তাহাকে দেখিয়া আমি আর না হাসিয়া পারিলাম না । তারহার কেশ বিন্যাস যেন বনলতার আর চোখ খানি দুটো যেন সুচিত্রা সেন । আমার নিকট আসিয়া খুব গোপনে কহিল, তোমার বরের চাহনিতে যাদু আছে । আমি কিঞ্চিৎ তাহার দিকে আড় চোখে চাহিয়া আবার একটু হাসিলুমজেন,আমার হাসি দেখিয়া সে কিছুটা বিচলিত হইয়া আমার পানে তাকাইল । আমি তাহাকে বলিলাম দিদি তোমার বরের সাথে দেখা হয় না কত দিন । সে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলিয়া কহিল তোমাকে বলে আড় হবে কি সে কথা । আমি তাহাকে বলিলাম ঠিক আছে তুমি বলিতে না চাহিলে আমার কোন ইচ্ছা নাই শুনিতে। তবে আমার বরের দৃষ্টি যাদু যেন তোমাকে আবার বনবাসি না করে । তখন সে বলিল আমি কিন্তু বরের ভাগ নিতে আসি নাই তবে তোমার বরের চোখে আমি আমার কাউকে দেখিতে পাই যে। এমন সময় আমার বর আসিল আর আমি খুব অবাক হয়ে চেয়ে থাকিলুম তাহাদের দিকে , একজন অন্য জনের দিকে া কেমন জানি এক পলকে চেয়ে আছে সেই থেকে । আমি বলিলাম কি হল হে, কেউ কাউকে তোমরা চিন নাকি হে ।
আমি তাহাদের পরিচয় করাইলাম এই বলে আমাদের দু তলায় পারু গতমাসে ভাড়া আসিয়াছে বর তাহার ব্যবসা করে । আমার বর তাহার পানে আরেকবার তাকাইল বলিল আপনি রোজ আমাকে দেখিতে থাকেন ব্যালকনিতে আসা যাওয়ার পথে তবে কেন জানি মনে খুব চিনি আপনাকে । আমি বললাম কি করে চিনবে তাহাকে ওদের বাড়ি সেই দূর কুড়ি গ্রামে । আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল কি বললে তোমার বাড়ি কুড়ি গ্রামে , পারুল মাথা নিচু করে বলিল হ্যা । আমার বরের চোখ দিয়ে পানি ঝরিতে লাগিল বলল তুমি কি মিনা মেয়ে । মেয়েটি বলল হ্যাঁ আপনি জানেন কি করে । আমার বর এখন আরও কাদিতে লাগিল । বলল এই মেয়ে আমার মিনা আপুর মেয়ে । তখন আমার মনে পড়িল মিনা দিদি বাবার অমতে বিয়ে করায় আমার বরের বাবা তা মানিয়া নেই নাই । পারু তার আপন ভাগ্নি মামার সাথে তাই তো এত মিল চোখে চোখে ।
( আজ থেকে দু বছর আগে যখন প্রথম লিখা শুরু করি )
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৬