আজ কোন পশু পক্ষীর ছায়া দেখলাম না এ পাড়ায়
চোখের আড়াল হলেই যেন হাপ ছেড়ে বাঁচা
কেউ যদি তৃষ্ণায় বুক ফাটিয়ে কাঁদে-
তার মুখে পানি দেবার মতোও কাউকে পাওয়া যাবে না
এ বাড়িতে নাকি পাপী বসত করে!!
অবনী খুব অবাক হয়ে ভাবে হায় অভাবে বুঝি মানুষ কেন
ঈশ্বরের চোখের ও এক কোনায় থাকে গরীব
দুদিন আগেও এই বাড়ী জুড়ে মানুষের মেলা বসত
আর এখন মানুষ এ বাড়ির পাশ কাটিয়ে যেতে পারলেই
যেন হাপ ছেরে বাঁচে , আড় চোখে দেখে কেউ না ডাকে!
হায় ঈশ্বর যতটা দেবার ছিল দিয়েছ কি হাত ভরে
যতটা দিয়েছ তাও কেন নিলে কেড়ে ?
মাঝে মাঝে রামদয়ালের মত লোকরা ঘুর ঘুর করে
ভারা যৌবনা মেয়েটির ছেড়া শাড়ীর ফাকে যদি কিছু ভাসে
অবনী হাসতে থাকে আর নিজেকে দেখতে থাকে
এই শরীর বড় দামি অস্ত্র নইলে লাটের পুত কেন তার পা ধরবে
গাঁয়ের প্রত্যেক ভদ্র মানুষ গুলোকে অবনী চেনে
কুকুরের মত লালা ঝরে অবনীর বুকের আচল খসলে
পেটে ভাত না থাকলে ভাত পাওয়া যায়না
যায়না পাওয়া স্বজন, কিন্তু নারী দেহের দর্শন মিলিলে
পুরা দুনিয়াই আপন।
কুকুরের মতো কত ঘরের ভাতের মাড় খেল
খেল লাথি কত পুরুষের
আজ অভাবের কাছে সভাব বন্দী রেখে অবনী
প্রতিরাত দেখে একেকজন ভদ্র মানুষের দয়ালু হাসি
হা হা হা কেউ দুধ বেঁচে মদ খায়
কেউ মদ বেঁচে দুধ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১৯