস চলাকালীন সময়ে অস্থিরতার কারণে সেলিম আনোয়ার ইনজুরড , তাই তার বদলে সুস্থ হয়ে উঠা স্লগ ওভাবের মারকুটে ব্যাটার মামুন রশিদ দলে জায়গা পেয়েছেন ,আর এহসান সাবির বিয়ে করেন নি , তার জায়গায় দলে এসেছে সদ্য বিবাহিত আশিক মাসুম!ওনাদের জন্য শুভকামনা !
এর চেয়ে বড় বিপত্তি বিবাহিত দল নির্বাচন নিয়ে, সামু অফিসের দুটা কম্পিউটার তখন ভেঙ্গে যায় বলা বাহুল্য গেন্দু মিয়া তখন ওই কম্পিউটারে কবিতা টাইপে ব্যাস্ত ছিলেন. এগিয়ে আসলেন আরজুপনি আর শায়মা আপু . শায়মা আপু বললেন " ভাইয়ামনিরা আমার ঝগড়া করেনা প্লিজ, আমার আর পনির উপর বিশ্বাস রাখো ভালো দল ঘোষণা দিবো. ছোটখাটো ট্রায়াল হয়ে গেল তখনই. এখন দল ঘোষণা, ঘোষণার সময় আরজুপনি কাকে কেন নেয়া হয়েছে তাও বলে দিচ্ছেন :
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ( মন্ত্রী ওপেন করতে নামবে ভাবসাব আলাদা)
নিয়েল হিমু ( সে কথা দিয়েছে বলকে ছাগু মনে করে পিটাবে)
একজন আরমান ( একটা উইকেট পড়ে যাবার পর কিভাবে অতীত আঁকড়ে ধরে রাখতে হয় তার জ্বলজ্বলে উদাহরণ একজন আরমান,তাই তিনি ওয়ান ডাউন)
অন্যমনস্ক শরৎ ( অধিনায়ক)
নাজিমউদ্দুলা ( মিডেল অর্ডারে তার সাধনা করে গল্প লিখার স্ট্যাটেজি আর প্যাশন কাজে লাগবে)
ইরফান বর্ষণ ( নাজিম বল নষ্ট করলে সে সব বোলারকে কম কষ্টে বাউন্ডারির স্বাদ দিবে)
কুনোব্যাঙ ( ব্যাঙের প্রতিভা নিয়ে প্রশ্ন করাটাই অবান্তর)
এম মশিউর
দিকভ্রান্ত পথিক
প্রিন্স হেক্টর ( সে কথা দিয়েছে খেলা চলাকালীন সময়ে লুলামী করবেনা)
স্বপ্নবাজ অভি
দলছুট শুভ
মাহমুদ 007
দল ঘোষণার সাথে সাথেই তীব্র অষোন্তশ প্রকাশ করলেন কাল্পনিক ভালবাসা! অন্যমনস্ক কেউ যদি অধিনায়ক হয় তাহলে কাল্পনিক কেন দলে সুযোগ পাবেনা? আরজুপনি তাকে ডেকে নিয়ে কাউন্সেলিং করে দিলেন, আরে ব্যাটা শরৎ পাওয়ার বলে অটো নির্বাচিত। শেষ পর্যন্ত তাকে দলীয় কোচের দায়িত্ব দেয়া হলো।
ঠিক এই সময় দেখা গেলো মাইক স্ট্যান্ড সহ জগিং করছে পরিবেশ বন্ধু। নাটকের সময় তাকে বেধে রাখা হয়েছিল, পরে আর কারো মনে নেই ঘটনা কি হয়েছে! তার জ্ঞান ফেরার সাথে সাথে বিবাহিত দলে সুযোগ পাবার জন্য সে মাইক স্ট্যান্ড পিঠে রেখেই জগিং করছে। তাকে দুধভাত প্লেয়ার হিসেবে বিবাহিত দলে রাখা হয়েছে। ব্লগার নোমান নমি অবিবাহিত দলের ম্যানেজার নির্বাচিত হয়েছেন তার বিশাল সংখ্যক ফেসবুক ফলোয়ারের ভোটে। আর বিবাহিত দলের ম্যানেজার হয়েছেন রেজোওয়ানা। উনি ঘোষণা দিয়েছেন লালবাগের কেল্লায় তার দলের খেলোয়াড়দের প্র্যাকটিসের ব্যাবস্থা করে দেবেন, এ কথা শুনে অবিবাহিত দলের ম্যানেজার নোমান নমি ঘোষণা দিলেন আমরা ইডেনের সামনে প্যাক্টিস করবো, তার এই সিদ্ধান্ত করতালি দিয়ে স্বাগত জানালো দলের খেলোয়াড়রা। এই সময় সেলিম আনোয়ার আর এস আর জনির মুখে কালো মেঘের প্রতিচ্ছাপ দেখা গিয়েছিল। পিচ কিউরেটর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ব্লগার জুন, তিনি আফ্রিকা থেকে মাটি এনে স্পোর্টিং উইকেট বানানোর ব্যবস্থা করবেন! এই সময় ব্লগার বটবৃক্ষ, আজ আমি কোথাও যাবোনা, বনলতা সেন, টুম্পা মনি এদেরকে ব্যাস্ত দেখা গেছে টিংকুকে নিয়ে ! টিংকু মাছ খাচ্ছেনা!
আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জানা আপু এবং অপর্ণা মন্ময়। অপর্ণা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন ভুল উচ্চারণের আপিলে তিনি সাড়া দিবেন না। হাউজ দ্যাট ওয়াস কে হাওয়াজেট বললে উনি আংগুল তুলবেন না। কিছুক্ষণ পর বিবাহিত দলকে দেখা গেলো লালবাগ কেল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে। আর অবিবাহিত দল যথারিতী ইডেনের সামনে জগিং দিয়ে প্র্যাকটিস শুরু করেছে।
সবাইকে ঈদের শূভেচ্ছা! কয়দিন ধরে কিছুই লিখতে পারছিনা, কবিতার শব্দেরা প্রতারণা করে, গল্পের অলিগলিতে পথ হারাই তাই লিখালিখি থেকে কিছুদিনের জন্য নির্বাসনে। ঈদের আনন্দ টা প্রিয়জনদের নিয়ে। এই ব্লগের মানুষ গুলো ও প্রিয় জন ই বটে। তাই এ কাল্পনিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনে আনন্দ খুজে নেয়ার চেষ্টা! এই পোস্ট শুধুমাত্র মজা করার জন্য কারো অনুভূতিতে আঘাত না লাগালে ভালো লাগবে! প্যাক্টিস আর মূল খেলা নিয়ে ঈদের দিন সন্ধ্যায় থাকছে দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।
সবাইকে পূজা ও ঈদের শুভেচ্ছা!!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯