ইচ্ছে করে অজস্র কবিতা লিখি
লাল-নীল প্রজাপতি ডানার মত উজ্জ্বল কবিতা,
প্রথম বসন্তে বাসন্তি রং মাখা উচ্ছ্বল বালিকার মত
বন্ধনহীন শব্দের কুলকুল স্রোত।
কিংবা প্রগলভ সমুদ্রের মত উত্তাল,
উশৃঙখল; নিঃসংকোচ সুনামির মত কিছু।
কবিতা হতে পারে গ্রাম্য কিশোরীর মত সহজ সরল
সুগভীর মমতায় একখানা নিরেট মুখের চাহনি-
হৃদয়ের ভাঁজে যার লুকায়িতঅস্ফুট প্রেম
আর সাদামাটা কিছু স্বপ্ন--
কিংবা উত্তরাধুনিক শহুরে ললনার মত
দাপুটে-প্রথাবিরুদ্ধ ডেসপারেট
যার ভাবনা জুড়ে জীবনের জীবন্ত দর্শন
কড়ি আনা পাই হিসেব নিকেশ।
কবিতা হতে পারতো
আমাজন অরন্যের মত ঘন সবুজ প্রেম
সাহারার মত মর্মর বিরহ
এন্টার্কটিকার মত মায়াময়
অনন্ত নীলের বুকে মায়াবতি মেঘের ছুটোছুটি
রংধনু সাত রং ,
রুপালী রোদের লুকোচুরি।।
হায়! বন্ধ্যা মস্তিস্কে যার রক্তক্ষরণ
শব্দ কি তার পোষ মানে ?
ভুল গুলো কালো মেঘ
গিলে খায় স্বপ্নের নীলাকাশ
ভ্রুকুটি করতে করতে শব্দেরা হারিয়ে যায়
অন্য এক তাজমহলের শোকে।
ফুল ফোটে, পাখি ডাকে
রাত ভরে থাকে হাস্নাহেনার ঘ্রাণে...
শুধু লিখা হয়না একটাও কবিতা,
ভাবনাগুলো মরে গেছে চাপা অভিমানে।