ছেঁড়া বোতামের মতো পড়ে আছি অব্যবহৃত কৌটায়,
আপাত অলস নিরুদ্যম; অথচ সুঁইয়ের সূক্ষ ফলা
উদ্যত হয়ে আছে গাদাগাদি চতুপার্শ্ব হতে। আর
নানারঙা সুতোর জঞ্জাল বাঁধনে দমবন্ধ আষ্টেপৃষ্টে থাকা।
ভেংচি কাটে রাংতাকণা, পুঁতির দানার ঝকমকে শরীর হতে
কুঁচকে থাকি। কিশোরীর রাঙা আঙুল সাবলীল তুলে নেয়
কাপড়ের ফুল, জরিরং ঝিকমিকিয়ে উঠে কৌটার বাইরে।
চোখের কোটরে নিভে যাওয়া পোষ সকালের নাড়াচুল্লী, ধোঁয়ার
অধিক দিতে পারে কোন উষ্ঞতা, এমন আশ্বাসে চোখ
রাঙায় গ্রীষ্ম আঁকা কাগজের ফুল নিঃশ্বাসের দূরত্বে।
এইসব অহোরাত্রি কথা- সূর্যদাগের সাথে মিলাতে থাকলে
ছেঁড়া বোতাম বলে ডাকতে ডাকতে বুকের গহীনে
এক দংগল শৈশব খিল খিল করে উপহাসে মাতে।
কৌটার আঁধারে হাতড়ে ফেরা জীর্ণ হাতে টের পাই,
কপাল জুড়ে বিবিধ খরাচিহ্নের সাথে লেপ্টে আছে
এক পশলা কোমল বিকেল, দুমড়ানো করুন অন্ধ ইদিপাসের
হাহাকারের মত...
১৭ নভেম্বর ২০১১
উৎসর্গ: প্রিয় ব্লগার এবং কবি রেজওয়ান মাহবুব তানিম , কবি এবং কবিতার প্রতি এই সহব্লগারের উদ্যম আমাকে নিয়মিত মুগ্ধ করে।
........
বন্ধু, পড়ে যাওয়া বেলায় একদিন
ঘরে শিকল তুলে কাঁধে টোকা দিয়ে
বলি যদি, চলুন, কবিতা কবিতা খেলি,
যাবেন?
ছবিসূত্র: “Mad Meg (1952) ” by Pieter Brueghel the Elder (1525–1569)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫১