সেইসব সোনাঝরা দিনে সময়ের বুকে ক্ষত চিহ্ন এঁকে
তুমি কি হওনি এতটুকু ঋণী!
ঋণখেলাপি চৈতালী মেঘ বাতাসে উড়ে গেছে।
আজ আমার নদী বুকে অসংখ্য ফাটল।
কত পাখি উড়ে গেছে যমুনায় আর আমি মথুরায় যুদ্ধ সংক্রান্ত সমরনীতি পাঠনিষ্ঠ থেকেছি।
তাবৎ পৃথিবী উড়ে উড়ে দেখেছি রক্তে-মাংসে ঝলসে উঠা আগুনের ধোঁয়ায় শুধুই তোমার মুখ।
দেখেছি পূর্ণ চাঁদমুখে জোৎস্নার পোড়া মাংস আর পানপাত্র পূর্ণ শরাব।
তবুও বাসনার বৃষ্টি শুধু ঝরেছে দূরের চিরহরিৎ বনে।
সময়ের ক্ষত ভুলে যেতে জীবন সমুদ্রের বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে দেখেছি ঝুড়ি ভর্তি কড়ি নিয়ে ধীর পায়ে হেঁটে যায় দিন।
আর বিগলিত সূর্যের রক্তিম আভা মেঘের গভীরে লাল হয়ে ফোটে দারুণ অভিমানে।
তুমি জানালা দিয়ে গোধুলী দেখো-
ক্ষুরের আঘাতে বিক্ষত মেঠো পথ কি দেখেছো!
উপমার জন্যেতো রয়েছে দুই পাশে সবুজ ঘন ঘাস
কিছু বাকী।
ক্লান্ত হৃদয়ে ব্যথা হয়ে বেজে উঠো বইতে না
পারি যদি আর, তারচেয়ে জীবনকে ছুটি দিয়ে
ঘুমাবো খুব।হৃদয়ের ঘাসে চুপচাপ বসে বলো-
বিক্ষত সময় তোমাকে ভালবাসি ভালবাসি
খুব বেশী ভালবাসি!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:২৪